শিবপুর উপজেলা চেয়ারম্যান হারুন অর রশীদ খান গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় আটক হয়নি কেউ
নরসিংদী, ২৬ ফেব্রুয়ারি – শিবপুর উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা হারুন অর রশীদ খান গুলিবিদ্ধ ও সকালে রায়পুরা থেকে সাবেক ইউপি সদস্য বাতেন মিয়ার গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় জেলা জুড়ে চরম আতংক বিরাজ করছে। গুলিবিদ্ধ হয়ে চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা হারুন অর রশীদ খান হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
চেয়ারম্যানের স্বজন ও দলীয় নেতাকর্মীরা সন্দেহ করছেন শনিবার সকালে গুলিবিদ্ধ এই ঘটনায় জড়িত পুটিয়ার আরিফ। আরিফ এমপি জহিরুল হক মোহনের বিশস্তদের একজন বলে জানান অনেকে।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত উপজেলা চেয়ারম্যান এর জ্ঞান ফিরেনি। অপারেশন করে মেরুদন্ড থেকে দুটি বুলেট বের করেছেন চিকিৎসকরা। এরপর তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে রাখা হয়েছে। ইতোমধ্যে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যসহ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয়, জেলা ও উপজেলা নেতরা হাসপাতালের সামনে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। জ্ঞান ফিরলেই চিকিৎকের পরামর্শ নিয়ে তার সাথে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা কথা বলবেন বলে জানান পুলিশ।
হারুন অর রশীদ খান গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর তিনি নিজেই বলেছেন আরিফের লোকজন তাকে গুলি করেছে।
গুলিবিদ্ধ উপজেলা চেয়ারম্যান-এর ভাতিজা রাব্বি খান জানান, ৮৬ সালের ২৮ এপ্রিল তার বাবা রবিউল আওয়াল কিরন খানকে গুলি করে শিবপুরের আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করতে চেয়েছিল সন্ত্রাসীরা। এরপর তার চাচা উপজেলা আওয়ামী লীগের হাল ধরেন। তার চাচার তুমুল জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে চেয়ারম্যানকে গুলি করে হত্যা করতে চেয়েছিল।
জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নিপুন খান বলেন, আরিফ স্থানীয় সংসদ সদস্য মোহনের চিহ্নিত ক্যাডার। কোনো বিশেষ ব্যক্তির মদদ ছাড়া এমনটি ঘটতে পারে না।
সাবেক এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপিত সিরাজুল ইসলাম বলেন, আমি মনে করি ২০১৪-তে ছাত্রলীগ নেতা খুন, ২০১৮-তে প্রকাশ্যে মিলন হত্যা এবং আজকের এ ঘটনা একই সূত্রে গাঁথা। আগে যারা এসব ঘটনা ঘটিয়েছে তারাই এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি করছে।
এ ঘটনায় কাউকে আটক করতে পেরেছে কিনা বা সিসিটিভি ফুটেজ থেকে সন্ত্রাসীদের চিহ্নিত করা গেছে কিনা কিছুই জানায়নি পুলিশ সুপার কাজী আশরাফুল আজীম। সন্দেহভাজনদেরও আটক করতে সাঁড়াশি অভিযান চালাচ্ছে বলে জানান তিনি।
সূত্র: বাংলাদেশ জার্নাল
আইএ/ ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩