চট্টগ্রাম, ৩০ নভেম্বর- করোনা সংক্রমণের প্রথম ধাপের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে দেশের আমদানি-রফতানি বাণিজ্যকে গতিশীল রাখতে ভাইরাসটির দ্বিতীয় ধাক্কা মোকাবিলায় প্রস্তুত চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর। বিশেষ করোনা ইউনিট চালুসহ নানা উদ্যোগের কারণে বন্দরের কার্যক্রমে কোনও রকম ব্যাঘাত ঘটবে না বলে আশ্বস্ত করেছে কর্তৃপক্ষ।
মহামারি করোনা ঝড়ে ধসেপড়া অর্থনীতিকে টেনে তুলতে সারাবিশ্ব যখন হিমশিম খাচ্ছে, তখন অনেকটা ব্যতিক্রম বাংলাদেশ। অর্থনীতির চাকা যেমন সচল রয়েছে, তেমনি অনেকটাই স্বাভাবিক আমদানি-রফতানি বাণিজ্য।
চলতি বছর করোনা সংক্রমণের চূড়ান্ত পর্যায়েও দেশের অর্থনীতিকে সচল রাখতে বড় ধরনের ভূমিকা রেখেছিল চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর। করোনার তাণ্ডবের মধ্যেও একদিনও বন্ধ ছিল না বন্দরটির কার্যক্রম। তবে বন্দরের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের ৪৬৮ জন করোনায় আক্রান্ত হন ও মারা যান ১৫ জন। মৃতদের মধ্যে ৯ জনই ছিলেন বন্দরের কর্মচারী।
তাই এবার ভাইরাসটির দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় স্বাস্থ্য সম্পর্কিত প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে সবচেয়ে বেশি। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মোহাম্মদ ওমর ফারুক বলেন, হাসপাতালে ৫০ শয্যার করোনা ইউনিট চালু করা হয়েছে আর আক্রান্তদের সেবা নিশ্চিতে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে ১৫০ চিকিৎসক ও নার্স। প্রতিদিনই আক্রান্ত সন্দেহে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
বন্দরে আসা বিদেশি জাহাজের নাবিকদের মাধ্যমে করোনা ছড়ানোর শঙ্কা থাকায় স্বাস্থ্য বিভাগ বিদেশি নাবিকদের বহির্নোঙরেই ১৪ দিন কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করতে বলেছে। বন্দরে কর্মরত মেডিকেল টিম সবুজ সংকেত দিলেই কেবল তারা বের হতে পারবেন বলে জানান সিভিল সার্জন ডা. শেখ ফজলে রাব্বি।
বন্দরের অপারেশনাল কার্যক্রম সচল রাখতে নেওয়া নানা কৌশলের কথা জানান চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য মোহাম্মদ জাফর আলম। তিনি বলেন, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে স্বাস্থ্যঝুঁকি মোকাবিলা করে কিভাবে বন্দর পরিচালনা করতে তা আমরা শিখে গেছি। অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়েই কার্যক্রম সচল রাখা হবে।
তবে করোনার প্রথম ধাপে বন্দরকে সচল রাখতে স্টোররেন্ট মওকুফ করায় ২১৫ কোটি টাকা আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছিল বন্দর। এ ছাড়া আমদানিকৃত পণ্য অফ ডকে খালাসের অনুমতি দেওয়ায় আরও অন্তত ১০০ কোটি টাকা আয় থেকে বঞ্চিত হয়েছিল।
সূত্রঃ সময় নিউজ
আডি/ ৩০ নভেম্বর