জাতীয়

ছয় দেশ থেকে ২১ লাখ টন জ্বালানি তেল কিনবে সরকার

ঢাকা, ১১ জানুয়ারি – ছয় দেশ থেকে ২১ লাখ মেট্রিক টন জ্বালানি তেল কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এর মধ্যে ২০ লাখ ৪০ হাজার টন পরিশোধিত জ্বালানি তেল এবং ৬০ হাজার টন ডিজেল রয়েছে।

বুধবার দুপুরে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ সংক্রান্ত প্রস্তাবের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। সভায় সভাপতিত্ব করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল। সভাশেষে সাংবাদিকদের কাছে বিস্তারিত তুলে ধরেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহবুব খান।

তিনি বলেন, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, আরব আমিরাত, চীন, মালয়েশিয়া এবং থাইল্যান্ডের ৭টি রাষ্ট্রায়ত্ত্ব প্রতিষ্ঠান থেকে ২০ লাখ ৪০ হাজার টন পরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানির অনুমোদন দেয়া হয়েছে। যা বাস্তবায়ন করবে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (বিপিসি)।

তিনি আরও বলেন, ইন্দোনেশিয়ার বিএসপি, আরব আমিরাতের ইএনওসি, ভারতের আইওসিএল, চীনের পেট্টোচায়না, মালয়েশিয়ার পিটিএলসিএল, থাইল্যান্ডের পিটিটিটি এবং চীনের ইউনিপেক থেকে ২০ লাখ ৪০ হাজার মেট্রিক টন পরিশোধিত জ্বালানি তেল আনা হবে। যা আমদানি করতে ১৮ হাজার ২১৫ কোটি ৫২ লাখ টাকা খরচ হবে। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুনের মধ্যে এই জ্বালানি তেল কেনা হবে।

এছাড়া ভারতের নুমালিগড় রিফাইনারি লিমিটেডের (এনআরএল) থেকে ৬০ হাজার মেট্রিক টন ডিজেল আমদানির অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এই তেল আমদানি করতে খরচ পড়বে ৫৪৫ কোটি ৪ লাখ টাকা। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে এই ডিজেল আমদানি করা হবে।

জ্বালানির দাম আন্তর্জাতিক বাজারে ওঠানামা করলেও বৈঠকে পাস হওয়া তথ্য অনুযায়ী এসব ডিজেলের প্রতি লিটারের দাম ৯০ টাকা ৮৪ পয়সার মধ্যে থাকবে। তবে দাম কীভাবে নির্ধারণ করা হয়েছে সে বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য দেননি সাঈদ মাহবুব।

২০২১-২০২২ অর্থবছরে দেশে প্রায় ৬৭ লাখ টন জ্বালানির প্রয়োজন হয়েছিল; এই চাহিদা প্রতিবছরই ৭ থেকে ৮ শতাংশ হারে বাড়ছে। সে বছর মোট চাহিদার মধ্যে ৬ থেকে ৭ লাখ টন জ্বালানির যোগান আসে এসেছিল দেশীয় উৎস থেকে। সরকারি পরিশোধন কোম্পানি ইস্টার্ন রিফাইনারিতে বছরে ১৫ লাখ টন অপরিশোধিত জ্বালানি পরিশোধন করার সক্ষমতা রয়েছে।

বুধবারের সভায় ক্রয় কমিটির অনুমোদনের জন্য ১০টি প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়েছে। এর মধ্যে বিদ্যুৎ বিভাগের ৩টি, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের ২টি, শিল্প মন্ত্রণালয়ের ১টি, কৃষি মন্ত্রণালয়ের ১টি, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ১টি, স্থানীয় সরকার বিভাগের ১টি এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের ১টি প্রস্তাব ছিল। এরমধ্যে কৃষি মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবটি ফেরত নেয়া হয়েছে।

সূত্র: বাংলাদেশ জার্নাল
এম ইউ/১১ জানুয়ারি ২০২৩

Back to top button