শুভেন্দুর সঙ্গে যোগাযোগ BJP-র, হাতে ‘বেশি বিকল্প নেই’, মত গেরুয়া শিবিরের
কলকাতা, ২৮ নভেম্বর – শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রেখে চলেছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের। কিন্তু তিনি গেরুয়া শিবিরে যোগ দেবেন কিনা, সে বিষয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। সূত্র উদ্ধৃত করে শনিবার একথা জানিয়েছে সংবাদসংস্থা পিটিআই।
বিজেপি সূত্রে খবর, গেরুয়া শিবিরের নেতাদের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক আছে শুভেন্দুর। কিন্তু কোন শর্তে তিনি দলে যোগ দেবেন, তা নিয়ে এখনও আলোচনা হয়নি। তবে বিজেপির এক প্রবীণ নেতার মতে, শুভেন্দুর হাতে ‘বেশি বিকল্প’ পড়ে নেই। নাম গোপন রাখার শর্তে তিনি বলেন, ‘আমরা শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছি। তাঁর সঙ্গে ভালো সম্পর্ক আছে আমাদের। তবে আমাদের দলে যোগ দেওয়ার বিষয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। পরিষ্কার ছবিটা পাওয়ার জন্য আমাদের কয়েকদিন অপেক্ষা করতে হবে।’
আরও পড়ুন : শুভেন্দুকে বাদ রেখেই বিধানসভার ঘুঁটি সাজিয়ে ফেললেন মমতা
দীর্ঘ জল্পনার পর শুক্রবার মন্ত্রিত্ব থেকে ইস্তফা দিয়েছেন শুভেন্দু। তবে বিধায়ক পদ ছাড়েননি বা তৃণমূল কংগ্রেসের সদস্যপদও ত্যাগ করেননি। রাজনৈতিক মহলের মতে, মন্ত্রিত্ব ছাড়ার পরও শুভেন্দু যে তৃণমূলে থাকবেন, সেই সম্ভাবনা কার্যত নেই। সেক্ষেত্রে তৃণমূলের জন্মলগ্ন থেকে ঘাসফুল শিবিরের সঙ্গে শুভেন্দুর যে যোগ তৈরি হয়েছিল, তা বিচ্ছিন্ন হওয়া স্রেফ সময়ের অপেক্ষা। যদিও এখনও আশা ছাড়ছে না তৃণমূল। বরং ‘পিছনের দরজা’ দিয়ে আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার শেষ চেষ্টা করা হচ্ছে। বিশেষভাবে তৎপর হয়েছেন তৃণমূলের বর্ষীয়ান সাংসদ সৌগত রায়।
গেরুয়া শিবিরের অবশ্য বক্তব্য, মন্ত্রিত্ব ছেড়ে দেওয়ার পর শুভেন্দুর পক্ষে তৃণমূলে থেকে যাওয়া ‘কঠিন’। ওই বিজেপি নেতার কথায়, ‘তাই ওঁর সামনে বিকল্প বলতে আছে, নয়া দল গঠন করা বা বিজেপি বা কংগ্রেসে যোগদান করা।’ কিন্তু সেই বিকল্পের মধ্যেও নয়া দল গঠন করার বিষয়টি খুব একটা সহজ নয় বলে মত ওই নেতার। তাঁর বক্তব্য, ‘নয়া রাজনৈতিক সংগঠন গড়ে তোলার জন্য অনেক টাকা এবং লোক লাগে। আমাদের মতে, এই পরিস্থিতিতে সেটা সম্ভব নয়।’
একইসঙ্গে কংগ্রেসে যোগদানের সম্ভাবনাও কার্যত নেই। কারণ বাংলায় কংগ্রেস ‘দুর্বল’ হয়ে গিয়েছে। বামেদের সঙ্গে জোট গড়লেও আগামী বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস যে খুব ভালো ফল করবে, সে আশা তেমন নেই বলেই রাজনৈতিক মহলের মত। ওই বিজেপি নেতার কথায়, ‘তাই একমাত্র বিকল্প হিসেবে পড়ে থাকে বিজেপি। আমাদের মতে, দু’পক্ষের কাছে সেটা লাভজনক।’
সুত্র : হিন্দুস্থান টাইমস
এন এ/ ২৮ নভেম্বর