মাদারীপুর, ০৬ ফেব্রুয়ারি – মোটরসাইকেল পদ্মা সেতুতে চলাচলের অনুমতি না থাকায় বিপাকে পড়েছেন বাইকাররা। চাকরির জন্য যাদের রাজধানীতে মোটরসাইকেল চালাতে হয় এমন হাজারো বাইকাররা দূর্ভোগ পোহাচ্ছেন সেতু পার হতে।
আর ভিন্ন উপায়ে বাইক সেতু পার করতে গুনতে হচ্ছে ৪০০-৫০০ টাকা।
দক্ষিণাঞ্চল থেকে মোটরসাইকেল নিয়ে ঢাকা যেতে-আসতে সেতুর আগে নিতে হয় পিকআপভ্যানের সাহায্য। এভাবে শুধু সেতু পার হতেই গুণতে হয় ৪০০-৫০০ টাকা! এতে করে পদ্মা সেতু দিয়ে নির্বিঘ্নে ঢাকা যাওয়া-আসার স্বপ্ন অধরাই থেকে গেলো বাইকারদের।
সরেজমিনে পদ্মা সেতুর এ্যাপ্রোচ সড়কের শিবচরের সীমানা এলাকা, নাওডোবা বাজার স্ট্যান্ড থেকে পিকআপভ্যানে মোটরসাইকেল তুলে সেতু পার হতে দেখা গেছে বাইকারদের। সেখান থেকে এক্সপ্রেসওয়েতে ঢাকা যাচ্ছেন তারা।
বাইকাররা জানান, ফেরিতে করে পার হতে মাত্র ১০০ টাকা লাগতো। সেতু চালুর আগে কত স্বপ্ন ছিল। কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনার কারণে সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়। আমরা সত্যিকার অর্থেই চরম বিপাকে পড়েছি। এখন ট্রাক/পিকআপভ্যানে বাইক তুলে ৪০০-৫০০ টাকা খরচ করে শুধু সেতু পার হচ্ছি! এর চেয়ে কষ্ট আর নেই!
দেখা গেছে, পদ্মা সেতুর দুই পাড়ের কয়েকটি স্থানে গড়ে উঠেছে মোটরসাইকেল পার করার স্ট্যান্ড। সিরিয়াল অনুযায়ী পিকআপভ্যানে করে মোটরসাইকেল ও চালকদের পার করা হচ্ছে। একেকটি ভ্যানে ৮-১০টি মোটরসাইকেল একত্রে উঠানো যায়। আর এর জন্য পিকআপভ্যানের পেছনের দিক সম্পূর্ন খোলা রাখতে হচ্ছে। যা গাড়িটি চলাকালীন সময়ে ঝুঁকিপুর্ণও বটে।
পিকআপভ্যানের চালকেরা জানান, প্রতিদিন অসংখ্য মোটরসাইকেল আসে। তাদের পার করতেই এ ব্যবস্থা। নাওডোবা সংযোগ সড়ক থেকে মোটরসাইকেল উঠিয়ে মাওয়া প্রান্তের সংযোগ সড়ক পর্যন্ত গিয়ে নামিয়ে দেওয়া হয়। আবার ওখান থেকে মোটরসাইকেল এনে এপারে নামানো হয়।
মোটরসাইকেল চালক তানজিল আহমেদ বলেন, চাকরির স্বার্থে ঢাকায় মোটরসাইকেল চালাতে হয়। অথচ বাড়ি আসতে হলে সেতু পার হতে পারি না। তাই মাঝে মধ্যে মোটরসাইকেল নিয়ে আসতে হলে পিকআপভ্যানে উঠিয়ে সেতু পার হই। আসলে নিয়ম করে দিয়ে সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচলের অনুমতি দেওয়া উচিত।
তিনি আরও বলেন, আমাদের মতো অসংখ্য মানুষ কষ্টে আছে যারা মোটরসাইকেল নিয়ে সেতু পার হতে পারছে না। অথচ দৈনন্দিন কাজে মোটরসাইকেল দরকার হচ্ছে আমাদের। আমরা পদ্মা সেতুর কাছে আসলেই বোধ করি। অতিরিক্ত অনেক টাকা খরচ করে সেতু পার হতে হচ্ছে।
পদ্মাসেতু দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, প্রথম দিকে কিছুদিন মোটরসাইকেল চলেছে। নানা অসঙ্গিত থাকায় সেটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সেতুতে মোটরসাইকেলের অনুমতি কর্তপক্ষ দিচ্ছে না। অনেকে ট্রাক-পিকআপভ্যানে উঠিয়ে পার হন। এখানে আসলে কিছু করার নেই।
সূত্র: বাংলানিউজ
এম ইউ/০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩