পশ্চিমবঙ্গ

দলের দুর্নীতি রুখতে গড়া হোক কন্ট্রোল কমিশন, মদন

কলকাতা, ১১ ফেব্রুয়ারি – চলতি বছরেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে দুর্নীতি ইস্যুতে কার্যত বিব্রত রাজ্যের শাসকদল। স্বাভাবিকভাবেই ঘাসফুল শিবিরের বিড়ম্বনা বাড়তি অক্সিজেন জোগাচ্ছে বিরোধীদের। এই পরিস্থিতিতে দলীয় নেতা-কর্মীদের দুর্নীতি রুখতে এবার ‘কন্ট্রোল কমিশন’ গড়ার দাবিতে সরব কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র (Madan Mitra)।

তিনি বলেন, “আমার মনে হয় দলের আরও কঠোর হওয়া উচিত। দলের কন্ট্রোল কমিশন তো অবশ্যই করা উচিত। আমি একজন বিধায়ক হয়ে যেখানে সেখানে গিয়ে যদি দলের নামে যা ইচ্ছা তাই করি, গুন্ডামি করি, তোলাবাজি করি তাহলে দল আমাকে নিয়ন্ত্রণ করবে। সেক্ষেত্রে কেন আদালতের জন্য অপেক্ষা করবে?” শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তৃণমূলের পদক্ষেপ প্রসঙ্গে এদিন মুখ খোলেন কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক।

মদন বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরে দলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নেতা ছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তাঁকে শুধু সরিয়ে দেওয়া হয়নি, তাঁর পদটাও খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। তৃণমূল কোনও অবস্থাতেই দুর্নীতিকে সমর্থন করে না। একটা চক্র নিশ্চিতভাবে দুর্নীতি করেছে। এ ব্যাপারে কখনও কাউকে বাঁচানোর চেষ্টা তৃণমূল করেনি। যাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির প্রমাণ আছে তাদের কারও পাশে আমাদের দল দাঁড়ায়নি। আমরা মনে করি অন্যায় যে করে আর অন্যায় যে সহে তব ঘৃণা যেন তারে তৃণসম দহে।”

শুক্রবার কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে ১ হাজার ৯১১ জন গ্রুপ ডি কর্মীর চাকরি বাতিল হয়ে গিয়েছে। আদালতের সেই সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে অবশ্য মদন মিত্র বিশেষ কিছু বলতে নারাজ। তাঁর মতে, “শিক্ষায় দুর্নীতি হয়েছে কি হয়নি তার থেকে বড় হচ্ছে এ সংক্রান্ত বিষয়ে কোর্ট কিছু রায় দিয়েছে। আমাদের দল কখনওই কোর্টের মান্যতাকে নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেনি।” এদিকে, বৃহস্পতিবার বেলঘরিয়ায় এক খাদ্যমেলায় নিজের হাতে রান্না করে তা যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনবাসীর উদ্দেশে উৎসর্গ করেন কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র। রেসিপি সম্পর্কেও বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেন তিনি। এখানেই থেমে না থেকে মদন মিত্র জানান, “পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিনও এভাবেই রান্না হবে। তৃণমূল সুরক্ষা কবচ পড়ে রয়েছে। তৃণমূলের রান্না সম্পন্ন রয়েছে।”

সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন
আইএ/ ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

Back to top button