জাতীয়

ভূমিকম্প দুর্গত এলাকা পরিদর্শনে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান

আঙ্কারা, ০৮ ফেব্রুয়ারি – ভূমিকম্পে তুরস্কের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত কাহরামানমারাস এবং হাতাইসহ কয়েকটি শহর পরিদর্শন করছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়েপ এরদোয়ান। এ সময় তিনি এই ভূমিকম্পে বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের সঙ্গে দেখা করেছেন এবং নতুন বাড়ি তৈরি করার ও ত্রাণ কার্যক্রম জোরদার করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

আলজাজিরার প্রতিবেদন বলা হয়েছে, সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় এরদোয়ান স্বীকার করেছেন, ভূমিকম্পের সময় প্রাথমিক উদ্ধার অভিযানে কিছুটা সমস্যা ছিল। তবে বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে বলে জোর দিয়েছেন তিনি। একই সময়ে তিনি তুর্কি জনগণকে ধৈর্য্য ধরতে এবং ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট বলেন, প্রাথমিকভাবে বিমানবন্দর এবং সড়কে কিছু জটিলতা ছিল। কিন্তু আজ অনেক কিছু সহজ হয়ে যাচ্ছে এবং আগামীকাল থেকে পরিস্থিতি আরো সহজ হয়ে যাবে।

উদ্ধার কাজ ও ত্রাণ বিতরণে ধীরগতির কারণে সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ার বিষয়ে এরদোয়ান বলেন, নাগরিকদের শুধুমাত্র কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগে মনোযোগ দেয়া উচিত এবং উস্কানিদাতাদের উপেক্ষা করা উচিত। আমরা আমাদের সমস্ত সম্পদ ও শক্তি জড়ো করেছি। রাষ্ট্র তার দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে।

সোমাবার ৭ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পের পর দুই দিন পর হতে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে তুরস্কে ও সিরিয়ার নিহতের সংখ্যা ১১ হাজার ছাড়িয়েছে। এরমধ্যে তুরস্কে নিহতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৮ হাজার ৫৭৪ জন। অন্যদিকে তুরস্কের প্রতিবেশী সিরিয়ায় নিহত দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৬৬২ জন। সিরিয়ায় নিহতদের বেশিরভাগই বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে।

তুরস্কের সরকার, হোয়াইট হেলমেটস ও সিরীয় রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুসারে, দুই দেশে ভূমিকম্পে আহতের সংখ্যা অন্তত ৩০ হাজার ৪৭৪ জন। শক্তিশালী এ ভূমিকম্পে তুরস্কে ৬ হাজারের বেশি ভবন ধসে পড়েছে। ভূমিকম্পে ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়া ব্যক্তিদের উদ্ধারে প্রাণপণ চেষ্টা করছেন উদ্ধারকারীরা। কিন্তু ভারী বৃষ্টি ও তুষারপাতের কারণে উদ্ধার তৎপরতা ব্যাহত হচ্ছে।

তুরস্কের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা আনাদলু এজেন্সির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সোমাবার ৭ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে তুরস্কের সাতটি প্রদেশের অন্তত দশটি শহর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শহরগুলো হলো গাজিয়ান্তেপ, কাহরামানমারাস, হাতে, ওসমানিয়া, আদিয়ামান, মালাতিয়া, সানলিউরফা, দিয়ারবাকির এবং কিলিস।

সূত্র: বাংলাদেশ জার্নাল
আইএ/ ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

Back to top button