জাতীয়

শহীদ মিনারে বর্ণচোরাদের মায়াকান্না

দিনাজপুর, ২১ ফেব্রুয়ারি – নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বিএনপি শহীদ মিনারে এসে ভাষা দিবসে মায়াকান্না কাঁদে। এটা আমাদের সব থেকে লজ্জার বিষয়। যারা মাতৃভাষাকে সংরক্ষণ করে না, মাতৃভাষাকে শ্রদ্ধা জানায় না। যারা মাতৃভাষাকে রাজনৈতিক স্বার্থ হিসেবে ব্যবহার করে, তারাই আজকে শহীদ মিনারে আসে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে।

তিনি বলেন তারা বর্ণচোরা। তাদের শ্রদ্ধা এই জায়গায় নয়; তাদের শ্রদ্ধা অন্য জায়গায়।

মঙ্গলবার দিনাজপুরের বিরল কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে ‘শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২০২৩ উপলক্ষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ২০০১ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইন্সটিটিউটের ভিত্তি রচনা করেছিলেন। ২০০১ সালের ১ অক্টোবর নির্বাচনে জোর করে ক্ষমতায় এসে ২০০১-২০০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপি-জামায়াত জোট আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইন্সটিটিউটের কাজ এক চুল পরিমাণ এগিয়ে নেয়নি। তারা এর কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছিল। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষার যে অর্জন সেটি তারা সামনের দিকে এগিয়ে নেয়নি।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা গর্ব করে বলতে পারি, যে যাত্রা আমাদের মহান নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শুরু করেছিলেন এবং এ জাতিকে একটি সংগ্রামী জাতিতে পরিণত করেছিলেন এবং অগ্রসরমান জাতি হিসেবে তিনি রুপরেখা দিয়েছিলেন। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর সেটি আর বাস্তবায়িত হয়নি।। পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী যারা আমার মায়ের ভাষা কেড়ে নিতে চেয়েছিল; যারা আমাদের মা-বোনকে হত্যা নির্যাতন করেছে, বাড়িঘর জ্বালিয়েছে, গণহত্যা চালিয়েছে, তারা পাকিস্তানি ভাবধারায় দেশ পরিচালনা করেছিল। বাংলাকে যেন তুলে ধরতে না পারি যত ধরনের কর্মকাণ্ড দরকার সেটি তারা করেছিল। এ ধারাবাহিকতা চলেছিল জিয়াউর রহমানের হাত ধরে, এরশাদের পথ ধরে এবং খালেদা জিয়া একই ধারায় চলেছে। ফলে তখন আমরা মুক্তিযুদ্ধ ও ভাষা শহীদদের কাঙ্ক্ষিত পথে পৌঁছতে পারিনি। আজকে গর্ব করে বলতে পারি- আমরা সেই কাঙ্ক্ষিত জায়গায় গেছি। ভাষার জন্য যারা জীবন দিয়েছেন, সংগ্রাম করেছেন এবং যারা এখনো বেঁচে আছেন তারা গর্ব করে বলতে পারেন তাদের সংগ্রামের চেতনা পৃথিবীতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সমগ্র পৃথিবী তাদের সংগ্রামের কথা জানতে পারছে।

বিরল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আফছানা কাওসার অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। এসময় অন্যান্যের মধ্যে বিরল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান বাবু, বিরল পৌরসভার মেয়র সবুজার সিদ্দিক সাগর ও বিরল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রমাকান্ত রায় উপস্থিত ছিলেন।

সূত্র:বাংলাদেশ জার্নাল
আইএ/ ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

Back to top button