ইউরোপ

ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগের মুখে ইউক্রেন সরকারে পদত্যাগের হিড়িক

কিয়েভ, ২৪ জানুয়ারি – ইউক্রেনে দুর্নীতির ইতিহাস বহু পুরোনো। ২০২১ সালে আন্তর্জাতিক সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের দুর্নীতিগ্রস্ত রাষ্ট্রের তালিকায় ১৮০টি দেশের মধ্যে ১২২ নম্বরে ছিল ইউক্রেন। ২০২২ সালে যুদ্ধ শুরুর পরও সেই পরিস্থিতির খুব একটা উন্নতি হয়নি।

সম্প্রতি দেশটিতে দুর্নীতিবিরোধী অভিযানের জেরে সরকারি রদবদলের আগে বেশ কয়েকজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা পদত্যাগ করেছেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির এক জ্যেষ্ঠ সহকারীও।

কিরিলো টিমোশেঙ্কো নামে ওই কর্মকর্তা দামি গাড়ি ব্যবহার সংক্রান্ত কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়েছিলেন। অবশ্য তিনি সেই অভিযোগ অস্বীকার করেন।

পদত্যাগ করেছেন ইউক্রেনের উপ-প্রতিরক্ষামন্ত্রী ভ্যাচেস্লাভ শাপোভালভও। শোনা যায়, তার মন্ত্রণালয় ইউক্রেনীয় সৈন্যদের জন্য সরবরাহ করা খাবারের দাম বাড়িয়ে ধরেছিল।

এছাড়া চার লাখ ডলার সমপরিমাণ অর্থ ঘুসগ্রহণের অভিযোগে গত সোমবার আটক করা হয়েছে ইউক্রেনের অবকাঠামো মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী ভাসিল লোজিনস্কিকে। তিনিও অবশ্য অভিযোগ স্বীকার করেননি।

ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ঘোষণা দিয়েছেন, যুদ্ধ শুরুর প্রায় এক বছর পর ইউক্রেনের সরকার ও নিরাপত্তা সংস্থাগুলোতে পরিবর্তন আনতে যাচ্ছেন তিনি।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবর অনুসারে, জেলেনস্কির পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিয়েছিলেন টিমোশেঙ্কো। তার হঠাৎ করে সরে যাওয়াটা সরকারি রদবদলের অংশ হতে পারে।

এসব পরিবর্তন আসছে দুর্নীতির বিরুদ্ধে ইউক্রেন সরকারের সাম্প্রতিক অভিযানের মধ্যে। ইউক্রেনকে যদি ইউরোপীয় ইউনিয়নে যোগ দিতে হয়, তাহলে দুর্নীতি দমনের প্রশ্নে ইইউ’র শর্তগুলো আগে মানতে হবে।

এরই মধ্যে সব সরকারি কর্মকর্তার দেশত্যাগ নিষিদ্ধ করেছে ইউক্রেন। কেবল অনুমোদিত সরকারি সফরে বিদেশে যেতে পারবেন তারা।

জেলেনস্কির সার্ভেন্ট অব দ্য পিপল পার্টির প্রধান ডেভিড আরাখামিয়া জানিয়েছেন, দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তারা কারাদণ্ডের মুখোমুখি হতে পারেন।

ইউক্রেনীয় সংবাদপত্র ইউক্রেনস্কা প্রাভদার খবরে বলা হয়েছে, কিরিলো টিমোশেঙ্কোর পর সুমি, দিনিপ্রো, জাপোরিঝিয়া ও খেরসনের চার আঞ্চলিক প্রশাসনের প্রধানও হয়তো পদত্যাগ করতে পারেন।

সূত্র: জাগো নিউজ
আইএ/ ২৪ জানুয়ারি ২০২৩

Back to top button