জয়ে বিপিএল শুরু ঢাকার
ঢাকা, ০৭ জানুয়ারি – শুরুতে অল্প রানে অলআউট হলো খুলনা টাইগার্স। জবাব দিতে নেমে ঢাকা ডমিনেটরসও ভুগলো বেশ।
মাঝে ফের সামনে এলো বিপিএলের ডিআরএস বিতর্ক। বল হাতে আল আমিন হোসেনের পর ব্যাট হাতে রান করে দলকে জেতালেন নাসির হোসেন।
শনিবার মিরপুরে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) তৃতীয় ম্যাচে খুলনা টাইগার্সকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে ঢাকা। শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ৮ উইকেট হারিয়ে ১১৩ রান করে খুলনা। তাদের জবাব দিতে নেমে ৫ বল আগেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় ঢাকা।
টস হেরে ব্যাট করতে নামা খুলনা শুরুতেই শারজিল খানকে হারায়। ৭ রানে তার বিদায়ের পর ব্যাট করতে নামা মুনিম শাহরিয়ারও টিকতে পারেননি বেশিক্ষণ। ৪ রান করে আরাফাত সানির শিকার হন তিনি। ওপেনার তামিম ইকবাল কিছুক্ষণ থিতু হয়ে ছিলেন। তবে লম্বা সময় মাঠে না নামা এই ব্যাটার অবশ্য ৮ রানের বেশি করতে পারেননি।
২৮ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে যখন ধুঁকছে খুলনা, তখন দলের হাল ধরেন অধিনায়ক ইয়াসির আলি। তাকে সঙ্গ দেন আজম খান। দুজন গড়েন ২১ রানের জুটি। এরপর আজমকে ১৮ রানে ফিরিয়ে এই জুটি ভাঙেন আরাফাত সানি। অপরপ্রান্তে থাকা ইয়াসিরকে তখন সঙ্গ দেন সাইফউদ্দিন। গড়েন ৩১ রানের জুটি।
১৫তম ওভারের শেষ বলে বাজে শট খেলতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দেন ইয়াসির। বিদায় নেন ২৪ রান করে। সাইফউদ্দিনও টিকতে পারেননি বেশিক্ষণ। ২৮ বলে ১৯ রানের ইনিংস খেলে উইকেট হারান। শেষের দিকে নাহিদুল ইসলাম ও সাব্বির রহমানের ব্যাটে শতরান ছাড়ায় খুলনা। এরপরই আল আমিন ফিরিয়ে দেন নাহিদুলকে (৭)।
শেষ ওভারে ব্যাট করতে নেমে ২ বলে ১০ রান নেয়া ওয়াহাব রিয়াজ তৃতীয় বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে বিদায় নেন। শেষে সাব্বিরের অপরাজিত ১১ রানে ঢাকাকে ১১৪ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দেয় খুলনা।
ঢাকার হয়ে ৪ ওভারে ২৮ রান খরচায় ৪ উইকেট তুলে নেন আল আমিন। দুইটি করে উইকেট নেন নাসির হোসেন ও আরাফাত সানি।
জবাব দিতে নেমে ঢাকাকে ভালো শুরু এনে দেন দুই উদ্বোধনী ব্যাটার আহমেদ শেহজাদ ও দিলশান মুনাবিরা। কিন্তু শেহজাদ রিটায়ার্ড হার্ড হয়ে সাজঘরে ফিরলে ধাক্কা খায় তারা। ঢাকার দলীয় ১৬ রানের সময় পল ফন মেকেরিনের বল হাতে লাগে শেহজাদের।
তারা প্রথম উইকেট হারায় দলীয় ৪৭ রানে এসে। ওয়াহাব রিয়াজের বলে সৌম্য সরকার ক্যাচ দেন আজম খানের হাতে। এর আগেই অবশ্য ঘটে এক নাটক। ষষ্ঠ ওভারে নাসুমের বলে সৌম্যকে এলবিডব্লিউ দেন আম্পায়ার। সঙ্গে সঙ্গেই রিভিউ নেন ব্যাটার।
টিভি আম্পায়ার দেখে সিদ্ধান্ত বহাল রাখেন। এরপর নিজের ক্ষোভ জানিয়ে মাঠেই দাঁড়িয়ে থাকেন সৌম্য। আম্পায়াররা আবারও রিপ্লে দেখে সিদ্ধান্ত বদলান। তারপর ক্ষোভ জানান তামিম ইকবাল। বেশ কিছুক্ষণ আম্পয়ারের সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায় তাকে। বিপিএলে ডিআরএস না থাকা নিয়ে বিতর্কই যেন আরেকটু উস্কে দিলো এই ঘটনা।
সৌম্যকে হারানোর পর দ্রুত আরও দুই উইকেট হারায় ঢাকা। এরপর দলকে এগিয়ে দেন নাসির হোসেন ও উসমান গনি। এই দুজন মিলে গড়েন ৪৪ রানের জুটি। মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের বলে পল ফন মেকেরিনের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরত যান উসমান। ভেঙে যায় জুটি।
দলকে বাকি পথ টেনে নেন অধিনায়ক নাসির ও আরিফুল হক। ৪ চারে ৩৬ বলে ৩৬ রান করে অপরাজিত থাকেন নাসির হোসেন।
সূত্র: বাংলানিউজ
এম ইউ/০৭ জানুয়ারি ২০২৩