প্রেসিডেন্ট হলে ‘শত্রু দেশে’ মার্কিন সহায়তা বন্ধ করবেন নিকি
ওয়াশিংটন, ২৬ ফেব্রুয়ারি – প্রেসিডেন্ট হয়েই চীন, পাকিস্তানের মতো শত্রুদেশকে সহায়তা দেয়া বন্ধ করতে চান রিপাবলিকান দলের হয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের মনোনয়নপ্রত্যাশী নিকি হ্যালি। মার্কিন সংবাদপত্র নিউ ইয়র্ক পোস্টে লেখা একটি উত্তর সম্পাদকীয় নিবন্ধে তিনি জানিয়েছেন, ক্ষমতায় এলে যুক্তরাষ্ট্রের শত্রু দেশগুলোকে এক পয়সাও অনুদান দিতে চান না।
গত ১৫ ফেব্রিয়ারি হোয়াইট হাউস দখলের লড়াইয়ে অন্য পদপ্রার্থী হওয়ার আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষণা দিয়েছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত নিকি।
যুক্তরাষ্ট্রর দক্ষিণ ক্যারোলাইনা প্রদেশের সাবেক গভর্নর এবং জাতিসংঘে সাবেক মার্কিন দূত নিকি এই প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, যে সব দেশ যুক্তরাষ্ট্রকে ঘৃণা করে, সেইসব দেশের হাতে আমাদের দেশের মানুষদের কষ্টার্জিত অর্থ আমি কিছুতেই তুলে দেব না।
কোন কোন দেশ যুক্তরাষ্ট্রর অনুদান পাওয়ার জন্য যোগ্য বলে বিবেচিত হবে তাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন নিকি। তার মতে, যে সব দেশের নেতারা আমাদের বিশ্বাসের মর্যাদা দিতে পারবেন এবং আমাদের সহযোগী দেশগুলির পাশে দাঁড়াবেন, শুধু তাদেরই অনুদান দিতে থাকবে যুক্তরাষ্ট্র।
নিজের বক্তব্যের সমর্থনে কিছু উদাহরণ দিয়ে তিনি জানান, ইরানকে সাহায্য করার পরও সে দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্র বিরোধী স্লোগান উঠে আসছে। বেলারুশকে অনুদান দেয়ার পরেও যে তারা ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের পাশে দাঁড়িয়েছে, সে কথাও স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন তিনি। নিজের লেখায় চীনকে ‘গণতন্ত্রবিরোধী’ বলে তকমা দিয়েছেন তিনি। এছাড়াও পাকিস্তানকেও শত্রু রাষ্ট্র বলে উল্লেখ করেন নিকি।
পরিসংখ্যান বলছে, গত অর্থবর্ষে অনুদান খাতে ৪৬ বিলিয়ন ডলার খরচ করেছে জো বাইডেনের প্রশাসন। তবে তার জন্য ডেমোক্র্যাট শিবির কিংবা বাইডেনকে দূষতে চান না নিকি। তার মতে, দীর্ঘদিন ধরেই এই প্রথা চলে আসছে দীর্ঘকাল ধরেই। তিনি দেশের প্রেসিডেন্ট হলে এই নিয়মেই বদল আনতে চান। ভারতীয় বংশোদ্ভূত নিকি নিজের ‘রিফিউজি’ পরিচয় নিয়েও গর্বিত। তাকে জেতালে অন্য রিপাবলিক পার্টিকে দেখবে যুক্তরাষ্ট্র, এমনই প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন নিকি।
বেলুন বিতর্ক এবং ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে সারা বিশ্ব যখন আড়াআড়ি দুইভাগে বিভক্ত হয়ে যাচ্ছে, সে সময় নিকির এই বক্তব্যকে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
সূত্র: বাংলাদেশ জার্নাল
আইএ/ ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩