ঢাকা, ০২ জানুয়ারি – চিত্রনায়িকা পরীমণির বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে করা মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের লিভ টু আপিলের শুনানির দিন পিছিয়ে ৯ জানুয়ারি ধার্য করেছেন আপিল বিভাগ।
সোমবার আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. নুরুজ্জামানের নেতৃত্বাধীন ৩ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে পরীমণির পক্ষে সময় আবেদন করেন আইনজীবী সৈয়দা নাসরিন।
গত বছরের ৭ মার্চ পরীমণির বিরুদ্ধে হওয়া মাদক মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে হাইকোর্ট। একইসঙ্গে মামলাটি কেনো বাতিল করা হবে না জানতে চেয়ে রুল জারি করে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মোহাম্মদ সেলিমের হাইকোর্ট বেঞ্চ। পরবর্তীতে হাইকোর্টের রায় স্থগিত করে চেম্বার জজ আদালত।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ৪ অক্টোবর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পরিদর্শক কাজী মোস্তফা কামাল পরীমণিসহ তিন জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। গত ২৮ সেপ্টেম্বর ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সত্যব্রত শিকদারের আদালত পরীমণির ব্যবহৃত গাড়ি, মোবাইল, ল্যাপটপসহ জব্দ করা ১৬টি আলামত তাকে ফেরত দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
১৯ আগস্ট ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতিকুল ইসলামের আদালত পরীমণির একদিন, ১০ আগস্ট ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবব্রত বিশ্বাসের আদালত দুই দিন এবং গত ৫ আগস্ট একই মামলায় পরীমণির ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশিদ। তিন দফায় পরীমণিকে মোট ৭ দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়।
এর আগে ৪ আগস্ট রাতে প্রায় ৪ ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে বনানীর বাসা থেকে পরীমণি ও তার সহযোগীকে আটক করে র্যাব। তার বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ বিদেশি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের দামি মদ, মদের বোতলসহ অন্যান্য মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়। আটকের পর তাদের নেয়া হয় র্যাব সদরদপ্তরে। পরে র্যাব-১ বাদী হয়ে মাদক আইনে পরীমণির বিরুদ্ধে মামলা করে।
অভিযোগ গঠনের পর ওই মামলা বাতিল চেয়ে পরীমণির করা আবেদনের শুনানি নিয়ে ১ মার্চ হাইকোর্ট রুল দিয়ে মামলার কার্যক্রম পরীমণির ক্ষেত্রে তিন মাসের জন্য স্থগিত করেন। এই আদেশ স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ আবেদন করে।
এম ইউ/০২ জানুয়ারি ২০২৩