মধ্যপ্রাচ্য

নেতানিয়াহুর নতুন সরকারের বিরুদ্ধে হাজারও ইসরায়েলির বিক্ষোভ

জেরুজালেম, ০৮ জানুয়ারি – হাজার হাজার ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর নতুন সরকারের পরিকল্পনার প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছে। তাদের দাবি, দখলকৃত পশ্চিম তীরে অবৈধ বসতি সম্প্রসারণ দুর্বল করার জন্য বিচার বিভাগের ক্ষমতা ব্যাপক সংস্কারের পরিকল্পনা করেছে সরকার। যার ফলে গণতন্ত্র ও স্বাধীনতা হুমকির মুখে পড়েছে।

দেশের ৭৪ বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে ডানপন্থী এবং ধর্মীয়ভাবে রক্ষণশীল সরকার শপথ নেয়ার কয়েকদিন পর শনিবার তেল আবিব শহরে বিক্ষোভকারীরা জড়ো হয়েছিল। ইসরায়েলি পার্লামেন্ট নেসেটের বামপন্থী এবং ফিলিস্তিনি সদস্যরা এই বিক্ষোভের নেতৃত্ব দেন। যারা দেশটির ইহুদি ও ফিলিস্তিনি বাসিন্দাদের মধ্যে শান্তি ও সহাবস্থানের আহ্বান জানিয়েছেন।

বিক্ষোভকারীরা ‘বিপদে গণতন্ত্র’ এবং ‘ফ্যাসিবাদ এবং বর্ণবাদের বিরুদ্ধে একসাথে হও’ সহ স্লোগান দেয়। আরেকটি ব্যানারে লেখা ছিল, আবাসন, জীবিকা, আশা চাই। কিছু বিক্ষোভকারী রংধনু পতাকা বহন করে।

বিক্ষোভকারীরা দেশটির নতুন বিচার মন্ত্রী ইয়ারিভ লেভিননের নিন্দা করেছেন, যিনি বুধবার দেশের সুপ্রিম কোর্টকে দুর্বল করার লক্ষ্যে সংবিধান সংশোধনের বিষয়টি উন্মোচন করেছেন।

সমালোচকরা সরকারকে আইনি ব্যবস্থার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করার জন্য অভিযুক্ত করে বলেছে, এই পরিকল্পনাটি নতুন শাসক জোটকে নিরঙ্কুশ ক্ষমতা প্রদান করে এর গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে দুর্বল করবে।

ফিলিস্তিনি ও ইহুদিদের তৃণমূল আন্দোলন স্ট্যান্ডিং টুগেদার-এর মুখপাত্র রুলা দাউদ বলেন, আমরা এখন দেখতে পাচ্ছি, ইসরাইলের বৃহত্তর সংখ্যালঘু এবং ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে অনেক আইনের পক্ষে ওকালতি করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, আমরা এখানে জোরে এবং স্পষ্ট বলতে এসেছি, আমরা সবাই আরব এবং ইহুদি এবং ইসরায়েলের অভ্যন্তরে বিভিন্ন সম্প্রদায় শান্তি, সমতা এবং ন্যায়বিচার দাবি করছি।

উল্লেখ্য, ৭৩ বছর বয়সী নেতানিয়াহু ইতিমধ্যেই ইসরায়েলের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি সময় ধরে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ১৯৯৬ থেকে ১৯৯৯ এবং ২০০৯ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত দেশকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। গত সপ্তাহে তার নেতৃত্বাধীন জোট আবারও সরকার গঠন করেছে।

সূত্র: বাংলাদেশ জার্নাল
এম ইউ/০৮ জানুয়ারি ২০২৩

Back to top button