দক্ষিণ এশিয়া

পাকিস্তানে বাড়ছে ভোজ্যতেলের দাম

ইসলামাবাদ, ৯ জানুয়ারি – চরম অর্থনৈতিক সংকটে পড়েছে পাকিস্তান, বাড়ছে মূল্যস্ফীতি। এ পরিস্থিতিতে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম ক্রমাগত বাড়ছে। এর মধ্যে দ্রুত বাড়ছে ময়দা ও মুরগির দাম।

ইতিমধ্যে এসব পণ্য অনেক পরিবারের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। ঘি এবং ভোজ্যতেলের মতো দুটি গুরুত্বপূর্ণ খাদ্য উপকরণের সরবরাহেও ঘাটতির কথা বলছেন উৎপাদনকারীরা। পবিত্র রমজান মাস সামনে রেখে এগুলোর দাম আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় ব্যাংক গত ২৭ ডিসেম্বর পাম তেল, সয়াবিন ও সূর্যমুখী তেলের মতো পণ্যগুলোকে অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের তালিকায় যুক্ত করে। উৎপাদনকারীদের আমদানি ঋণপত্র (এলসি) খোলার আবেদনে ব্যাংকগুলো সাড়া দিচ্ছে না। পণ্য খালাসের কাগজপত্রও দেওয়া হচ্ছে না। এমন অবস্থায় উৎপাদনকারীদের কাছে পাম তেল, সয়াবিন ও সূর্যমুখী তেলের মজুত ক্রমাগত ফুরিয়ে আসছে।

বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে পাকিস্তান বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের (পিভিএমএ) মহাসচিব উমর ইসলাম খান বলেন, পাম অয়েলের দাম মনপ্রতি ১৩ হাজার পাকিস্তানি রুপি থেকে বেড়ে ১৪ হাজার রুপিতে দাঁড়িয়েছে। তিনি বলেন, ঘি এবং ভোজ্যতেলের দাম কেজি/লিটারপ্রতি ২৬ রুপি বেড়েছে।

উমর ইসলাম বলেন, ঋণপত্র খোলা ও পণ্য খালাসের আবেদন গ্রহণ করা না হলে এসব পণ্যের দাম কেজি/লিটারপ্রতি আরও ১৫ থেকে ২০ রুপি বাড়তে পারে।

সূত্র: বিডিপ্রতিদিন
আইএ/ ৯ জানুয়ারি ২০২৩

Back to top button