জাতীয়

যেখানকার টেবিল, বাতাস থেকে শুরু করে সব চোর!

ঢাকা, ৩০ জানুয়ারি – ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য এ কে এম রহমতুল্লাহ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁকে মেয়র (অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশনের) হওয়ার জন্য বলেছিলেন। কিন্তু সেখানকার টেবিল, বাতাস থেকে শুরু করে সব চোর। এ কারণে তিনি যাননি। তাঁকে মন্ত্রী হওয়ারও প্রস্তাব করা হয়েছিল কিন্তু এসব কারণে তিনি তাতেও রাজি হননি।

আজ রোববার জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে ঢাকা–১১ আসনের সংসদ সদস্য রহমতুল্লাহ এ কথা বলেন।

 

নিজের রাজনৈতিক অবস্থান তুলে ধরে সংসদ সদস্য বলেন, ‘আমি কিন্তু ঢাকার এমপি। এখনকার মধ্যে মোস্ট সিনিয়র এমপি, এখানে মতিয়া আপা আছে, আমার চেয়ে মোস্ট সিনিয়র পাঁচ–ছয়জন আছে। আমার বয়স এখন ৭৫ চলতেছে। হ্যাঁ, ৭৬ চলতেছে। আমি আর ফিরোজ রশীদ (জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ) একসঙ্গে পড়তাম। আমার ছেলের বয়সই ৪৯। অনেকেই প্রশ্ন করে, আমি পাঁচবারের এমপি। মন্ত্রী হলাম না কেন?’

রহমতুল্লাহ বলেন, ‘আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞতা জানাই, হানিফ সাহেব (ঢাকার সাবেক মেয়র মোহাম্মদ হানিফ) মারা যাওয়ার পরে মেয়র অফার (প্রস্তাব) করেছিলেন। আমি আপারে বললাম, ওখানে যাব না। এখানে টেবিলে চুরি করে, বাতাসে চুরি করে এবং এখানের মধ্যে সব চোর। আমি যাব না।’

রহমতুল্লাহ দাবি করেন, এরপর তাঁকে মন্ত্রী হওয়ার অফার দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এসব কারণে তিনি সেই সময়ও রাজি হননি।

রহমতুল্লাহ বলেন, ‘আমি ঢাকা শহরে সর্বপ্রথম ট্যাক্স বাহাদুর নির্বাচিত হয়েছি। আমার অনেক কোম্পানি আছে। খালি দুইটা নামই বলব। একটা হলো এপেক্স ট্যানারি। আপনারা এপেক্স ট্যানারিকে খুব ভালোভাবে চেনেন। আরেকটা হলো এফডি ফুটওয়্যার। এটা আমার ছেলে করছে। এটারও টার্নওভার (বার্ষিক লেনদেন) ৫০০ কোটি টাকার মতো। আমার ছেলে বাংলাদেশের বড় ওষুধ কারখানা করবে, জায়গাও কেনা হয়ে গেছে ৮০ বিঘা। আল্লাহর রহমতে ব্যাংকে কোনো দেনা নাই। আমাদের কী সম্পত্তি আছে, এটা ওপেনলি (প্রকাশ্যে) বলব না। এটা শুধু মতিয়া আপা এবং প্রধানমন্ত্রীকেই বলব।’

বিএনপির আন্দোলনের সমালোচনা করে রহমতুল্লাহ বলেন, তিনি আহলে হাদিসের প্রধান উপদেষ্টা। সারা দেশে এর প্রায় আড়াই কোটি ভোটার আছেন। তাঁর চামড়ার সাপ্লাইয়ার ও তাঁদের পরিবার মিলিয়ে আছেন প্রায় এক কোটির মতো। ধাক্কা দিয়ে সরকার ফেলা দূরের কথা, তারা আওয়ামী লীগের একটা সিটও নিতে পারবে না।

সূত্র: প্রথম আলো
আইএ/ ৩০ জানুয়ারি ২০২৩

Back to top button