আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও রিজভীর সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হয়নি, অভিযোগ স্ত্রীর
ঢাকা, ১৫ ফেব্রুয়ারি – মামলার হাজিরার জন্য কেরাণীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ঢাকার সিএমএম কোর্টে আনা হয় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীকে। বুধবার সকালে কারাগার থেকে আদালতে আনার পর তাকে রাখা হয় হাজতখানায়। পরে তার শারীরিক অসুস্থতা ও মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে স্ত্রী আরজুমান আরা বেগম স্বামী রিজভীর সঙ্গে দেখা করতে আইনজীবীর মাধ্যমে আদালতের অনুমতি চান।
আদালত আবেদনটি মঞ্জুর করে সাক্ষাতের অনুমতি দেন। রুহুল কবির রিজভীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. রফিকুল ইসলামকেও সাক্ষাতের অনুমতি দেয়া হয়। কিন্তু হাজতখানার ওসি রিজভীর সঙ্গে তার স্ত্রী এবং ব্যক্তিগত চিকিৎসককে সাক্ষাত করতে দেননি বলে অভিযোগ করেন রিজভীর স্ত্রী ও তার আইনজীবী। দুই ঘণ্টা কারাগারের হাজতখানায় রাখার পর সাড়ে ১২টায় কেরাণীগঞ্জ কারাগারে নেয়ার জন্য প্রিজনভ্যানে তোলা হয় রিজভীকে।
রুহুল কবির রিজভীর প্যানেল আইনজীবী মশিউর রহমান শান্ত বলেন, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী শারীরিকভাবে অত্যন্ত অসুস্থ। অসুস্থতা ও মামলা জনিত কারণে স্ত্রী আরজুমান আরা বেগম ও চিকিৎসকের সাক্ষাত প্রদান জরুরি। এ বিষয়ে আমরা বিজ্ঞ আদালতের কাছে আবেদন করলে তা মঞ্জুর করা হয়। কিন্তু হাজতখানার ওসি আদালতের আদেশকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন।
এ বিষয়ে হাজাতখানার ওসির বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
রিজভীর সহধর্মিণী আরজুমান আরা বেগম বলেন, রিজভী শারীরিকভাবে অত্যন্ত দুর্বল হয়ে পড়েছেন। তার শরীর ভালো নেই। তার উন্নত চিকিৎসা দরকার। আমরা তার নিয়মিত খোঁজ খবর পাই না। এর আগে গত ২৩ জানুয়ারি রিজভী কারাগারে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছিল।
তিনি বলেন, আজকে আদালত আমাকে ও ডা. রফিকুল ইসলামকে রিজভীর সঙ্গে দেখা করার অনুমতি দিলেন; কিন্তু হাজতখানার ওসি সেই আদেশকে তোয়াক্কা করলেন না। আমাদেরকে তিনি দুই ঘণ্টা অপেক্ষা করিয়েও দেখা করতে দেননি।
সূত্র: বাংলাদেশ জার্নাল
আইএ/ ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩