পশ্চিমবঙ্গ

‘সবার মুখোশ খুলে দেব’, হুঁশিয়ারি গোপালের

কলকাতা, ২৬ ফেব্রুয়ারি – নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় (Recruitment Scam) গ্রেফতারির পর থেকে একাধিকবার গোপাল দলপতির (Gopal Dalapati) নাম বলেছেন কুন্তল ঘোষ। বলেছেন তাঁর স্ত্রী হৈমন্তী গাঙ্গুলির নামও। যদিও গোপালের সাফ দাবি, সপরিবারে তাঁকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে কুন্তল। এমনকী হৈমন্তী এসব ব্যাপারে কিছুই জানেন না বলেও তাঁর দাবি। কিন্তু, কেন তাঁকে ফাঁসানোর চেষ্টা করবে কুন্তল? গোপালের ধারণা, “আমার নাম ব্যবহার করছে কারণ আমি শুরু থেকে ওর সঙ্গে ভাল ব্য়বহার করতাম। তখন থেকেই মনে হয় ও ভাবতে শুরু করেছিল একটা ভাল মুরগি পাওয়া গিয়েছে। এটাকে একটু সাজিয়ে গুছিয়ে রাখি। পরে বধ করা যাবে। এটাই আমার প্রথমদিকে মনে হয়েছিল। এছাড়াও আমি দেখেছি ও পার্থ ও আমার নাম বলেছে। পার্থ তো ইতিমধ্যেই জেলে। আর গোপাল দলপতি। ও শুনেছে তিহার জেলে দুবছর ধরে আছে। এটা ভেবেই হয়তো আমার নাম বলেছে। কারণ ও ভেবেছে এমন দুজনের নাম বলে দাও যা খুঁজতে লোকে পাগল থাকবে, ততদিনে আমার টাইম ফুরিয়ে যাবে। আমি বেরিয়ে যাব। তাই আমার নাম উড়িয়ে দিয়েছে।” তবে এখানেই না থেমে সবার মুখোশ খুলে দেওয়ারও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।

গোপালের দাবি, কুন্তল যে অভিযোগগুলি করছে সেগুলি ভিত্তিহীন প্রমাণ হয়ে যাচ্ছে। টিভি-৯ বাংলার এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে কুন্তলের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে গোপাল বলেন, “ও তো কোন এক অভিনেত্রীকে তিনটি বিলাসবহুল ফ্ল্যাট দিয়েছে। দামি গাড়ি দিয়েছে, দামি দামি আসবাবপত্র দিয়েছে। সেগুলি নিয়ে তো কোনও আলোচনা হয়নি। একটা আসামী, একটা কয়েদি হঠাৎ করে একটা নাম ভাসিয়ে দিল আর সেই নামটাকে নিয়ে সবাই তদন্ত করতে শুরু করে দিল। যেটা প্রমাণ হল তা নিয়ে কোনও কথা হল না। আর যদি ওর কাছে সত্যি সত্যি প্রমাণ থাকে তাহলে ইডি-সিবিআইকে দিক।” প্রসঙ্গত, শুরু থেকেই তাপস মণ্ডলের ঘনিষ্ঠ হিসাবে উঠে এসেছে গোপালের নাম। যদিও গোপালের দাবি, ‘কালপ্রিট’ কুন্তল তাপস মণ্ডলকে সোর্স হিসাবে ব্যবহার করত। এরকম অনেক সোর্সই তাঁর হাতে আছে। তিনি বলেন, “তাপসদা একটা সোর্স। উনি ওয়েস্টবেঙ্গল টিচার্স ট্রেনিং ইন্সস্টিটিউটের প্রেসিডেন্ট ছিলেন। তাঁকে সোর্স হিসাবেই ব্যবহার করতে চেয়েছিলেন কুন্তল। ওর কাছে এরকম আরও অনেক সোর্স আছে। আসল কালপ্রিট ওই। যার বাড়িতে রিসেন্ট পরীক্ষার ওএমআর শিট পাওয়া যায়, তারপরেও কী আর কিছু প্রমাণ করার বাকি থাকে না কি।”

সূত্র: টিভি নাইন
আইএ/ ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

Back to top button