জাতীয়

তুমব্রু গ্রামে আশ্রয় নেওয়া নিবন্ধিত ৫৯৯ রোহিঙ্গার খোঁজ নেই

বান্দরবান, ১৪ ফেব্রুয়ারি – শূন্যরেখার ক্যাম্প থেকে পালিয়ে তুমব্রু গ্রামে আশ্রয় নেওয়া ৫৯৯ জন রোহিঙ্গার হদিস পাচ্ছে না শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কার্যালয়। মঙ্গলবার সপ্তম দফায় ৪০ পরিবারের ১৯০ জন রোহিঙ্গা ট্রানজিট ক্যাম্পে স্থানান্তর করার পর এ বিষয়টি বেরিয়ে আসে। বিষয়টি নিশ্চিত করেন কক্সবাজারে অবস্থিত শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কার্যালয়ের কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান।

শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে তুমব্রু গ্রামের আশ্রয় নেওয়া ৫৫৮ পরিবারের ২ হাজার ৯৭০ জন রোহিঙ্গার নিবন্ধন করা হয়। পরে আরও ১৬ রোহিঙ্গা যোগ হয়ে সর্বশেষ সংখ্যা দাঁড়ায় ২ হাজার ৯৮৬ জনে। এর মধ্যে মঙ্গলবার পর্যন্ত তুমব্রু গ্রাম থেকে ৭ কিস্তিতে কুতুপালং সংলগ্ন ঘুমধুম ট্রানজিট ক্যাম্পে নিবন্ধিত ২ হাজার ৩৮৭ জন রোহিঙ্গাকে নেওয়া হয়। বাকি ৫৯৯ জন রোহিঙ্গার খোঁজ নেই।

ঘুমধুম ইউপি চেয়ারম্যান একেএম জাহাঙ্গীর আজিজ জানান, তুমব্রুতে আশ্রয় নেওয়া নিবন্ধিত ৫৯৯ জন রোহিঙ্গার হদিস মিলছে না। তারা অন্যত্র পালিয়ে গেছেন। এ কারণে ট্রানজিট ক্যাম্পে স্থানান্তর করাও সম্ভব হয়নি।

ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত অনিবন্ধিত ৫৫ পরিবারের ৩ শতাধিক রোহিঙ্গা তুমব্রু গ্রামের আশ্রয় শিবিরে অবস্থান করছে। তারাও ওই ৫৯৯ রোহিঙ্গার মতো পালাতে পারে। ফলে তাদের শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কার্যালয় ট্রানজিট ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে না।

এ বিষয়ে কক্সবাজারে অবস্থিত শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কার্যালয়ের কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান জানান, তারা ওপরের নির্দেশ মতো সব কাজ করে যাচ্ছেন। গত ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৭ কিস্তিতে নিবন্ধিত ২ হাজার ৩৮৭ জন রোহিঙ্গাকে কুতুপালং সংলগ্ন ঘুমধুম ট্রানজিট ক্যাম্পে আনা হয়েছে। নিবন্ধিত ৯৭ পরিবারের আরও ৫৯৯ জনের খোঁজ পাননি। এ কারণে তাদের ট্রানজিট ক্যাম্পে নেওয়া সম্ভব হয়নি।

মিজানুর রহমান জানান, তুমব্রু গ্রামে এখনো অবস্থান করছেন অনিবন্ধিত ৫৫ পরিবারের সদস্যরা, যাদের সঠিক সদস্য সংখ্যা তিনি বলতে পারছেন না। ট্রানজিট ক্যাম্পে নিয়ে যাচ্ছেন না, কারণ তারা অনিবন্ধিত। এদের বিষয়ে বান্দরবান জেলা প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট বিজিবি কর্তৃপক্ষকে দ্রুত জানাবেন।

নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রোমেন শর্মা এ বিষয়ে জানান, ইতিমধ্যে অনিবন্ধিত ৫৫ পরিবার মিয়ানমারের নাগরিক তুমব্রুতে অবস্থান করছেন বলে জেনেছেন। বিষয়টি বান্দরবানে কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দিয়েছেন। এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আশা করছেন।

সূত্র: ঢাকাটাইমস
আইএ/ ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

Back to top button