পশ্চিমবঙ্গ

শিয়রে পঞ্চায়েত ভোট, সরকারি কর্মচারীদের আন্দোলন নিয়ে ‘চাপের’ মধ্যে কেমন হবে রাজ্য বাজেট?

কলকাতা, ১৫ ফেব্রুয়ারি – কেন্দ্রের সাধারণ বাজেট পেশ হয়েছে আগেই, এবার পেশ হতে চলেছে রাজ্য বাজেট। বুধবারই বাজেট পেশ করবে রাজ্য সরকার। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এটাই শেষ বাজেট। তাই এই বাজেটের দিকে নজর থাকবে সব মহলের। একদিকে নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে তোলপাড় রাজ্য, অন্য়দিকে বকেয়া ডিএ দেওয়ার দাবিতে রাজ্য জুড়ে সরব হয়েছে কর্মী সংগঠনগুলি। এমতাবস্থায় সাধারণের কথা মাথায় রেখে সরকার কী পদক্ষেপ করবে, সেটাই দেখার। মনে করা হচ্ছে সামাজিক প্রকল্পে বরাদ্দ বাড়াতে পারে রাজ্য সরকার। যদিও বিরোধীরা ইতিমধ্যেই বলতে শুরু করেছেন, তাঁদের এই বাজেট নিয়ে বিশেষ কোনও প্রত্যাশা নেই।

পঞ্চায়েত ভোট আসন্ন, তাই মূলত গ্রামাঞ্চলের মানুষের কথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে ভাববেন বলে মনে করা হচ্ছে। এমনিতেই কন্যাশ্রী, স্বাস্থ্য সাথী, লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে বিপুল খরচ হয় রাজ্যের। অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য কীভাবে বাজেট সাজাবেন, তা হবে লক্ষ্যণীয়। উল্লেখ্য, দিদির দূত কর্মসূচিতে রাজ্যের নেতাদের সামনে গ্রামের সমস্যার কথা বারবার তুলে ধরেছেন সাধারণ মানুষ। রাস্তা, পানীয় জল, বিদ্যুতের মতো অপরিহার্য বিষয়গুলির কথা উঠে এসেছে।

শুধু পঞ্চায়েত নয়, বছর ঘুরলেই তোড়জোড় শুরু হয়ে যাবে লোকসভা নির্বাচনের, যা তৃণমূল সরকারের কাছে একটা বড় চ্যালেঞ্জ হবে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। তাই সে কথা মাথায় রেখেও পরিকল্পনা করতে হবে এখন থেকেই।

তবে উদ্বেগও রয়েছে। সূত্রের খবর, বাম আমলে ৩৪ বছরে রাজ্য সরকারের যা ঋণ হয়েছিল, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের ১০ বছরে তা পেরিয়ে গিয়েছে। তাই সেই ঋণ সরকার কীভাবে সামাল দেবে, সেটাও দেখার বিষয়।

বাজেট প্রসঙ্গে রাজ্য বিজেপির নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘বাজেট নিয়ে কারও কোনও প্রত্যাশা নেই। এবারের বাজেটে মিথ্যা প্রতিশ্রুতি ছাড়া আর কিছুই থাকবে না, থাকবে শুধু ফাঁকা আওয়াজ। তিনি আরও উল্লেখ করেন, রাজ্য নিজেই হলফনামা দিয়ে বলেছে ডিএ দিতে পারবে না। তা থেকেই স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে রাজ্যের আর্থিক অবস্থা। দুর্নীতিতে ভরা রাজ্যে নিয়োগ নেই বলেও অভিযোগ তুলেছেন শমীক।’

সূত্র: টিভি নাইন
আইএ/ ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

Back to top button