ত্রিপুরা

ত্রিপুরায় শুরু হয়ে গেল পোস্টাল ব্যালটে ভোট দান

আগরতলা, ০৮ ফেব্রুয়ারি – সরব প্রচারের আর মাত্র ৭ দিন বাকি। এই অবস্থায় ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের নির্বাচনী প্রচারে এক প্রকার ঝড় উঠলো বলা যায়। শাসক বিজেপি থেকে শুরু করে কোনো রাজনৈতিক দলই এদিক থেকে পিছিয়ে থাকতে চায় না। প্রায় প্রতিদিনই এখন রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে কোথাও না কোথাও জোর কদমে চলছে এই নির্বাচনী প্রচারণার কাজ।

এদিকে ভোটের কাজে নিযুক্ত বিভিন্ন পুলকর্মী থেকে শুরু করে সুরক্ষাকর্মী এবং অন্যান্য স্তরের কর্মীদের জন্য বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) থেকে শুরু হয় পোস্টাল ব্যালটে ভোট গ্রহণের কাজ। রাজ্যটির আটটি জেলা মিলে মোট ২৩টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণের কাজ শুরু হয় এদিন থেকে। চলবে আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এরপরই ১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হবে মূল ভোটের পর্ব।

রাজধানী আগরতলার সদর মহকুমার ক্ষেত্রে এদিন ভোট গ্রহণ কেন্দ্রটি খোলা হয় শিশু বিহার দ্বাদশ শ্রেণী স্কুলের অভ্যন্তরে। মোট আটটি বিধানসভা কেন্দ্রের বিভিন্ন কর্মীরা ভোট দেয় এই কেন্দ্রটিতে। ভোট গ্রহণ পর্ব শুরু হতেই এদিন এই কেন্দ্রটি ঘুরে দেখে যান রাজ্যটির মুখ্য নির্বাচন কর্মকর্তা কিরণ গিত্যেসহ নির্বাচনের কাজে নিযুক্ত অন্যান্য উচ্চপদস্থ ব্যক্তিরা। ছিলেন পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার জেলাশাসক ড. দেবপ্রিয় বর্ধন, জেলার পুলিশ সুপার শংকর দেবনাথও।

কেন্দ্রটি ঘুরে দেখে বেরিয়ে যাবার সময় সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে মুখ্য নির্বাচন কর্মকর্তা কিরণ গিত্তে বলেন, আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি রাজ্যে যে বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে তাতে কম করেও রাজ্যের বিভিন্ন অংশের প্রায় ৪০ হাজারের কাছাকাছি কর্মী নিযুক্ত রয়েছেন। ফর্ম টুয়েলভ পূরণ করে অবশেষে বুধবার থেকে শুরু হয় তাদের ভোট গ্রহণ পর্ব।

 

অন্যদিকে নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, রাজ্যে ভোট গ্রহণের যে মূল পর্ব তাতে ৩ হাজার ৩৩৭টি ভোটগ্রহণ কেন্দ্র রয়েছে। তাদের সবক’টিতেই কেন্দ্রীয় আধাসামরিক বাহিনী মোতায়েন করা হবে। এছাড়াও যে সব ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে পৌঁছাতে ৩০ মিনিটের অধিক সময় লাগে সেখানে দ্বিগুণ হারে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হবে। সীমান্তবর্তী ও নিরাপত্তার দিক দিয়ে স্পর্শকাতর এলাকাগুলোতে দ্বিগুণ নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হবে বলে জানিয়েছে কমিশন।

এদিকে সুষ্ঠু এবং অবাধ ভোট নিয়ে সন্ধিহান বাম কংগ্রেস জোটের পক্ষ থেকে গত সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) রাজ্যটির এই মুখ্য নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে বিভিন্ন দাবির কথা তুলে ধরা হলে তিনি বলেন, ভোটের কাজে নিরাপত্তার জন্য তিন স্তরের নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনীয়তার নিরিখে রাজ্যে আরও আধা সামরিক বাহিনী আসতে শুরু করেছে বলেও জানিয়েছেন মুখ্য নির্বাচন কর্মকর্তা।

সূত্র: জাগো নিউজ
আইএ/ ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

Back to top button