জাতীয়

‘বিএনপির কর্মসূচির দিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখবে সরকার’

ঢাকা, ০৪ জানুয়ারি – আগামী দিনে বিএনপির সব কর্মসূচির দিকে সরকার সতর্ক দৃষ্টি রাখবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

তিনি বলেছেন, এ দেশে আর কখনো ২০১৩, ১৪, ১৫ সালের মতো পরিস্থিতি তৈরি করতে দেব না।

বুধবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

ছাত্রলীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী নিয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, আজ ৪ জানুয়ারি ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। ছাত্রলীগের মিছিলের পেছনের সারির কর্মী হিসেবে আমার রাজনীতি শুরু হয়েছিল। সুতরাং আজকে ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর এদিনে ছাত্রলীগের বর্তমান-সাবেক সব নেতাকর্মীকে আমি অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানাই।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাস আর ছাত্রলীগের ইতিহাস অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। বাঙালি জাতির স্বাধিকার আন্দোলন থেকে শুরু করে স্বাধীনতা সংগ্রাম ও পরবর্তী সময়ে দেশ গঠনসহ সবক্ষেত্রে ছাত্রলীগ অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। অতীতের সেই গৌরবোজ্জ্বল পথ বেয়ে ভবিষ্যতে বাংলাদেশকে স্বপ্নের ঠিকানায় পৌঁছাতে ছাত্রলীগ ভূমিকা রাখবে সেটিই আমার প্রত্যাশা।

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রীর সঙ্গে প্রণয় ভার্মার সাক্ষাৎ : এর আগে ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা সচিবালয়ে ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

সাক্ষাৎ শেষে মন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, সিনেমা-টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রি, কানেকটিভিটি এসব নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বিশেষ করে ভারতের ত্রিপুরা, দিলি­ ও অন্যান্য রাজ্যে আমাদের টেলিভিশন চ্যানেলগুলো প্রচারে তেমন অসুবিধা না থাকলেও পশ্চিমবাংলায় দেখাতে পারে না। মূলত সেখানকার কেবল অপারেটররা শুরুতেই কয়েক কোটি টাকা এবং বছরপ্রতি কোটি টাকা দাবি করেন, যা আমাদের চ্যানেলগুলোর পক্ষে দেওয়া সম্ভব নয়। এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে কিছু করা যায় কিনা, সে বিষয়ে আলোচনা করেছি। পাশাপাশি বঙ্গবন্ধু বায়োপিক, দুদেশের যোগাযোগ বিশেষ করে আগরতলা, আখাউড়া ট্রেন রুটের অগ্রগতি, আমাদের ইকোনোমিক জোনগুলোতে ভারতের বিনিয়োগসহ অন্যান্য বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক বহুমাত্রিক এবং সেই সম্পর্ক রক্তের অক্ষরে লেখা। মহান মুক্তিযুদ্ধে ভারতীয় সৈন্য এবং নাগরিকরা আমাদের সঙ্গে জীবন দিয়েছেন। সুতরাং দুদেশের মানুষে মানুষে যোগাযোগ কিভাবে আরও বৃদ্ধি করা যায়, অনেক মানুষ চিকিৎসার জন্য বাংলাদেশ থেকে যান কিন্তু ভিসা পেতে দেরি হয়, সেটিকে আরও কিভাবে সহজীকরণ করা যায়- এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। ভারতীয় হাইকমিশনার এসব বিষয়ে আন্তরিকভাবে কাজ করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।

ভারতীয় হাইকমিশনার বলেন, বাংলাদেশের তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রীর সঙ্গে এটিই আমার প্রথম সাক্ষাৎ। অত্যন্ত আন্তরিকতাপূর্ণ আলোচনা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশ ও ভারতের মানুষের আত্মত্যাগের মাধ্যমে দুদেশের মধ্যে যে অনন্য বন্ধন রচিত হয়েছে, গত এক দশকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সেই সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। তাদের নির্দেশিত বিভিন্ন বিষয় বাস্তবায়ন এবং মানুষে-মানুষে সম্পর্ক ঘনিষ্ঠতর করার বিষয়ে আমরা আলোচনা করেছি।

সূত্র: যুগান্তর
আইএ/ ০৪ জানুয়ারি ২০২৩

Back to top button