পদক চূড়ান্তকরণ সভায় কিরণকে নিয়ে হট্টগোল
ঢাকা, ২৪ জানুয়ারি – ২০২১ ও ২০২২ সালের জন্য জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার চূড়ান্ত করতে গতকাল দ্বিতীয় সভায় বসেছিল চূড়ান্তকরণ কমিটি। ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেলের সভাপতিত্বে সেই সভায় বিতর্কিত ক্রীড়া সংগঠক মাহফুজা আক্তার কিরণের নাম নিয়ে হয়েছে হট্টগোল, তর্ক-বিতর্ক।
কমিটির অনেকেই কিরণের নাম না দেওয়ার পক্ষে ছিলেন। তবে বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন উপস্থিত হয়ে কিরণকে পুরস্কার পাইয়ে দিতে চেষ্টা-তদবির শুরু করেন।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, বেশিরভাগ সদস্যের বিরোধিতা সত্ত্বেও সালাউদ্দিনের অনুরোধে কিরণের নাম কাটা পড়েনি তালিকা থেকে। কয়েক বছর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সরাসরি সমালোচনা করে চার দিন জেল খাটা কিরণকে জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারের মতো মর্যাদার পদক পাইয়ে দেওয়ার চেষ্টায় বিস্মিত অনেকেই।
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এ নিয়ে হয়েছে হট্টগোল। প্রতিবাদী হয়ে উঠেছিলেন অনেকেই। কমিটির এক সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ করেছিলেন কিরণ। ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসের ব্যানার ছিঁড়েও আলোচিত হয়েছিলেন মহিলা ক্রীড়া সংস্থার সাবেক এই সম্পাদিকা। এসব কাণ্ডে বিতর্কিত কিরণকে রাষ্ট্রীয় পদক পাইয়ে দেওয়ার চক্রান্ত চলছে। তাকে পুরস্কৃত করা হলে, এই পদকে ভূষিত সকলকে অপমান করা হবে।’
সূত্র জানায়, কিরণকে পদক পাইয়ে দিতে সালাউদ্দিন মরিয়া হয়ে উঠেছেন। মনোনয়ন তালিকা প্রসঙ্গে ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘কিছু নাম চূড়ান্ত হয়েছে। কিছু নাম নিয়ে সভার অনেক সদস্য প্রতিবাদ করেছেন। তাই আমরা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেইনি। এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।’
তিন ধাপে বাছাই হয় জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারপ্রাপ্তদের তালিকা। সর্বোচ্চ কমিটির আগে সুপারিশ কমিটি কিরণের নাম বাদ দিয়েছিল। তবে চূড়ান্তকরণ কমিটির প্রথম সভায় উপস্থিত হয়ে তার নাম তালিকায় লিখতে বাধ্য করেন সালাউদ্দিন।
সূত্র: দেশ রূপান্তর
আইএ/ ২৪ জানুয়ারি ২০২৩