জাতীয়

বিএনপির পদযাত্রা: হামলা সংঘর্ষ গুলি, অনেক স্থানে কর্মসূচি পণ্ড

ঢাকা, ১২ ফেব্রুয়ারি – ইউনিয়ন পর্যায়ে পদযাত্রা কর্মসূচিতে দেশের অনেক স্থানে বিএনপি নেতাকর্মীর ওপর আওয়ামী লীগ ও পুলিশ হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। অনেক স্থানে বড় দুই দলের কর্মীরা সংঘাতেও জড়ায়। এতে আহত হয়েছেন অনেকে। পুলিশ গুলি ও টিয়ার গ্যাসের শেল ছুড়েছে, গ্রেপ্তার করেছে বিএনপির অনেক নেতাকর্মীকে। সরকারি দল এবং পুলিশের হামলা ও বাধায় কিছু কিছু স্থানে বিএনপির কর্মসূচি পণ্ড হয়ে গেছে। দলটির নেতাকর্মীর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ এবং লুটপাটের অভিযোগও পাওয়া গেছে। গ্রেপ্তার আতঙ্কে কর্মসূচি স্থগিত করার ঘটনাও ঘটেছে।

সরকারের পদত্যাগসহ ১০ দফা দাবিতে বিএনপি গতকাল শনিবার প্রথমবারের মতো সারাদেশের ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন পর্যায়ে পদযাত্রা ও সমাবেশ করে। এদিন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ করে শান্তি সমাবেশ।

লক্ষ্মীপুরে দুই দলের নেতাকর্মীর সংঘর্ষে উভয় পক্ষের দুই শতাধিক আহত হয়েছেন। লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার দিঘলী, মান্দারী, জকসিন, রায়পুরের চরবংশী, কমলনগরের চরকাদিরায় সংঘর্ষ হয়। জামালপুরে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সংঘর্ষে ২৮ জন আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ৩৪ রাউন্ড গুলি ও ৪ রাউন্ড টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে পুলিশ। নোয়াখালী ও ভোলায় আওয়ামী লীগ কর্মীদের হামলায় ৫০ জন করে আহত হয়েছেন। এ ছাড়া লালমনিরহাটে ৩০ জন, বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জে ২০, নাটোরে সংঘর্ষে ১২, পাথরঘাটায় ৩০, সিরাজগঞ্জে ২০, যশোরে ১৫, ঝালকাঠিতে ১০ নেতাকর্মী এবং নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে পুলিশের গুলিতে ১৫ জন আহত হয়েছেন। পাবনায় পদযাত্রায় হামলায় আহত হয়েছেন ২০ জন; গ্রেপ্তার করা হয়েছে পাঁচজনকে।

বগুড়ার শেরপুর, খুলনার তিন উপজেলা, মুন্সীগঞ্জের লৌহজং ও সিরাজদীখান, ঢাকার ধামরাই, নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় পুলিশের বাধায় বিএনপির পদযাত্রা পণ্ড হয়ে গেছে। কর্মসূচি ঘিরে আটক করা হয়েছে বিএনপির বহু নেতাকর্মীকে। সিরাজগঞ্জে ৩৯, যশোরে ১৪, বগুড়ায় ১৪, জামালপুরে ৬, নেত্রকোনায় ৫, মানিকগঞ্জে ৭ নেতাকর্মীসহ আরও বহু জায়গায় নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

সারাদেশের কর্মসূচির চিত্র তুলে ধরে বিএনপির সহদপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু বলেছেন, দেশের প্রায় প্রতি জেলায় হামলার ঘটনা ঘটেছে। সেসব তথ্য তাঁরা সংগ্রহ করছেন। আজ রোববার কেন্দ্রীয়ভাবে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিস্তারিত তুলে ধরা হবে। তবে রাত পৌনে ৮টা পর্যন্ত ৫০ স্থানে হামলার খবর পাওয়া গেছে। এসব ঘটনায় আহত হয়েছেন তিন শতাধিক। এঁদের অনেককেই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গ্রেপ্তার দুই শতাধিক। এ ছাড়া বিভিন্ন স্থানে বাড়িঘরে হামলা, মালপত্র লুট, অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে বলে তিনি জানান।

শেরপুরে গ্রেপ্তার আতঙ্কে বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে। তবে ব্যাপক জনসমাগম করে আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশ হয়েছে জেলার ৫২ ইউনিয়নে। নড়াইলে আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হলেও বিএনপির অভিযোগ, অধিকাংশ ইউনিয়নে তারা পদযাত্রা করতে পারেনি।

হামলা, সংঘর্ষ: জামালপুরে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষে পুলিশসহ উভয় পক্ষের অন্তত ২৮ জন আহত হয়েছেন। সদর উপজেলার তিতপল্লা ইউনিয়নের কামালখান বাজারে এ ঘটনা ঘটে। জামালপুর থানার ওসি কাজী শাহনেওয়াজ বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ৩৪ রাউন্ড গুলি ও ৪ রাউন্ড টিয়ার গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করা হয়। এ ঘটনায় ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদকসহ ছয়জনকে আটক করা হয়েছে।

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে বিএনপির নেতাকর্মীর সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় বিএনপির নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ৪০ রাউন্ড গুলি ও তিনটি টিয়ার গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে। ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের উপজেলার সাতগ্রাম ইউনিয়নের পাঁচরুখী এলাকায় এ সংঘর্ষ হয়। এতে তিন পুলিশ সদস্য এবং বিএনপি ও ছাত্রদলের ১৩ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।

ভোলার বিভিন্ন ইউনিয়নে হামলায় বিএনপির অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বরিশালের গৌরনদীর খাঞ্জাপুর ইউনিয়নে শুক্রবার রাত থেকে আওয়ামী লীগ দফায় দফায় হামলা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। রাতে ইউনিয়নের মাগুরা বাজারে বিএনপির সমর্থকদের একটি বসতবাড়ি, তিনটি দোকান ও একটি মুদি দোকান ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়। অন্যদিকে, মেহেন্দীগঞ্জের উলানিয়ায় পদযাত্রা শেষ হওয়ার পর দু’বার হামলা করেছেন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। এতে কমপক্ষে ১৫ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। আওয়ামী লীগ দাবি করেছে, বিএনপির হামলায় আহত হয়ে তাদের ছয়জন নেতাকর্মী মেহেন্দীগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।

লালমনিরহাটে বিএনপির পদযাত্রা ও আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশ ঘিরে দু’পক্ষের সংঘর্ষে কমপক্ষে ২৫ জন আহত হয়েছেন। এ ছাড়া হাতীবান্ধার ফকিরপাড়া ইউনিয়নে পদযাত্রার প্রস্তুতির সময় আওয়ামী লীগ কর্মীদের হামলায় বিএনপির পাঁচজন আহত হন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

নোয়াখালীতে পদযাত্রা কর্মসূচিতে পুলিশ, সরকারদলীয় লোকজন ও বিএনপির নেতাকর্মীর মধ্যে ত্রিমুখী সংঘর্ষ ও হামলার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত চাটখিল, সোনাইমুড়ী, বেগমগঞ্জ, সেনবাগ, কবিরহাট ও সদর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে এসব হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের অর্ধশত নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।

যশোরে পুলিশ লাঠিপেটা ও ধরপাকড় চালিয়েছে। পুলিশের বাধায় কোথাও পদযাত্রা শেষ গন্তব্যে পৌঁছাতে পারেনি। সমাবেশও করতে দেয়নি পুলিশ। বিভিন্ন স্থানে পুলিশ ও বিএনপি নেতাকর্মীর মধ্যে সংঘর্ষে ১৫ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। পুলিশ সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে ১৪ নেতাকর্মীকে আটক করে। পরে তাঁদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

নাটোর সদর, নলডাঙ্গা, সিংড়া ও গুরুদাসপুরে বিএনপির পূর্বনির্ধারিত এ কর্মসূচিতে হামলা চালিয়ে ১২ নেতাকর্মীকে আহত করেছেন আওয়ামী লীগ কর্মীরা। সদর উপজেলার ছাতনী ইউনিয়নের দিয়াড় মাদ্রাসাঘাট বটতলা মোড়ে বিএনপির পদযাত্রা মঞ্চ দখল করে শান্তি সমাবেশ করেন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। সিংড়ায় দুটি ইউনিয়নে শান্তি সমাবেশ থেকে হামলায় বিএনপির অন্তত ১০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।

বরগুনার পাথরঘাটায় বিএনপির নেতাকর্মীকে মারধর করে অফিস ভাঙচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। হামলায় ৩০ নেতাকর্মী আহত হন। সিরাজগঞ্জে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতাকর্মীর মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের ২০ জন আহত হন। ১৩টি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। বিএনপির ৩৯ নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।

ঝালকাঠিতে পদযাত্রায় পুলিশি বাধা, ক্ষমতাসীন দলের হামলায় বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের কমপক্ষে ১০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। বিএনপি নেতাদের দাবি, জেলায় কমপক্ষে দুই শতাধিক নেতাকর্মীর বাড়িতে শুক্রবার রাতে হামলা করা হয়। ময়মনসিংহে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের হামলায় বিএনপির ১০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।

বাধা, কর্মসূচি পণ্ড: নরসিংদীর পলাশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খানের নেতৃত্বে পদযাত্রা করতে চাইলে ব্যানার ছিনিয়ে নেয় পুলিশ। উপজেলার জিনারদী ইউনিয়নের চরনগরদী এলাকায় এই বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করেন মঈন খান।

বগুড়ার শেরপুরে পুলিশি বাধায় ইউনিয়ন পর্যায়ে গণপদযাত্রা কর্মসূচি পালন করতে পারেননি দলটির নেতাকর্মীরা। কুষ্টিয়ায় বিএনপির ১০ দফা দাবিতে ইউনিয়ন পদযাত্রায় আওয়ামী লীগ ও পুলিশের বিরুদ্ধে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ে ঢুলুগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে বিএনপি পদযাত্রা বের করলে পুলিশের বাধা দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঢাকার ধামরাইয়ের কালামপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে বিক্ষোভ মিছিল শেষে সমাবেশ শুরু হলে পুলিশ ধাওয়া দিয়ে ব্যানার ছিনিয়ে নেয় এবং সমাবেশ পণ্ড করে দেয়।

মুন্সীগঞ্জের সিরাজদীখানের রাজানগর ইউনিয়নে পদযাত্রা শুরু করতে গেলে পুলিশি বাধার মুখে পণ্ড হয়ে যায়। নেত্রকোনার কেন্দুয়ার বলাইশিমুল ইউনিয়নের কুমুড়উড়া বাজার থেকে বিএনপির পদযাত্রা শুরুর আগে তা পণ্ড করে দেয় পুলিশ। পদযাত্রা কর্মসূচিতে অংশ নিতে শত শত নেতাকর্মী জড়ো হন।

কিশোরগঞ্জে পদযাত্রায় পুলিশ বাধা দিয়ে ব্যানার ছিনিয়ে নিয়েছে। সদর উপজেলার হোসেনপুরের জিনারদী ইউনিয়নের হাজীপুর বাজার এলাকায় পদযাত্রায় পুলিশ বাধা দিলে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া এবং ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এ সময় সংঘর্ষ থামাতে পুলিশ শটগানের ৫ রাউন্ড ফাঁকা গুলি করেছে বলে জানিয়েছেন ওসি আসাদুজ্জামান লিটন।

খুলনায় পুলিশের বিরুদ্ধে নেতাকর্মীকে ধাওয়া, বাধা ও লাঠিপেটার অভিযোগ উঠেছে। ডুমুরিয়া উপজেলা সদরে পদযাত্রায় পুলিশ বাধা দেয়। রূপসার আইচগাতি ইউনিয়নের দেয়াড়া এলাকায় পদযাত্রা শুরু করলে পুলিশ নেতাকর্মীকে লাঠিপেটা করে ব্যানার কেড়ে নেয়। পাইকগাছায়ও পুলিশ পদযাত্রায় বাধা দেয়। তবে পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে অন্যান্য স্থানে কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।

পটুয়াখালীর বাউফল পৌরসভাসংলগ্ন বিলবিলাস বাজারে বিএনপির কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগের ১৫-২০ নেতাকর্মী বাধা দেন। কুষ্টিয়ার কুমারখালীর নন্দনালপুর ইউনিয়নসহ কয়েকটি জায়গায় প্রশাসনের চাপে বিএনপি পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করতে পারেনি।

আটক-গ্রেপ্তার: পদযাত্রার শুরুর আগেই সিরাজগঞ্জের তাড়াশে পুলিশি অভিযানে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের আট নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে শাহ আলম নামে বিএনপির এক নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মাগুরায় সদর উপজেলার কছুন্দী ইউনিয়নে পদযাত্রা শেষে পুলিশ জেলা যুবদলের সহসভাপতি আমিরুল ইসলাম, যুগ্ম আহ্বায়ক মীর ইমন ও ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি সোহেল আহম্মেদকে আটক করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে সদর থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান আটকের বিষয়টি অস্বীকার করেন। নেত্রকোনার দুর্গাপুর ও কলমাকান্দায় শুক্র ও শনিবার পুলিশ অভিযান চালিয়ে বিএনপির পাঁচ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে। তাঁদের জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে কর্মসূচি থেকে উপজেলার বহুরিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আলহাজ হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

ডান্ডাবেড়ি পরে মায়ের জানাজা পড়া সেই নেতার নেতৃত্বে পদযাত্রা: গাজীপুরের কালিয়াকৈরের হ্যান্ডকাফ ও ডান্ডাবেড়ি পরে মায়ের জানাজা পড়া সেই বিএনপি নেতা আলী আজম খানের নেতৃত্বে শনিবার সকালে পদযাত্রা হয়েছে। বিএনপি নেতাকর্মীরা তাঁর নেতৃত্বে কালিয়াকৈর-বোয়ালীর নলুয়া বাজার থেকে শুরু করে পিপড়াছিট তিন রাস্তা, চাটাপুকুরপাড়, বোয়ালী বাজার, রঘুনাথপুর বাজার ও সোনাতলা, চা বাগান এলাকায় প্রদক্ষিণ করেন।

সূত্র: সমকাল
এম ইউ/১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

Back to top button