মধ্যপ্রাচ্য

সোমবারের ভূমিকম্পে ধ্বংসস্তূপের নিচে বহু মানুষ আটকা পড়েছে

আঙ্কারা, ২১ ফেব্রুয়ারি – তুরস্ক ও সিরিয়ায় সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাতে নতুন করে আঘাত হানে ৬ দশমিক ৪ মাত্রার আরেকটি শক্তিশালী ভূমিকম্প। এর ঠিক পরপরই ৫ দশমিক ৮ আরেকটি কম্পন অনুভূত হয় সেখানে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, নতুন ভূমিকম্পে তুরস্কে আরও ৩ জন নিহত হয়েছেন। ভবন ধসে পড়ে অনেকে আটকা পড়েছেন। এছাড়া নতুন কম্পনে তুরস্ক-সিরিয়ায় আহত হয়েছেন আরও প্রায় ৬৮০ জন মানুষ।

গত ৬ ফেব্রুয়ারি ঠিক এই জায়গাতেই ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছিল। ওই ভূমিকম্পে শত শত ভবন ধসে পড়ে এখন পর্যন্ত প্রায় ৪৭ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে।

তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুলেমান সোলো জানিয়েছেন, নতুন ভূমিকম্পে প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে আন্তাকিয়া, দেফনে এবং সামানদাগিতে। তিনি ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলোতে আপাতত প্রবেশ না করার অনুরোধ জানিয়েছেন।

বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, আন্তাকিয়ায় আগের ভূমিকম্পে যেসব বাড়ি-ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল, নতুন কম্পনে সেগুলোর অবস্থা আরও খারাপ হয়ে গেছে। অপরদিকে হাতেয় এর মেয়র জানিয়েছেন, সেখানে মানুষ আবারও ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়েছেন।

 

নিজের সাত বছরের সন্তানকে কোলে নিয়ে বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে অশ্রুসিক্ত চোখে মুনা আল-ওমর নামের এক স্থানীয় নারী বলেছেন, ‘আমি ভেবেছিলাম আমার পায়ের নিচে পৃথিবীটা দুই ভাগ হয়ে যাবে।’ মুনা বর্তমানে আন্তাকিয়ায় একটি তাঁবুতে বসবাস করছেন।

গত ৬ ফেব্রুয়ারির পর তুরস্কে এখন পর্যস্ত ৬ হাজার বার আফটারশক হয়েছে বলে জানিয়েছে তুরস্কের সরকারি সূত্র। তবে সর্বশেষ যে আফটারশকটি হয়েছে, এটি অনেক বেশি শক্তিশালী ছিল।

সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, সাধারণ মানুষের মধ্যে এখন চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। নতুন কম্পনের পর অনেকে বাইরে বের হয়ে আসেন। মানুষ আতঙ্কে ছোটাছুটি করতে থাকেন। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা থেকে মানুষকে উদ্ধারে উদ্ধারকারীরা অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে দ্রুত আসেন।

সূত্র: ঢাকা পোস্ট
আইএ/ ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

Back to top button