ময়মনসিংহ, ১৯ ফেব্রুয়ারি – ময়মনসিংহে সপ্তাহের ব্যবধানে খাসির মাংস কেজিতে ১০০ টাকা বেড়ে এক হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গরুর মাংসেও কেজিতে ৫০ টাকা বেড়েছে। বিক্রি হচ্ছে ৭০০ টাকা কেজি। ফার্মের মুরগির ডিম প্রতি হালি ৪৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
রোববার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নগরীর প্রধান বাজার মেছুয়াবাজারে ঘুরে দেখা যায়, সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লার দাম কেজিতে ৫০ টাকা বেড়ে ২৪০ টাকা, সোনালি মুরগি ৬০ টাকা বেড়ে ৩২০ টাকা, সাদা কক ৫০ টাকা বেড়ে ৩০০ টাকা, লেয়ার ৪০ টাকা বেড়ে ৩০০ টাকা এবং দেশি মুরগি ৫০ টাকা বেড়ে ৪৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মাংস মহালের মাংস বিক্রেতা মো. বাবু বলেন, বিয়ে ও সামাজিক অনুষ্ঠান বেশি থাকায় মাংসের চাহিদা অনেক। এজন্য দামও বেড়েছে।
বাজার করতে আসা মিন্টু সরকার বলেন, ‘রোজা না আসার আগেই নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ছে। স্থানীয় প্রশাসন যদি বাজার মনিটরিং করতো, তাহলে দাম কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণে থাকতো।’
এদিকে সপ্তাহের ব্যবধানে বেশ কয়েক ধরনের সবজির দাম বেড়েছে। কাঁচা মরিচ ৪০ টাকা বেড়ে ১২০ টাকা, সজনে ডাঁটা ৪০ টাকা বেড়ে ২৪০ টাকা, শসা ৩০ টাকা, গাজর ৩০ টাকা, করলা ৪০ টাকা বেড়ে ১২০ টাকা, টমেটো ২০ টাকা, পটোল ১০০ টাকা, বেগুন ১০ টাকা বেড়ে ৫০ টাকা, শিম ১০ টাকা বেড়ে ৪০ টাকা, ঢ্যাঁড়শ ১০০ টাকা, মিষ্টিকুমড়া ১০ টাকা বেড়ে ৬০ টাকা, কচুর লতি ৯০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, ফুলকপি ২০ টাকা পিস, বাঁধাকপি ৩০ টাকা পিস, পেঁপে ৫ টাকা বেড়ে ২৫ টাকা কেজি, মটরশুঁটি ১০ টাকা বেড়ে ৭০ টাকা ও লাউ ৭০ টাকা পিস বিক্রি হচ্ছে।
পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমলেও রসুনের দাম এক লাফে ৬০ টাকা বেড়েছে বলে জানান বিক্রেতা আব্দুস সালাম।
তিনি বলেন, চায়না রসুন ২০০ টাকা, দেশি রসুন ৪০ টাকা বেড়ে ১২০ টাকা, পেঁয়াজ চার টাকা কমে ২৬ টাকা, আদা ৯০ টাকা, হল্যান্ড আলু ১৮ টাকা ও দেশি আলু ২০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
বাজার করতে আসা যুবক জোবায়ের বিন সিদ্দীক বলেন, ‘বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার চড়া। সবকিছু আমাদের মতো মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্তদের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে। আগে তো সপ্তাহে দু একবার ব্রয়লার মাংস খেতে পারতাম। এখন তাও ছেড়ে দিতে হবে।’
ইব্রাহিম স্টোরের মালিক ইব্রাহিম খলিল বলেন, সপ্তাহের ব্যবধানে সব ধরনের ডালের দাম বেড়েছে। তবে রোজার সময় কিছুটা কমে আসবে বলে মনে করেন তিনি।
মেছুয়া বাজারে মাসকলাই ১০ টাকা ১১০ টাকা, ছোলা চার টাকা বেড়ে ৮৪ টাকা, ভাঙা মসুর চার টাকা বেড়ে ৮৬ টাকা, হাইব্রিড মসুর দুই টাকা বেড়ে ৯৩ টাকা, খেসারি তিন টাকা বেড়ে ৭৮ টাকা, বুট ছয় টাকা বেড়ে ৯০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
মাছ মহালের মাছ বিক্রেতা কামাল হোসেন বলেন, বাজারে মাছের আমদানি কম। তাই দাম বেড়েছে। দেশি মাছের দাম কেজিতে ১০০ থেকে ১৫০ টাকা বেড়েছে।
ট্যাংরা ৫০০ টাকা, বাইম ১০০০ টাকা, বেলে ৭০০ টাকা, নদীর গুলশা ৮০০ টাকা, পাবদা ৮০০ টাকা, কাকিলা মাছ ৭০০ টাকা, কাচকি ৭০০ টাকা, চাপিলা ৪০০ টাকা, কালবাউশ ১০০০ টাকা, বোয়াল ৬০০ টাকা, রুই ৩৬০ টাকা, কাতলা ৩০০ টাকা, শিং মাছ ৫০০ টাকা, কই ২৫০ টাকা, চিংড়ি ৬০০ টাকা, রাজপুঁটি ২০০ টাকা, শোল ৬০০ টাকা, সিলভার কার্প ১৮০ টাকা, তেলাপিয়া মাছ ১৬০ টাকা, পাঙাশ মাছ ২০০ টাকা ও আইড় মাছ ৭০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক নিশাত মেহের বলেন, বাজার নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।
সূত্র: জাগো নিউজ
এম ইউ/১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩