বিচিত্রতা

বিলাসবহুল জীবন ছেড়ে সন্ন্যাসজীবনে ৮ বছরের মেয়ে

বাবা ধনী হীরা ব্যবসায়ী। জীবনে তার আরামের অভাব ছিল না। কিন্তু বিলাসবহুল জীবন বিসর্জন দিয়ে মাত্র আট বছর বয়সেই সন্ন্যাস গ্রহণ করল দেবাংশী সংঘভি।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গুজরাটের সুরাটে সন্ন্যাসের দীক্ষা নিয়েছে আট বছরের মেয়ে। বুধবার (১৮ জানুয়ারি) হীরা ব্যবসায়ী ধনেশের বড় মেয়ে বিলাসবহুল জীবন বিসর্জন দিয়ে, কোটি টাকার সম্পত্তি প্রত্যাখ্যান করে সন্ন্যাসিনী হয়েছেন।

দেবাংশী সংঘভি দুই বোনের মধ্যে বড়। মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) সন্ন্যাসের দীক্ষা নেন দেবাংশী। এই বয়সেই দেবাংশী হিন্দি, ইংরেজিসহ অনেক ভাষায় রীতিমত পটু। এ ছাড়া তিনি সঙ্গীত এবং নৃত্য ও যোগব্যায়ামেও অত্যন্ত পারদর্শী।

গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেবাংশীর শৈশব থেকেই আধাত্মিকতার প্রতি ঝোঁক ছিল, যে কারণে ছোটবেলা থেকেই তার জীবন ছিল সহজ-সরল। সকল প্রকার বিলাসিতা ত্যাগ করে তিনি সন্ন্যাসিনী হয়ে ওঠেন।

ধনেশ সংঘভির মালিকানাধীন ডায়মণ্ড কোম্পানির সারা বিশ্বব্যাপী শাখা রয়েছে এবং বার্ষিক আয় প্রায় ১০০ কোটি টাকা। দেবাংশীর ছোট বোনের নাম কাব্য এবং তার বয়স পাঁচ বছর। আচার্য বিজয় কীর্তিযশসুরি দেবাংশীকে দীক্ষা দেন। দেবাংশী মাত্র আট বছর বয়সে ৩৬৭টির বেশি আধ্যাত্মিক কর্মসূচীতে যোগ দেন। তার পরে তিনি সন্ন্যাস গ্রহণের জন্য অনুপ্রাণিত হন।

 

দেবাংশীদের পারিবারিক বন্ধুদের বরাত দিয়ে টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘দেবাংশী কখনো টেলিভিশন বা সিনেমা দেখেনি। এ ছাড়া সে কখনো বিপণিবিতান ও রেস্তোরাঁয় যায়নি। শৈশব থেকে দিনে সে তিনবার প্রার্থনা করে। এমনকি তার বয়স যখন দুই, তখন থেকে উপবাস করে আসছে।’

এদিকে ধর্মীয় বিষয়ের পণ্ডিতেরা বলছেন, জৈন ধর্মাবলম্বী মানুষের মধ্যে সংসারজীবন ত্যাগ করে সন্ন্যাসজীবন বেছে নেয়াটা স্বাভাবিক একটি ঘটনা। তবে এই হার গত কয়েক বছর ধরে দ্রুত বাড়তে দেখা যাচ্ছে। এর পরও দেবাংশীর মতো কম বয়সী শিশুদের এই সন্ন্যাসজীবন বেছে নেয়ার ঘটনা তেমন একটা দেখা যায় না।

আইএ

Back to top button