ভোটের আগে কঠিন নির্বাচনি আইন আনল মিয়ানমার জান্তা
নেপিডো, ২৭ জানুয়ারি – প্রায় দুবছর আগে গণতান্ত্রিক সরকারকে উৎখাত করা মিয়ানমারের সামরিক জান্তা এবার রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য কঠিন কঠিন শর্ত সংবলিত আইন জারি করল।
আগামী আগস্টে মিয়ানমারে জাতীয় নির্বাচন দেওয়ার কথা রয়েছে সামরিক বাহিনীর। দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম ‘গ্লোবাল নিউ লাইট’-এ প্রকাশিত আইনটি দেখে পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে, এমনভাবে এটি করা হয়েছে যাতে আগামী নির্বাচনে সামরিক বাহিনীর অর্থবহ কোনো বিরোধী পক্ষ না থাকে। ফলে সামরিক বাহিনী নির্বাচনের আয়োজন করলেও তার স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
২০১০ সালের আইন বাতিল করে নতুন জারি করা আইনে বলা হয়েছে, ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে যুক্ত’ কিংবা ‘বেআইনি’ কোনো সংগঠন বা ব্যক্তির সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা থাকা কেউ নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না। নে
নির্বাচনে অংশ নিতে চাওয়া দলকে রেজিস্ট্রেশনের তিন মাসের মধ্যে অন্তত এক লাখ সদস্য থাকতে হবে। এছাড়া ভোট করতে চাইলে দলের তহবিলে যে পরিমাণ অর্থ থাকতে হয় তা একশ গুণ বাড়ানো হয়েছে। আগে দশ লাখ কিয়াট থেকে এক লাফে ১০ কোটি কিয়াটে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এ অর্থ রাষ্ট্রমালিকানাধীন মিয়ানমা ইকনোমিক ব্যাংকে জমা রাখতে হবে। আইনটিতে সাক্ষর করেছেন মিয়ানমারের সামরিক সরকার প্রধান মিন অংশ হ্লাইং।
মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে গণতন্ত্রপন্থীদের বিক্ষোভে অন্তত তিন হাজার মানুষকে প্রাণ দিতে হয়েছে। এদের বেশিরভাগই সামরিক বাহিনীর গুলিতে নিহত হয়েছেন। আরও হাজার হাজার বিক্ষোভকারী নেতাকর্মী কারাগারে বন্দি রয়েছেন। সামরিক বাহিনী অবশ্য এদেরকে ‘সন্ত্রাসী’ আখ্যা দিয়ে থাকে। এছাড়া অভ্যুত্থানের প্রথম দিন থেকেই বন্দি রয়েছেন এনএলডি নেত্রী অং সান সুচিসহ বহু নেতা।
সূত্র: সমকাল
আইএ/ ২৭ জানুয়ারি ২০২৩