দক্ষিণ এশিয়া

আদানির আর্থিক নথি খতিয়ে দেখা শুরু

নয়াদিল্লি, ০৪ জানুয়ারি – আদানি বিতর্কে কাঁপছে ভারত। এমন পরিস্থিতিতে অবশেষে নড়েচড়ে বসল সরকার। আদানি গ্রুপের আর্থিক রিপোর্ট এবং অন্যান্য নিয়ন্ত্রক সংক্রান্ত নথির পর্যালোচনা শুরু করেছে ভারতের কেন্দ্রীয় কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রণালয়। নথি, ফাইলিং খতিয়ে দেখছেন কেন্দ্রের বিশেষজ্ঞরা। শুক্রবার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুই কেন্দ্রীয়কর্মকর্তার বরাতে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার থেকেই কেন্দ্রীয় কর্মকর্তারা এই নথি পরীক্ষার প্রক্রিয়া শুরু করেন বলে দাবি এক সরকারি সূত্রের। ভারতের কোম্পানি আইনের ২০৬ নম্বর ধারার অধীনে সমগ্র প্রক্রিয়াটি শুরু হয়েছে। এই ধারায় সরকার চাইলে কোনও সংস্থার বিগত কয়েক বছরের আর্থিক নথি, যেমন ব্যালেন্স শীট, অ্যাকাউন্টের খাতা পর্যালোচনা করতে পারে। এছাড়া বোর্ড মিটিং, সংস্থার সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া ইত্যাদিও পর্যালোচনা করা যায়।

আদানি গ্রুপের এক মুখপাত্র এই বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি। কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রণালয়ও রয়টার্সের মন্তব্যের অনুরোধে উত্তর দেয়নি। তদন্তের গোপনীয়তার স্বার্থে যুক্ত কর্মকর্তারা নাম প্রকাশ করতে চাননি।

গত ২৪ জানুয়ারি মার্কিন শর্ট-সেলার হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে। তাতে আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে শেয়ার কারচুপি, বিপুল অঙ্কের ঝুঁকিপূর্ণ ঋণের অভিযোগ তোলা হয়। সেই রিপোর্ট প্রকাশের পর থেকে দ্রুত নিম্নমুখী হয়েছে আদানি গোষ্ঠীর ৭টি সংস্থার শেয়ার।

লোকসানের ভয়ে আদানি গোষ্ঠীর শেয়ার বেচে দিচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা। আর তার ফলেই দ্রুত হারে নামছে দর। অবস্থা এমনই যে, মাত্র ৫ দিনেই শেয়ার বাজার থেকে ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার হাওয়া হয়ে গেছে গোষ্ঠীটির।

এদিকে আদানি গোষ্ঠীর শেয়ারে বিনিয়োগ রয়েছে এলআইসির মতো ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থারও। রয়েছে বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংকের পাহাড় সমান ঋণ। তাছাড়া একগুচ্ছ হেভিওয়েট সরকারি প্রকল্পের বরাত রয়েছে আদানি গোষ্ঠীর হাতে। শেয়ার বাজারে এমন ধসের পর, সেই প্রকল্পগুলির ভবিষ্যত কী? প্রশ্ন বিরোধী রাজনৈতিক নেতাদের।

অন্যদিকে ইতিমধ্যেই বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে তলব করেছে রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়া ( আরবিআই)। কোন ব্যাংকের আদানি গোষ্ঠীতে কতটা বিনিয়োগ/ঋণ রয়েছে, তার হিসাব দিতে বলা হয়েছে। শুক্রবার আদানি পরিস্থিতি নিয়ে বিবৃতি পর্যন্ত প্রকাশ করে আরবিআই।

সূত্র: বাংলাদেশ জার্নাল
এম ইউ/০৪ জানুয়ারি ২০২৩

Back to top button