বাগেরহাট

মোংলা ইপিজেডে আগুন

বাগেরহাট, ৩১ জানুয়ারি – বাগেরহাটের মোংলা ইপিজেডের লাগেজ কারখানার আগুন সাড়ে পাঁচ ঘণ্টায়ও নিয়ন্ত্রণে আসেনি। বর্তমানে ফায়ার সার্ভিসের ১১টি ইউনিট আগুন নেভানোর কাজ করছে। এছাড়া এ ঘটনায় চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে ইপিজেড কর্তৃপক্ষ।

মোংলা ইপিজেডের নির্বাহী পরিচালক মাহবুব আহমেদ সিদ্দিক এসব বিষয় নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘এ অগ্নিকাণ্ডে কেউই দগ্ধ ও হতাহত হয়নি। আগুন এখনো নেভেনি। নিয়ন্ত্রণে কাজ করছেন ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা। তবে আগুন শুধু একতলা বিশিষ্ট ওই কারখানায় সীমাবদ্ধ আছে। কারখানা কর্তৃপক্ষ ধারণা করছে শট-সার্কিট থেকে আগুন লাগতে পারে।

ইপিজেডের নির্বাহী পরিচালক আরও বলেন, এ ঘটনায় চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটিকে তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। কমিটির প্রধান করা হয়েছে ইপিজেডের অতিরিক্ত নির্বাহী প্রকৌশলী (হিসাব) আবুল হাসান মুন্সীকে।

লাগেজ কারখানার প্রধান এইচআর এডমিন মো. মিজান বলেন, বিকেল ৩টার দিকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। সেই থেকে এখনো আগুন জ্বলছে। খবর পেয়ে মোংলা ইপিজেড, মোংলা নৌবাহিনী, মোংলা বন্দর ও বাগেরহাট ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।

লাগেজ কারখানার প্রধান প্রশাসন ও মানবসম্পদ বিভাগের কর্মকর্তা মো. মিজান বলেন, আগুনের সূত্রপাত এ মুহূর্তে নিশ্চিত বলতে পারছি না। তবে শর্ট-সার্কিট কিংবা ওয়েল্ডিং থেকে আগুন লাগতে পারে বলে ধারণা করছি। আগুনে প্রায় ৩০০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে কেউ হতাহত হননি।

তিনি আরও বলেন, ইপিজেডে ভিআইপির আটটি কারখানা আছে। যেটিতে আগুন লেগেছে সেটির শ্রমিকদেরকে দুদিনের ছুটি দেওয়া হয়েছে। দুদিন পর তাদের দিয়ে আমাদের অন্য কারখানায় কাজ করানো হবে।

খুলনা ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক মামুন মাহমুদ বলেন, আগুন নেভাতে আরও দুই ঘণ্টার মতো লাগবে। তবে আগুনের সূত্রপাতের বিষয়ে এখনো জানা যায়নি।

সূত্র: জাগো নিউজ
আইএ/ ৩১ জানুয়ারি ২০২৩

Back to top button