ঢাকা, ২৩ ফেব্রুয়ারি – স্থানীয় গ্যাসক্ষেত্রগুলো থেকে জাতীয় গ্রিডে দৈনিক গ্যাস যুক্ত হচ্ছে প্রায় ২ হাজার ২০০ মিলিয়ন (২২০ কোটি) ঘনফুট। এর মধ্যে ১ হাজার ৩০০ মিলিয়ন (১৩০ কোটি) ঘনফুটের কিছু বেশি সরবরাহ হচ্ছে মার্কিন বহুজাতিক কোম্পানি শেভরন পরিচালিত গ্যাসক্ষেত্র থেকে, যা মোট স্থানীয় সরবরাহের ৬০ শতাংশের বেশি। বহুজাতিক কোম্পানিটি পরিচালিত তিনটি গ্যাসক্ষেত্রে এখন মজুদ নেমে এসেছে ৪৭৬ বিলিয়ন (৪৭ হাজার ৬০০ কোটি) ঘনফুটে।
সরবরাহ বর্তমান মাত্রায় চালু থাকলে আগামী দুই-তিন বছর পেরোনোর আগেই শেভরনের গ্যাসক্ষেত্রগুলোর মজুদ ফুরিয়ে আসার কথা। বিষয়টি উদ্বিগ্ন করে তুলছে জ্বালানি খাতের বিশেষজ্ঞ পর্যবেক্ষকদের। শেভরনের ক্ষেত্রগুলো থেকে জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ বন্ধ হলে এ ঘাটতি পূরণের জন্য স্থানীয় প্রতিষ্ঠানগুলো আদৌ প্রস্তুত কিনা, সে বিষয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন তারা।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জাতীয় গ্রিডে স্থানীয় সরবরাহের অর্ধেকেরও বেশি আসছে শেভরনের গ্যাসক্ষেত্রগুলো থেকে। বাড়তি সরবরাহের কারণে তাদের মজুদও কমে এসেছে। দেশে গ্যাস মজুদের অর্ধেকেরও বেশি আছে স্থানীয় কোম্পানিগুলোর পরিচালনাধীন গ্যাসক্ষেত্রে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোম্পানিগুলো সরবরাহ সেভাবে বাড়াতে পারেনি। দেশে গ্যাসের চাহিদা যেভাবে বাড়ছে, তাতে এখনই স্থানীয় সরবরাহের বিকল্প চ্যানেল বা সরবরাহ লাইন তৈরি করা না গেলে অদূর ভবিষ্যতে বড় ধরনের বিপর্যয়ের মুখোমুখি হতে পারে গ্যাস খাত।
এ বিষয়ে জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক বদরূল ইমাম বলেন, ‘আগামী কয়েক বছরের মধ্যে শেভরনের সরবরাহ অভাবনীয় হারে কমে যাবে। বর্তমান উত্তোলন যদি অর্ধেক নেমে যায়, সে পরিমাণ গ্যাস গ্রিডে সরবরাহ দেয়ার মতো সক্ষমতা কোথায়? এটি নিয়ে বড় আকারে কোনো পরিকল্পনা তো দেখি না। গ্যাস খাতে একটা মহাসংকট আসতে যাচ্ছে।’
শেভরনের গ্যাস সরবরাহ হ্রাসের ফলে সৃষ্ট ঘাটতি পূরণে স্থানীয় কোম্পানিগুলোর সরবরাহ বাড়ানোর বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘দেশী কোম্পানিগুলোর পক্ষে তা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। কারণ তারা নিজেরাই তো বছরের পর বছর ধরে উত্তোলন বাড়াতে পারেনি। বিপুল পরিমাণ গ্যাসের মজুদ নিয়েও গ্রিডে সরবরাহ করেছে কম। এখন যেসব উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে তাতে বড় ধরনের কোনো গ্যাস সরবরাহ গ্রিডে আসবে না।’
যদিও স্থানীয় গ্যাস উত্তোলন কোম্পানিগুলোর দাবি, শেভরনের মজুদ ফুরাতে এখনো পাঁচ-ছয় বছর সময় লাগবে। তাদের সরবরাহ একেবারে নিঃশেষ হবে না। জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ পর্যায়ক্রমে কমবে। এ সময়ের মধ্যে অন্য কোম্পানিগুলোর পরিচালনাধীন ক্ষেত্র থেকে নতুন গ্যাস গ্রিডে যুক্ত হবে। এর সঙ্গে সঙ্গে আবার নতুন নতুন কূপ খননের মাধ্যমে উত্তোলন বাড়ানোর উদ্যোগও নেয়া হচ্ছে।
কিন্তু বিষয়টি এতটা সহজ মনে করছেন না জ্বালানি খাতের বিশেষজ্ঞরা। এ বিষয়ে তাদের বক্তব্য হলো একটি কূপ খনন থেকে শুরু করে গ্যাস পাওয়া গেলে তা জাতীয় গ্রিডে যুক্ত করতে কমপক্ষে দুই বছর সময় প্রয়োজন। তবে কূপ এলাকা আগেই চিহ্নিত হলে ও ভূমিসংক্রান্ত জটিলতা না থাকলে এ সময় কিছুটা কমে যেতে পারে।
গ্যাসকূপ খননকাজে যুক্ত ছিলেন বাপেক্সের এমন সাবেক দুই কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নতুন একটি কূপ খনন করার পরিকল্পনা নেয়া হলে শুরুতেই কূপ খনন এলাকা চিহ্নিতকরণের (লোকেটিং দ্য ড্রিলিং পয়েন্ট) কাজ করতে হয়। এরপর সেখানে ভূতাত্ত্বিক জরিপ, সিসমিক সার্ভে ইত্যাদি কাজ সম্পন্ন করতে হয়। এটি করতে এক-দুই বছর সময় লেগে যায়। এরপর কূপ খননের জন্য বিশদ প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) তৈরি করতে হয়। বাপেক্স থেকে এ ধরনের ডিপিপি তৈরি করে তা পেট্রোবাংলার অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়। সেখান থেকে এটি পাঠানো হয় জ্বালানি বিভাগে। এরপর অনুমোদন প্রাপ্তি সাপেক্ষে বাপেক্স নিজস্ব অর্থায়ন বা গ্যাস উন্নয়ন তহবিলের (জিডিএফ) অর্থায়নে কূপ খনন শুরু করা হয়। সেটি করতেও কখনো কখনো এক-দেড় বছর সময় লেগে যায়।
তবে বাপেক্স ছাড়া অন্য কোম্পানি দিয়ে এ ধরনের কাজ করালে কোম্পানি নির্বাচন, দরপত্র আহ্বান, প্রকল্পের মালামাল ক্রয় বা ভাড়াসংক্রান্ত কাজে আরো দেড়-দুই মাস সময় লেগে যায়। এছাড়া প্রকল্প এলাকায় যাতায়াত ও পরিবহনের সুবিধার্থে সড়ক নির্মাণ, নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা ও লোকবল নিয়োগের মতো প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতেও কিছু সময়ের প্রয়োজন পড়ে। প্রকল্প এলাকায় রিগ স্থাপন থেকে শুরু করে গ্যাস পাওয়া পর্যন্ত প্রয়োজন পড়ে ১০০-১২০ দিনের মতো। সব মিলিয়ে গোটা প্রক্রিয়ায় সময় লেগে যায় তিন-চার বছর।
তবে কূপ খননে জমি অধিগ্রহণ ও জরিপসহ আনুষঙ্গিক কাজ এগিয়ে থাকলে কোনো কোনো ক্ষেত্রে একটি অনুসন্ধান কূপ খননে বাপেক্সের তিন-চার মাস সময় লাগছে। আবার কূপ খননের প্রকল্প গ্রহণ, অর্থায়ন ও প্রকল্প এলাকায় যেতে কখনো দুই-তিন বছর লেগে যাওয়ারও নজির রয়েছে। ফলে গ্রিডে শেভরনের সরবরাহ কমলে তাত্ক্ষণিকভাবে এ ঘাটতি পূরণের সক্ষমতা প্রশ্নবিদ্ধ থেকেই যাচ্ছে বলে মনে করছেন জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা।
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের হাইড্রোকার্বন ইউনিটের গত নভেম্বরের হালনাগাদকৃত তথ্য অনুযায়ী, দেশে ২৬টি গ্যাসফিল্ডের আওতায় মোট ১০ হাজার ৭৬ বিলিয়ন (১০ লাখ ৭ হাজার ৬০০ কোটি) ঘনফুট মজুদ রয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি মজুদ রয়েছে সিলেট গ্যাসফিল্ড কোম্পানি লিমিটেডের (এসজিএফসিএল)। সংস্থাটির পাঁচটি গ্যাসফিল্ডে মজুদ রয়েছে ৫ হাজার ১৯৭ বিলিয়ন (৫ লাখ ১৯ হাজার ৭০০ কোটি) ঘনফুট গ্যাস। এছাড়া বাংলাদেশ গ্যাসফিল্ড কোম্পানি লিমিটেডের ১ হাজার ১২৬ বিলিয়ন ঘনফুট, বাপেক্সের ২ হাজার ৪২০ বিলিয়ন (শাহবাজপুর ও ভোলা নর্থসহ), শেভরনের ৪৭৬ বিলিয়ন ও তাল্লোর ৮৪ বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের মজুদ রয়েছে।
পেট্রোবাংলার দৈনিক গ্যাস উত্তোলন প্রতিবেদন তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, কম মজুদ নিয়েও উত্তোলনের শীর্ষে রয়েছে শেভরন। কোম্পানিটি দৈনিক ১৩২ কোটি ঘনফুটের বেশি গ্যাস সরবরাহ করছে। আর সবচেয়ে বেশি গ্যাস মজুদ নিয়ে কম গ্যাস উত্তোলন করছে এসজিএফসিএল। সংস্থাটির দৈনিক উৎপাদন ৯ কোটি ৪০ লাখ ঘনফুটের মতো। স্থানীয় গ্যাস উত্তোলন কোম্পানিগুলোর মধ্যেও সবচেয়ে কম উত্তোলন করছে এসজিএফসিএল।
গ্যাস উত্তোলন ও সরবরাহ বাড়াতে সিলেট গ্যাসফিল্ডের আগামীর পরিকল্পনার বিষয়ে জানতে চাইলে সিলেট গ্যাসফিল্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মিজানুর রহমান বলেন, ‘আগামী ২০২৪ সালের মধ্যে এসজিএফসিএল থেকে দৈনিক ১৬৪ মিলিয়ন (১৬ কোটি ৪০ লাখ) ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। এজন্য সাতটি কূপের ড্রিলিং ও সাতটি কূপের ওয়ার্কওভার করা হবে। কূপ খননে বাপেক্সের পাশাপাশি চীনের সিনোপ্যাক কাজ করবে। এরই মধ্যে সিনোপ্যাক থেকে রিগ ভাড়ার চুক্তিও হয়ে গেছে।’
এসজিএফসিএল সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর রশিদপুর, কৈলাসটিলা ও হরিপুর গ্যাসফিল্ডে কূপ খনন ও ওয়ার্কওভারের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এর মধ্যে রশিদপুরে দুটি কূপ খনন এবং কৈলাসটিলা ও হরিপুরে দুটি কূপের ওয়ার্কওভারের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে এসজিএফসিএলের ফিল্ড থেকে আরো ৫-৬ কোটি ঘনফুট গ্যাস গ্রিডে যুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে কোম্পানিটির।
দেশের গ্যাস অনুসন্ধান, উত্তোলন কাজ করছে রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানি বাপেক্স। সংস্থাটির আওতায় থাকা গ্যাসক্ষেত্রগুলো থেকে দৈনিক সরবরাহ আসছে ১৮ কোটি ঘনফুট গ্যাস। যদিও সংস্থাটির মজুদ রয়েছে প্রায় আড়াই লাখ কোটি ঘনফুটের মতো। আগামীতে গ্যাসের উত্তোলন ও মজুদ বাড়াতে এরই মধ্যে পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে সংস্থাটি।
বাপেক্স সূত্রে জানা গেছে, আগামী ২০২৪ সালের মধ্যে সংস্থাটি তাদের নিজস্ব গ্যাসফিল্ডে মোট ১৯টি কূপ খননের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে অনুসন্ধান নয়টি এবং উন্নয়ন কূপ ১০টি। এর মাধ্যমে নতুন করে আরো ১৮ কোটি ১০ লাখ ঘনফুট গ্যাস যুক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছে।
বাপেক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ আলী বলেন, কূপ খননে রিগের শিডিউল করা হয়েছে। আগামী ২০২৫ সাল পর্যন্ত বাপেক্স এ শিডিউল অনুযায়ী কাজ করবে। অনুসন্ধান, উন্নয়ন ও কূপের ওয়ার্কওভার কাজ চলছে। পাশাপাশি আরো বৃহৎ আকারে গ্যাস অনুসন্ধানে এরই মধ্যে স্থলভাগের ব্লক ১৫ ও ২২-এ তিন হাজার লাইন কিলোমিটার টুডি সিসমিক সার্ভে শেষ হয়েছে।
দেশে গ্যাস সরবরাহ বাড়াতে আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে ৪৬টি কূপ খননের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে জ্বালানি বিভাগ। এর মাধ্যমে জাতীয় গ্রিডে সাড়ে ৬১ কোটি ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ বাড়ানোর পরিকল্পনা সরকারের এ সংস্থার। পাশাপাশি বিশ্ববাজার থেকে এলএনজি আমদানি করে জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ বাড়ানোর পরিকল্পনা করা হচ্ছে। যদিও অর্থ ও ডলার সংকটে এলএনজি আমদানি কার্যক্রম ও এসব পরিকল্পনা বাস্তবায়ন নিয়ে যথেষ্ট চ্যালেঞ্জ রয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
সার্বিক বিষয়ে জানতে জ্বালানি সচিব ড. মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
গোটা দক্ষিণ এশিয়ায় বর্তমানে শুধু বাংলাদেশেই ব্যবসায়িক কার্যক্রম চালাচ্ছে শেভরন। দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে কোম্পানিটি দেশের জ্বালানি খাতে ব্যবসা করছে। দেশে এর কার্যক্রম বিস্তৃত রয়েছে প্রায় ১ লাখ ৮৬ হাজার একর এলাকাজুড়ে। এর মধ্যে ২০১৭ সালে বাংলাদেশ থেকে ব্যবসা গুটিয়ে নেয়ার পরিকল্পনা করলেও পরে এ চিন্তা থেকে সরে আসে শেভরন। বর্তমানে কোম্পানিটি এখন ভূভাগে (অনশোর) উত্তোলন কার্যক্রম সম্প্রসারণে তত্পর হয়ে উঠেছে। কয়েকটি গ্যাসক্ষেত্রে উত্তোলন কার্যক্রম চালানোর আগ্রহও প্রকাশ করেছে শেভরন। সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, শেভরন এখন দেশের ভূভাগের ১১টি ব্লকের হাই প্রেশার জোনে অনুসন্ধান চালাতে আগ্রহী। এর মধ্যে রশিদপুর ও ছাতকে নাইকোর ফেলে যাওয়া কূপে উত্তোলন কার্যক্রম চালাতে চায় কোম্পানিটি। এ নিয়ে পেট্রোবাংলার কাছে প্রস্তাবও দিয়েছে শেভরন।
শেভরন বাংলাদেশের কমিউনিকেশনস ম্যানেজার শেখ জাহিদুর রহমান বলেন, ‘দেশের ক্রমবর্ধমান জ্বালানি চাহিদা পূরণের জন্য প্রয়োজন সাশ্রয়ী মূল্যে প্রাকৃতিক গ্যাসের নিরাপদ ও নির্ভরযোগ্য সরবরাহ নিশ্চিত করা। এ নিয়ে সরকার ও পেট্রোবাংলার সঙ্গে অংশীদারত্বের ভিত্তিতে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে শেভরন বাংলাদেশ। ২৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলাদেশে বিনিয়োগ করছে শেভরন। এখানকার অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও জনকল্যাণে সম্ভাবনা নিয়ে আমরা উচ্ছ্বসিত। তবে কোম্পানির দীর্ঘদিনের অনুসৃত নীতি অনুযায়ী, নিজস্ব বাণিজ্যিক কার্যক্রম নিয়ে আমাদের মন্তব্য করার নিয়ম নেই।’
সূত্র: বণিক বার্তা
এম ইউ/২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩