পশ্চিমবঙ্গ

ফারাক্কার পানি চুক্তি নিয়ে মোদী সরকারকে কটাক্ষ করলেন মমতা

কলকাতা, ১৬ জানুয়ারি – ১৯৯৬ সালে বাংলাদেশের সঙ্গে ফারাক্কার পানি নিয়ে চুক্তি হয়েছিল ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের। চুক্তির শর্ত অনুযায়ী পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে এলাকার উন্নয়নে ৭০০ কোটি রুপি দেওয়ার কথা ছিল কেন্দ্রীয় সরকারের। কিন্তু তা আজও দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী।

পঞ্চায়েত নির্বাচন সামনে রেখে সোমবার (১৬ জানুয়ারি) মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘি এলাকায় এক সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘মুর্শিদাবাদের সব আছে। গঙ্গা-পদ্মা আছে। গঙ্গা-ভাগীরথী মিশে গেছে আমাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশের পদ্মা নদীর সঙ্গে। কিন্তু আজ এখানে নদীর ভাঙনে লাখ লাখ মানুষ গৃহছাড়া হচ্ছে।’

এসময় ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের সমালোচনা করে মমতা বলেন, ‘এই নদীভাঙন আটকানো উচিত ছিল কেন্দ্রীয় সরকারের। আমরা তাদের বলছি, যদি নদীভাঙন রোধ করতে না পারেন, তাহলে আমাদের টাকা ফেরত দেন। ভাঙন ঠেকাতে যা যা করা উচিত, তা করতে হবে। নাহলে আমরা ছেড়ে কথা বলবো না।’

‘মিড ডে মিল’ নিয়ে ওঠা অভিযোগ খতিয়ে দেখতে আগামী ২০ জানুয়ারি পশ্চিমবঙ্গে আসছেন কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মকর্তারা। কেন্দ্র থেকে রাজ্যে দফায় দফায় লোক পাঠানো নিয়ে এদিন ফের উষ্মা প্রকাশ করেন মমতা ব্যানার্জী। তার অভিযোগ, রাজ্য সরকারকে উত্ত্যক্ত করতেই কেন্দ্রীয় দল পাঠানো হচ্ছে।

তিনি বলেন, ‘রোজ রোজ কেন্দ্রীয় দল পাঠানো হচ্ছে, যেন ভারতের আর কোথাও ঘুরতে যাওয়ার দরকার নেই। গাড়িতে টেনে নিয়ে একটি মেয়েকে মেরে ফেললো- সেই দিল্লিতে পাঠাচ্ছে না তো। কোথায় থাকেন যখন গুজরাটে মারে। তা সত্ত্বেও কেন্দ্রীয় দল সেখানে যায় না।’

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আসামে জাতীয় নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি) নিয়ে লাখ লাখ মানুষ বিপদে পড়লো। কেন্দ্রীয় কর্মকর্তাদের দল সেখানে যায় না। উত্তর প্রদেশে অত্যাচার হলে কেন্দ্রীয় দল যায় না। আর এখানে বিজেপিকে উইপোকা কামড়ালেই কেন্দ্রীয় দল চলে আসে। ঘরে জোনাকি পোকা ঢুকলে চলে আসে। একটি চকলেট বোমা ফাটলেও এনআইএ (ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি) তদন্ত করতে চলে আসে।’ রাজ্যকে উত্ত্যক্ত করতেই এমনটি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তৃণমূল সুপ্রিমোর।

মমতার কথায়, ‘বাংলাকে ভাতে মারার চেষ্টা হচ্ছে। বুঝতে পারছেন আপনারা, কীভাবে হ্যারাস (হয়রানি) করছে!’

মুখ্যমন্ত্রী হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘বদলা নেবো, ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে বুঝে নেবো, বদল আমি করবোই। মনে রাখবেন, আমি বুলডোজারের পক্ষে নই। তবে গণতন্ত্রে যারা বুলডোজার চালায়, তাদের ক্লোজার হবেই। টাকা না দিয়ে খালি কেন্দ্রীয় দল পাঠাচ্ছে। টাকা নেই, বিজেপির দরকার নেই।’

সূত্র: জাগো নিউজ
আইএ/ ১৬ জানুয়ারি ২০২৩

Back to top button