আগামী ৯ মার্চ পর্যন্ত রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা যাবে না, জানিয়ে দিল ডিভিশন বেঞ্চ
কলকাতা, ০২ মার্চ – ফের আইনি গেঁড়োয় রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচন। আগামী ৯ মার্চ পর্যন্ত পঞ্চায়েত নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি ঘোষণা করা যাবে না। আজ বুধবার প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে এই সংক্রান্ত মামলার শুনানি হয়। আর এরপর দীর্ঘ শুনানি শেষে পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণার উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশের মেয়াদ আরও একবার বাড়িয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। শুধু তাই নয়, মামলার নিস্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত পঞ্চায়েত নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা যাবে না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন বিরোধী দলনেতা
গত কয়েকমাস আগে পঞ্চায়েত নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুধু তাই নয়, অনগ্রসর শ্রেণির আসন পুনর্বিন্যাসের দাবি আদালতের কাছে রাখেন তিনি। বিরোধী দলনেতার মতে, একাধিক ভোটে হিংসার ঘটনা ঘটেছে। এমনকি হিংসার ঘটনায় রক্তাত্ব পর্যন্ত হয়েছে বাংলা। এই অবস্থা অবাধ এবং সুষ্ঠ পঞ্চায়েত ভোট করতে কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রয়োজন বলে কলকাতা হাইকোর্টে আবেদনে জানান বিরোধী দলনেতা।
স্থগিতাদেশ না দেওয়ার আবেদন
কয়েক দফায় এই মামলার শুনানি হয়েছে প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে। মামলায় প্রথমে ২৭ জানুয়ারি এবং পরবর্তীকালে ফের একবার পঞ্চায়েত নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি ঘোষণার উপর স্থগিতাদেশ জারি করে আদালত। এই অবস্থায় আজ বুধবার ফের এই সংক্রান্ত মামলার শুনানি হয়। যদিও এদিন মামলার শুনানিতে শুভেন্দু অধিকারীর তরফে কোনও আইনজীবী ছিলেন না। তিনি অসুস্থ বলে জানানো হয় আদালতকে। যদিও নতুন করে কোনও স্থগিতাদেশ না দেওয়ার আবেদন জানানো হয় রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তরফে। যদিও আদালত আগামী ৯ মার্চ পর্যন্ত নতুন স্থগিতাদেশের মেয়াদ বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছে।
এপ্রিল-মে মাসে রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা
বলে রাখা প্রয়োজন, সামনেই পঞ্চায়েত গুলির মেয়াদ শেষ হচ্ছে। আর তার আগেই ভোট করাতে হয়। ইতিমধ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্যে প্রক্রিয়াও শুরু করে দিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। যদিও এই বিষয়ে রাজ্যের তরফে কোনও সবুজ সঙ্কেত দেওয়া হয়নি। কিন্তু এপ্রিল-মে মাসে রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আর তা ধরে নিয়েই নির্বাচন সংক্রান্ত সমস্ত কাজ সারছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। এই অবস্থায় নতুন করে স্থগিতাদেশ ঘিরে আইনি জটিলতায় নির্বাচন কমিশন। এই অবস্থায় ঠিক কবে বিজ্ঞপ্তি জানানো সম্ভব তা নিয়ে যদিও হাইকোর্ট কোনও বার্তা দেয়নি। যদি এভাবে চলকে সঙ্কট তৈরি হবে বলেও আশঙ্কা আইনজীবীদের একাংশের।
সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা
আইএ/ ০২ মার্চ ২০২৩