জাতীয়

ইন্টারনেট ব্যাংকিংয়ে লেনদেন বেড়েছে ৭ হাজার কোটি টাকা

ঢাকা, ১৯ ফেব্রুয়ারি – বৈশ্বিক মহামারি করোনার সময়ে ‘ক্যাশলেস ইকোনমি’ ধারণাটি বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠে। রীতিমতো বাধ্য হয়েই সবাইকে কেনাকাটা থেকে শুরু করে ব্যাংক লেনদেনের সব কাজ অনলাইনে করতে হয়েছে। সহজে লেনদেন সম্পন্ন করা, সময় ও পরিশ্রম সাশ্রয়ের কারণে রীতিমতো বিপ্লব ঘটে গেছে ইন্টারনেট ব্যাংকিং বা আই-ব্যাংকিং এ। অনেকেই এখন বিভিন্ন আর্থিক সেবা পেতে কম্পিউটার ও মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করছে। গত ডিসেম্বরে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে লেনদেন হয়েছে ২৭ হাজার ৫৫৮ কোটি টাকা। এর আগে ২০২১ সালের ডিসেম্বরে লেনদেন হয়েছিলো ২০ হাজার ৫৫৮ কোটি টাকা। অর্থাৎ এক বছরে ইন্টারনেট ব্যাংকিংয়ে লেনদেন বেড়েছে ৭ হাজার কোটি টাকা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

তথ্য অনুযায়ী, চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে (জুলাই -ডিসেম্বর) ইন্টারনেট ব্যাংকিংয়ে লেনদেন হয়েছে ১ লাখ ৫৬ হাজার ৬৪৮ কোটি টাকা। ডিসেম্বর মাসে লেনদেন হয়েছে ২৭ হাজার ৫৫৮ কোটি টাকা। ২০২১ সালের ডিসেম্বরে লেনদেনের পরিমাণ ছিলো ২০ হাজার ৫৫৮ কোটি টাকা। তারও আগের বছর ২০২০ সালের ডিসেম্বরে লেনদেন হয়েছিলো ৮ হাজার ৯২ কোটি টাকা।

ইন্টারনেট ব্যাংকিং সাধারণত অনলাইন ব্যাংকিং নামে অধিক পরিচিত। এর মাধ্যমে গ্রাহকরা আর্থিক লেনদেন ও বিল পেমেন্টসহ নানা ধরনের পরিষেবা সহজেই পান। স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ২ দশক আগে বাংলাদেশে ইন্টারনেট ব্যাংকিং চালু করে। তখন থেকেই দ্রুত গতিতে এটি দেশব্যাপী বহুল প্রচলিত হতে শুরু করে।

এদিকে করোনার সময়ে অনলাইন ব্যাংকিংয়ের ব্যবহার বিপুল পরিমাণে বেড়েছিলো। কারণ, এর মাধ্যমে বাইরে যাওয়ার ঝুঁকি এড়িয়ে গ্রাহকরা ঘরে বসে সহজেই কাজ সারতে পারেন। গ্রাহকরা ইন্টারনেট ব্যাংকিং ব্যবহার করেই আর্থিক লেনদেন করতে আগ্রহী হওয়ায় গত বছরের ডিসেম্বর শেষে গ্রাহক সংখ্যা বেড়ে দাড়িয়েছে ৬২ লাখ ৫২ হাজারে দাড়িয়েছে। এর আগের বছর ২০২১ সালের ডিসেম্বরে ইন্টারনেট ব্যাংকিং ব্যবহার করা গ্রাহকের সংখ্যা ছিলো ৪৪ লাখ ৩৯ হাজার।

সূত্র: বাংলাদেশ জার্নাল
এম ইউ/১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

Back to top button