জাতীয়

তিনবার বক্তব্য থামানোর পর বিরক্ত হয়ে সরে যান ওবায়দুল কাদের, অতঃপর…

ঢাকা, ১৭ জানুয়ারি – বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষ্যে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভায় মঞ্চের সামনে নেতাকর্মীদের ভিড় আর বিশৃঙ্খলার কারণে তিনবার বক্তব্য থামিয়েছেন দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এমনকি একবার ডায়াস থেকেও সরে গিয়েছিলেন তিনি। পরে অবশ্য তার বক্তব্য শেষ করেছেন।

মঙ্গলবার বিকালে রাজধানীর ফার্মগেটে বাংলাদেশ কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এ ঘটনা ঘটে। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ওবায়দুল কাদের।

মঞ্চের সামনে নেতাকর্মীদের ভিড়ে বিশৃঙ্খলা হচ্ছিল। উৎসুক নেতাকর্মীদের মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ ও সামনে দাঁড়িয়ে সেলফি তোলায় ভিডিও করতে পারছিলেন না গণমাধ্যমকর্মীরা।

ওবায়দুল কাদের প্রধান অতিথির বক্তব্য দিতে মঞ্চে উঠে সামনে দাঁড়ানো নেতাকর্মীদের সরে যেতে বলেন। তিনি বলেন, ‘আজকে এ আলোচনা সভায় এসে কিছু বলতে দাঁড়িয়ে আমি বিব্রত বোধ করছি। কারণ তিন-তিনবারের সাধারণ সম্পাদক, যখন আমাকে বলে তখন আমি লজ্জা পাই, লজ্জা পাই শৃঙ্খলার অভাব দেখে। কেন এখানে লোকজন দাঁড়িয়ে আছে?’

এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতারা মঞ্চের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা ব্যক্তিদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন। এরপর ওবায়দুল কাদের আবার বক্তব্য দেওয়া শুরু করেন; কিন্তু আবার বক্তব্য থামিয়ে দিয়ে বলেন- ‘তারপরও সবাই দাঁড়িয়ে আছে? এত কথা বলার পরেও! আমি কিন্তু বক্তৃতা করব না।’

নেতাকর্মীদের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘মুখে বলি আমরা বঙ্গবন্ধুর সৈনিক, বলি শেখ হাসিনার কর্মী; কিন্তু আমরা সবাই নেতা হই, সবাই মঞ্চে উঠি। তখন আদর্শের কথা মনে থাকে না।’

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘এত নেতা! নেতার ভিড়ে কর্মী চেনা মুশকিল। নেতার ভিড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের মঞ্চ ভেঙে পড়ে। এত নেতা তো আমাদের দরকার নেই। স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য স্মার্ট কর্মী বাহিনী দরকার। স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য সুশৃঙ্খল আওয়ামী লীগ চাই।’

এ পর্যায়ে কথা বলার কয়েক মিনিট পরই তৃতীয়বারের মতো বিরক্ত হন ওবায়দুল কাদের। মঞ্চের সামনে ভিড় করা নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘কোথায় আজ শৃঙ্খলা? আবারো সরলা না এখান থেকে?’

একপর্যায়ে ওবায়দুল কাদের বক্তব্য থামিয়ে মঞ্চ থেকে সরে যান। এ সময় পুলিশ সদস্যরা এসে সামনে থেকে নেতাকর্মীদের সরিয়ে অবস্থান নেন। এরপর আবার আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বক্তব্য শুরু করেন। এ সময় ওবায়দুল কাদের বলেন, নেতারা মঞ্চে বসেন। বক্তৃতা করতে না পারলে যাদের মুখের ওপর বর্ষার আকাশের মেঘ এসে যায়, মন খারাপ হয়ে যায়। সবার বক্তৃতা করতে হবে কেন? আওয়ামী লীগকে সুশৃঙ্খল এবং কলঙ্কমুক্ত করতেই হবে বলে উল্লেখ করেন ওবায়দুল কাদের।

সূত্র: যুগান্তর
আইএ/ ১৭ জানুয়ারি ২০২৩

Back to top button