বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

ইউটিউবের শীর্ষপদে ভারতীয় বংশোদ্ভূত, নতুন সিইও নিল মোহন

বিশ্বের বৃহত্তম ও বহুল ব্যবহৃত ভিডিও স্ট্রিমিং প্রতিষ্ঠান ইউটিউবের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) পদে নিয়োগ পেতে চলেছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত নিল মোহান। এর আগে বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সুসান ওজসিকি ইউটিউবের সিইও পদ থেকে পদত্যাগের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজেই পদত্যাগের বিষয়টি জানান সুসান (৫৪)। নিজের পরিবার, স্বাস্থ্য ও ব্যক্তিগত কাজে মনযোগ দিতেই ইউটিউব ছাড়ছেন বলে দাবি করেন তিনি। ঠিক এমন একটি সময়ে বড় এ পরিবর্তনটি এলো, যখন ইউটিউবকে টিকটক ও নেটফ্লিক্সের সঙ্গে চূড়ান্ত প্রতিযোগিতা করতে হচ্ছে।

জানা যায়, জন্মলগ্ন থেকেই ইউটিউবের সঙ্গে ছিলেন সুসান। ২৫ বছর আগে তার গ্যারেজ থেকেই পথচলা শুরু হয় ইউটিউবের। ২০১৪ সালে থেকে তিনি প্রতিষ্ঠানটির সিইও’র দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।

তার আগে সুসান গুগ্‌লের বিজ্ঞাপন বিভাগের প্রধান সহ-সভাপতি হিসেবে কাজ করেন। গুগ্‌লের প্রথম দিকের কর্মীদের মধ্যে একজন তিনি। গুগলের আগে সুসান চিপ প্রস্তুতকারক কোম্পানি ইনটেলে কাজ করেন।

এদিকে, হতে যাওয়া সিইও নিল মোহান যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পড়ালেখা করেন। ২০০৮ সালে তিনি গুগলে যোগ দেন। ২০১৫ সালে নিল ইউটিউবের প্রধান পণ্য কর্মকর্তা পদে নিয়োগ পান।

তার হাত ধরে গড়ে ওঠে ইউটিউবের একটি শীর্ষস্থানীয় ইউএক্স দল। তারা বর্তমানে ইউটিউবের সবচেয়ে বড় সেবা— ইউটিউব টিভি, ইউটিউব মিউজিক, ইউটিউব প্রিমিয়াম ও শর্টস এগুলো নিয়ে এসেছেন।

জানা যায়, গুগ্‌লের আগে নিল মাইক্রোসফ্‌টে কাজ করেন। এ ছাড়া বহু নামী সংস্থায় বোর্ড সদস্যও ছিলেন তিনি। এছাড়া জেনোমিক্স ও বায়োটেকনোলজি কোম্পানি ২৩ এন্ডমির গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।

নিল গুগলেরই আরেক প্রতিষ্ঠান ডাবলক্লিকে প্রায় ছয় বছর কাজ করেছেন। ২০০৭ সালে ডাবলক্লিককে কিনে নেয় গুগল। এছাড়া তিনি দীর্ঘ আট বছর ধরে গুগলের ডিসপ্লে অ্যান্ড ভিডিও অ্যাডভারটাইজিং বিভাগের সিনিয়র প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

ভারতীয় বংশোদ্ভূত সিইওদের তালিকায় নতুন নাম নিল মোহান। বর্তমানে সত্য নাদেলা (মাইক্রোসফ্‌ট), শান্তনু নারায়ণ (অ্যাডোবি) ও সুন্দর পিচাইয়ের (গুগল) মতো ভারতীয় বংশোদ্ভূত নাগরিক বিশ্বখ্যাত সব প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের সিইও হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।

আইএ/ ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

Back to top button