স্ত্রীকে হত্যার পর আলমারিতে লুকিয়ে রেখে স্বামীর আত্মসমর্পণ
দিনাজপুর, ১৮ ফেব্রুয়ারি – দিনাজপুরে বিয়ের এক মাস না যেতে স্ত্রীকে হত্যা করে থানায় আত্মসমর্পন করেছে স্বামী মনোয়ার হোসেন (৩২)। শুক্রবার ভোরে স্ত্রী সুমাইয়া আক্তারকে (২৭) হত্যার পর রাত ১০টার দিকে কোতোয়ালী থানায় গিয়ে স্ত্রীকে খুনের কথা পুলিশকে জানান।
পুলিশ জানায়, মনোয়ার হোসেনের সঙ্গে দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার সুজালপুরের কলেজপাড়ার আব্দুল খালেকের মেয়ে সুমাইয়া আক্তারের এক মাস আগে বিয়ে হয়। মনোয়ারের বাড়ি দিনাজপুর শহরের ছোট গুড়গোলায়। তিনি ঘাসিপাড়ায় ওই বাড়ির চতুর্থ তলায় এক বছর যাবত ভাড়া থাকেন।
দিনাজপুর সদর সার্কেল অতিরিক্ত পুলিশ শেখ মো. জিন্নাহ আল মামুন জানান, মো. মনোয়ার হোসেন শুক্রবার ভোর ৩টা থেকে ৪টার মধ্যে তার স্ত্রীকে গলা টিপে হত্যার পর মরদেহ ওয়ারড্রোবে লুকিয়ে রাখে। ওই দিন রাত ১০টার দিকে থানায় এসে আত্মসমর্পন করে। তার দেয়া তথ্য মতে কোতয়ালি থানার পুলিশ মরদেহ রাত পৌনে ১১টায় উদ্ধার করে এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে এবং মামলার প্রস্ততি চলছে।
হত্যার কারণ সম্পর্কে পুলিশ নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারেনি।
নিহত সুমাইয়া আক্তার এর ছোট ভাই মো. ইসহাক আলী বাদী হয়ে দিনাজপুর কোতয়ালী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এসময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, তার বোনের সাথে মনোয়ার হোসেনের গত জানুয়ানি মাসের ২০ তারিখে পারিবারিকভাবেই বিয়ে সম্পন্ন হয়।
তিনি আর বলেন, মনোয়ার হোসেনের পূর্বে একজন স্ত্রী ছিল সেটা আমাদের জানা ছিল না। কিন্তু আমার বোনকে বিয়ে দেবার পর জানতে পারি সে নেশা করে এবং বিবাহিত। তাও আমরা মেনে নিয়ে ছিলাম। আমরা ঘাতক মনোয়ার হোসেনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
সূত্র: বাংলাদেশ জার্নাল
আইএ/ ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩