শিক্ষা

শ্রুতিকটু বিদ্যালয়ের নাম বদলের গেজেট ছয় মাসের মধ্যেই

ঢাকা, ১৪ ফেব্রুয়ারি – যেসব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম শ্রুতিকটু ও নেতিবাচক, সেগুলোর নাম পরিবর্তন করে ৬ মাসের মধ্যে গেজেট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

গেল বছরের ২৩ জানুয়ারি এ সংক্রান্ত একটি নীতিমালা জারি করা হয়েছে বলে জানান প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন।

মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন মন্ত্রী।

তিনি বলেন, সুন্দর, রুচিশীল, শ্রুতিমধুর এবং স্থানীয় বিশিষ্ট ব্যক্তি, বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ স্থানীয় ইতিহাস, সংস্কৃতির সঙ্গে মিল রেখে এ ধরনের বিদ্যালয়গুলোর নাম রাখার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

শিক্ষক বদলির বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, পাইলটিং করে প্রায় ৪ লাখ শিক্ষককে দ্রুততম সময়ে বদলির জন্য গত বছরের ২২ ডিসেম্বর সংশোধিত অনলাইন বদলি নীতিমালা জারি করা হয়েছে। প্রথম পর্যায়ে মাত্র ৭ দিনের মধ্যে অনলাইনে বদলির জন্য করা ২৫ হাজার আবেদনের বিষয়ে নিষ্পত্তিমূলক সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। দ্বিতীয় ও তৃতীয় ধাপের কার্যক্রম গ্রহণের পরিকল্পনাও নেয়া হয়েছে।

পাঠ্যপুস্তকের বিষয়ে তিনি বলেন, পরিমার্জিত শিক্ষাক্রম অনুযায়ী প্রাথমিক শিক্ষায় শুধু প্রথম শ্রেণির পাঠ্যপুস্তক প্রণীত হয়েছে। অন্যান্য শ্রেণির পাঠ্যবই পর্যায়ক্রমে বিদ্যালয়ে দেয়া হবে। এ কারণে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর এরই মধ্যে প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষাক্রম ৪+ ও ৫+ কে বিবেচনা করে ২ বছর মেয়াদি প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা পাইলটিং হিসেবে ৩,২১৪টি স্কুলে এ বছর শুরু করা হয়েছে।

জাকির হোসেন আরও জানান, শিশুর বিকাশ ও খেলাভিত্তিক শিখনের ওপর ৬ দিনব্যাপী প্রাক-প্রাথমিকের শিক্ষকদের তৈরি করার লক্ষ্যে ৭০০ প্রশিক্ষক তৈরি করা হয়েছে। এ প্রশিক্ষণটিও মাঠ পর্যায়ের সব শিক্ষক সরাসরি ও অনলাইন পদ্ধতিতে পাবেন। এনসিটিবি এর মধ্যে এ বিষয়ে প্রাক-প্রাথমিক বিশেষায়িত প্রশিক্ষণ শিক্ষাক্রমের ওপর একটি বিশেষায়িত প্রশিক্ষণ দেশব্যাপী পরিচালনা করবে। চলতি বছরের মার্চের মধ্যে প্রাথমিক পর্যায়ের সব শিক্ষকের পাঠ্যক্রম বিস্তরণ সংক্রান্ত এবং বিষয়ভিত্তিক প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করা হবে।

প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের প্রোফাইল প্রণয়ন প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে জানিয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বলেন, এরই মধ্যে ৯ লাখ ৪৭ হাজার ৩২৭ শিক্ষার্থীর প্রোফাইল প্রণয়ন সম্পন্ন হয়েছে। ২০২৪ সালের এসব কাজ শেষ হবে। এতে একক পরিচিতির (ইউআইডি) ভর্তি, পাঠ্যপুস্তক সরবরাহ, হাজিরা তথ্য, মিড ডে মিল, উপবৃত্তি বিতরণ পরবর্তীতে নির্ভুল জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরিসহ সব কাজ সহায়ক হবে।

সংবাদ সম্মেলনে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব ফরিদ আহাম্মদ উপস্থিত ছিলেন।

সূত্র: সময় টিভি
আইএ/ ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

Back to top button