জাতীয়

সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণের বিষয়ে ইসির বৈঠক মঙ্গলবার

ঢাকা, ০৫ ফেব্রুয়ারি – সংশ্লিষ্ট সকলের মতামত নিয়ে সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণের কাজ শুরু করতে চায় নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ লক্ষ্যে কর্মপরিকল্পনা ঠিক করতে আগামী মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) কমিশনের বৈঠক আহ্বান করা হয়েছে।

আজ রোববার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর।

তিনি বলেছেন, জনগণ ও জনপ্রতিনিধিদের মতামত নিয়ে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ করা হবে। তবে প্রশাসনিক অখণ্ডতাকে প্রাধান্য দেয়া হবে।

কমিশনার বলেন, পরিসংখ্যান ব্যুরো থেকে জনসংখ্যার চূড়ান্ত রিপোর্ট আসেনি। আর অপেক্ষা করা কঠিন হয়ে যাচ্ছে। কাজ শুরু করতে হবে। দ্রুতই কাজ শুরু করা হবে।

ইসি আলমগীর বলেন, সীমানা পুনর্নির্ধারণের ক্ষেত্রে জনসংখ্যা হচ্ছে তিন নম্বর গুরুত্ব। প্রথম গুরুত্ব হচ্ছে প্রশাসনিক- যদি কোনো প্রশাসনিক পরিবর্তন না হয়ে থাকে তাহলে তো পরিবর্তন করার প্রয়োজন নেই। যদি কোনো ভৌগোলিক পরিবর্তন না হয়ে থাকে তাহলেও করার প্রয়োজন নেই। এরপর যতদূর সম্ভব জনসংখ্যাকে আমলে নেয়া।

নির্বাচন কমিশনার বলেন, শুধুমাত্র একটাই ফ্যাক্টর আছে, সেটা হলো জনসংখ্যা। জনসংখ্যাটাকে তো আর সমবণ্টন করা যায় না। একটা মেলাতে গেলে আরেকটা মেলে না। আপনি যদি প্রশাসনিক অখণ্ডতা ঠিক রাখেন তাহলে দেখা যায় যে, প্রশাসনিক ও ভৌগোলিক অখণ্ডটা ঠিক রাখলে জনসংখ্যা মেলানো কঠিন হয়ে যায়। কারণ, এটা কখনোই মেলানো সম্ভব না। এমনকি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দেখবেন কোথাও কোথাও পৌনে তিন লাখ লোক আছে। আবার কোথাও কোথাও প্রায় ১১-১২ লাখ লোকও আছে। তবে গড়ে প্রতি আসনে ৫ লাখ ভোটার হবে। জনসংখ্যা ধরলে শহরে আসন বাড়বে। এক্ষেত্রে ঢাকায় আরও আসন বেড়ে যাবে। এখন কোন পদ্ধতিতে সীমানা পুনর্নির্ধারণের কাজ করব সেটি আগামী সভায় চূড়ান্ত করা হবে।

তিনি বলেন, একেবারে জিরো থেকে আমরা কাজ শুরু করব। পূর্বের বিষয়গুলো অগ্রাধিকার পাবে। যারা আসনের পরিবর্তন চান এবং কেন চান তার যৌক্তিক কারণগুলো বলতে হবে। ইতোমধ্যে কয়েকজন জনপ্রতিনিধি তার নিজের আসন বহাল রাখার জন্য আমাদের বলেছেন। আবার অনেকেই পরিবর্তনের কথা বলেছেন। এগুলো কীভাবে করা হবে তার বিস্তারিত জানানো হবে।

নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেন, আগামী ৭ ফেব্রুয়ারির সভায় সকলের কাছ থেকে বিদ্যমান আসনের ওপর মতামত গ্রহণ করা হবে। তবে প্রশাসনিক কাঠামোতে জোর দেব। সকলের মতামতের পর খসড়া তালিকা প্রকাশ করব। এরপর শুনানি হবে। শুনানি শেষে আগামী জুনের মধ্যে সীমানা পুনর্নির্ধারণ চূড়ান্ত করা হবে।

সূত্র: সমকাল
আইএ/ ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

Back to top button