ইউরোপ

স্পেনে পিরিয়ডকালীন ছুটি দিতে আইন

মাদ্রিদ, ১৭ ফেব্রুয়ারি – অবশেষে ঐতিহাসিক পদক্ষেপ নিলো স্পেন। দেশটিতে পিরিয়ড বা মাসিক ঋতুচক্রের সময় মেয়েদের চাকরি থেকে ছুটি দেওয়ার প্রস্তাবটি চূড়ান্তভাবে অনুমোদন দিয়েছেন আইন প্রণেতারা। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) এই প্রস্তাবটি অনুমোদন দেওয়া হয়। এর ফলে ইউরোপের প্রথম হিসেবে এমন সাহসী পদক্ষেপ নিয়েছে স্পেন। খবর উইওয়ান

আইনটি অনুমোদনের সঙ্গে সঙ্গে দেশটির সমতা মন্ত্রী আইরিন মন্টেরোও টুইটারে লেখেন, ‘নারীবাদী অগ্রগতির জন্য আজ ঐতিহাসিক দিন।’

তবে, এই আইনে পিরিয়ডের সময় নারীরা কত দিন ছুটি পাবেন সে বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু বলা হয়নি। অনুমোদন দেওয়া আইনে আরও বলা হয়েছে, এই ছুটি পেতে অবশ্যই চিকিৎসকের সনদপত্র জমা দিতে হবে।

এদিকে আইনটি চূড়ান্ত অনুমোদনের পর স্পেন জুড়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে দেশটির প্রধান বিরোধী দল ও ট্রেড ইউনিয়ন আইনটির সমালোচনা করেছে। তাদের দাবি, এই আইনের ফলে নারীদের প্রতি নেতিবাচক ধারণা তৈরি হতে পারে। এমনকি কর্মক্ষেত্রে পুরুষ কর্মী নিয়োগের দিকে ঝুঁকতে পারে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান।

স্পেনের অন্যতম বৃহত্তম ট্রেড ইউনিয়ন ইউজিটি সতর্ক করেছে বলছে, এটি কর্মক্ষেত্রে নারীদের কলঙ্কিত করতে পারে এবং চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে পুরুষদের সুবিধা দেওয়া হতে পারে।

দেশটির প্রধান বিরোধী দল রক্ষণশীল পপুলার পার্টিও (পিপি) সতর্ক করেছে। দলটি বলছে, এই আইনটি নারীদের জন্য ‘কলঙ্কজনক’ হতে পারে। এছাড়া শ্রমবাজারে নারীদের ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পাড়ে।

উল্লেখ্য, স্পেনে পিরিয়ড বা মাসিক ঋতুচক্রের সময় মেয়েদের চাকরি থেকে ছুটি দেওয়ার একটি প্রস্তাব গত ১৭ মে মন্ত্রিসভায় তোলা হয়।

এদিকে, বিশ্বে পিরিয়ড কালীন মেয়েদের ছুটি দেওয়ার আইন এই প্রথম নয়। এর আগে জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, তাইওয়ান, ইন্দোনেশিয়া ও জাম্বিয়াতে বেতনসহ ছুটি দেওয়ার আইন রয়েছে। কিন্তু মেয়েদের ছুটি নেওয়ার ক্ষেত্রে অনীহা রয়েছে যথেষ্ট পরিমাণে।

জাপানে ১৯৪৭ সাল থেকে এই আইন কার্যকর রয়েছে। কিন্তু সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গেছে, ১০ শতাংশের কম নারী এই ছুটি নিয়ে থাকেন। এর কারণ হিসেবে উল্লেখ করেন, তারা ঊর্ধ্বতন পুরুষ সহকর্মীর কাছে এই ছুটির আবেদন করতে চাননি। আবার অনেকে এই ছুটি নেওয়ার কথা ভাবলেও শেষ পর্যন্ত নেননি।

সূত্র: সমকাল
আইএ/ ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

Back to top button