ফিটনেস : ব্যায়ামের সঙ্গী পোষা প্রাণী
সুস্বাস্থ্যর জন্য ব্যায়ামের বিকল্প নেই। শরীর ঠিক রাখার জন্য কেউ ঘরে ব্যায়ামটা সেরে নেন, কেউ বা দৌড়ান জিমনেসিয়ামে। কারো বা ব্যায়ামের জন্য পছন্দ খোলা মাঠ। পোষা প্রাণীদের সঙ্গে ব্যায়ামের কিছুটা আমরা আগে জেনেছি, আজ জানব আরো কিছু।
সাঁতার : পোষা প্রাণীর সঙ্গে সাঁতার অনুশীলনও করা যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে ভালো হলো কুকুর। অন্য অনেক পোষা প্রাণীর তুলনায় কুকুর সাঁতারে অনেক দক্ষ। তা ছাড়া সাঁতার শরীরের জন্য অনেক ভালো ব্যায়াম। এটি শরীরের পেশি শক্ত করতে যেমন সহায়তা করে, তেমনি সহ্য ক্ষমতা বাড়াতেও সহায়তা করে। অনেক সময় অনেক প্রাণী পানিতে নামতে ভয় পায়, পানিতে নামতে চায় না, সে ক্ষেত্রে ধীরে ধীরে এগোনো উচিত। তার ওপর কোনো চাপ প্রয়োগ করা ঠিক হবে না, এতে করে হিতেবিপরীত হতে পারে। এ ক্ষেত্রে পশুচিকিৎসকেরও সাহায্য নেওয়া যেতে পারে।
লাফানো : ছোট্ট খোলা মাঠে পোষা প্রাণীর সঙ্গে দড়ির লাফ লাফানো যেতে পারে। সুস্বাস্থ্যর জন্য এটা দারুণ ব্যায়াম। এতে শরীরের ওজন কমে ও রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে।
ফুটবল : যদি আপনি ফুটবলভক্ত হন, সেই সঙ্গে খেলার ইচ্ছাটাও থাকে অথচ সঙ্গীর অভাবে খেলা হয়ে ওঠে না, তখন পোষা প্রাণী আপনার দারুণ এক সঙ্গী হতে পারে। কিছুটা দূরে পোষা প্রাণীকে দাঁড় করিয়ে তার দিকে বল মারতে হবে। পোষা প্রাণী বল এনে আবার আপনার কাছে দেবে। এতে শরীরের ক্যালরি ক্ষয় হতে সহায়তা করবে।
দৌড়ানো : একটি খোলা মাঠে দৌড়ের প্রতিযোগিতাও করা যেতে পারে। একটি বল সামনে ছুড়ে দিয়ে সেটা আগে ধরার এ প্রতিযোগিতা। জিমনেসিয়ামে বিভিন্ন অনুশীলনে যে উপকার পাওয়া যায় অনেকটা সমপর্যায়ের উপকার এ ব্যায়াম থেকে পাওয়া যেতে পারে।
সিঁড়িতে ওঠা : বিল্ডিংয়ের সিঁড়ি বেয়ে ওঠা ও নামার প্রতিযোগিতাও করা যেতে পারে। সিঁড়ির শুরুতে বা শেষে একসঙ্গে দাঁড়িয়ে ওপরে ওঠা বা নিচে নামার এ প্রতিযোগিতায় পায়ের মাংসপেশি শক্তপোক্ত হবে। যতবার ইচ্ছা এ অনুশীলন করা যেতে পারে, তবে পোষা প্রাণীর বেলায় অবশ্য একই সিদ্ধান্ত নেওয়া ঠিক হবে না। ব্যায়ামটি কষ্টকর হওয়ায় এ অনুশীলনে তার ওপর কোনো চাপ দেওয়া ঠিক হবে না।
আডি/ ৩০ নভেম্বর