জানা-অজানা

২০২২ সালে বিশ্বের শীর্ষ ৫০০ ধনীর সম্পদ কমেছে ১.৪ ট্রিলিয়ন ডলার

শিহাবুল ইসলাম

শেষ হতে যাচ্ছে ২০২২। দরজায় কড়া নাড়ছে নতুন একটি বছর। আজ মধ্যরাতেই নতুন বছরে পা দিতে যাচ্ছে বিশ্বের মানুষ। শেষ হতে যাওয়া বছরটি অনেকের জন্য ভালো একটি সময় হলেও অনেকের জন্য আবার বিষাদময় ছিল। বিশেষ করে বিশ্বের শীর্ষ ধনীরা চলতি বছরটা ভুলে যেতে চাইবেন। কারণ ২০২২ তাদের কাছে কেবল হারানোর বছর ছিল। তাদের এ সম্পদ হারানোর মাত্রাটাও বিস্ময়কর ছিল।

বছরের শুরুতেই কভিডজনিত কারণে সরবরাহ ব্যবস্থার জটিলতার জেরে বড় ধরনের সম্পদ হারান বিশ্বের শীর্ষ ধনী ইলোন মাস্ক। এরপর ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসন, রাশিয়ার ওপর পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা, ক্রিপ্টোকারেন্সি খাতে ধসের মতো বিষয়গুলো ধনীদের সম্পদে আঘাত হেনেছে বারবার। শীর্ষ ধনীদের সম্পদের পরিসংখ্যান প্রকাশ করা ব্লুমবার্গ বিলিয়নেয়ার ইনডেক্স অনুসারে, ২০২২ সালে বিশ্বের শীর্ষ ৫০০ ধনীর সম্পদ থেকে মোট ১ লাখ ৪০ হাজার কোটি ডলার (১.৪ ট্রিলিয়ন ডলার) মুছে গেছে। বেশ কয়েকটি ঘটনা মূলত তাদের সম্পদ কমাতে ভূমিকা রেখেছে। সেগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো ক্রিপ্টোএক্সচেঞ্জ প্লাটফর্ম এফটিএক্সের প্রতিষ্ঠাতা স্যাম ব্যাঙ্কম্যান-ফ্রয়েডের কথিত জালিয়াতি, ইউক্রেনে চালানো রাশিয়ার ধ্বংসাত্মক যুদ্ধ, তার প্রতিক্রিয়ায় ব্যবসায়িক টাইকুনদের ওপর আরোপিত পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা, টুইটার অধিগ্রহণ নিয়ে ইলোন মাস্কের টানাপড়েন, প্রধান অর্থনীতিগুলোয় রেকর্ড মূল্যস্ফীতি ও ক্রমবর্ধমান সুদহার।

এসব ঘটনার প্রেক্ষাপটে একদল বিলিয়নেয়ারের জন্য বছরটি ধ্বাংসাত্মক ছিল। যদিও মহামারীর বিপর্যস্ত পরিস্থিতিতেও তাদের সম্পদের পরিমাণ লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছিল। সে সময় অনেকের সম্পদ অভূতপূর্ব উচ্চতায় পৌঁছেছিল। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে তাদের সম্পদে যত বড় উত্থান হয়েছিল, ঠিক তত বেশি নাটকীয় পতন হয়েছে। ২০২২ সালে টেসলার প্রতিষ্ঠাতা ইলোন মাস্ক, অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস, বাইন্যান্সের প্রতিষ্ঠাতা ঝাও চেংপেং ও মেটার প্রধান নির্বাহী মার্ক জাকারবার্গ সম্মিলিতভাবে ৩৯ হাজার ২০০ কোটি ডলারের সম্পদ হারিয়েছেন।

যদিও বিশ্বের সব বিলিয়নেয়ারের জন্যই যে বছরটি খারাপ ছিল তেমনও নয়। এ সময়ে অনেকের সম্পদ বেড়েছে। যেমন ভারতীয় ধনকুবের গৌতম আদানি মাইক্রোসফটের সহপ্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস ও বিনিয়োগ টাইকুন ওয়ারেন বাফেটকে ছাড়িয়ে বিশ্বের তৃতীয় শীর্ষ ধনী হয়েছেন। গত সেপ্টেম্বরে তিনি কিছু সময়ের জন্য বিশ্বের দ্বিতীয় শীর্ষ ধনী হিসেবেও জায়গা করে নিয়েছিলেন। এছাড়া কোস ও মার্সের মতো বিশ্বের কিছু ধনী পরিবারের সম্পদও চলতি বছর বেড়েছে। বিলিয়নেয়ারদের নিয়ে মাসভিত্তিক ২০২২ সালের আলোচিত কিছু ঘটনা—

জানুয়ারি: চলতি বছরের শুরুতে বিলিয়নেয়ারদের মধ্যে সবচেয়ে বড় ধাক্কা লাগে ইলোন মাস্কের সম্পদে। মার্কিন বিদ্যুচ্চালিত গাড়ি নির্মাতাপ্রতিষ্ঠান টেসলার প্রধান নির্বাহী কভিডজনিত কারণে সরবরাহ ব্যবস্থায় চ্যালেঞ্জের বিষয়টি তুলে ধরেছিলেন। সেই ধাক্কায় পুঁজিবাজারে টেসলার স্টকে ধস নামে। ২৭ জানুয়ারি একদিনেই বিশ্বের শীর্ষ এ ধনী ২ হাজার ৫৮০ কোটি ডলার হারান। ব্লুমবার্গ বিলিয়নেয়ার ইনডেক্সের ইতিহাসে এটি একদিনে চতুর্থ বৃহত্তম সম্পদের পতন। এটি ইলোন মাস্ককে একটি পাথুরে বছর শুরুরও পূর্বাভাস দিয়েছিল।

ফেব্রুয়ারি: ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসন শুরু করে রাশিয়া। এদিনই পুঁজিবাজারে ধসের কারণে রাশিয়ার শীর্ষ ধনীরা সম্মিলিতভাবে ৪ হাজার ৬৬০ কোটি ডলারের সম্পদ হারান। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের মিত্র দেশগুলো রাশিয়ার বিভিন্ন খাত ও ধনীদের লক্ষ্য করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। এ অবস্থায় রুশ অলিগার্ক ও তাদের প্রতিষ্ঠানগুলোর পক্ষে দেশের বাইরে কার্যক্রম অব্যাহত রাখা অসম্ভব হয়ে পড়ে। বিভিন্ন দেশে সুপারইয়টগুলো জব্দের পাশাপাশি বিভিন্ন সম্পদে তাদের মালিকানা আটকে যায়। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সহযোগী বলে যুক্তরাজ্যে ঝামেলায় পড়েন রোমান আব্রামোভিচ। এ ঘটনায় রুশ জ্বালানি তেল-গ্যাস ব্যবসায়ী ইংলিশ ফুটবল ক্লাস চেলসি বিক্রির সিদ্ধান্ত নেন। এসব ঘটনায় ধনী রুশরা ২০২২ সালে যুদ্ধের সঙ্গে সম্পর্কিত আরো ৪ হাজার ৭০০ কোটি ডলারের সম্পদ হারান।

মার্চ: এ সময়ে চীনের অর্থনীতির সংকট আরো ঘনীভূত হয়। ১৪ মার্চ দেশটির শীর্ষ ধনীদের সম্পদ থেকে ৬ হাজার ৪৬০ কোটি ডলার মুছে যায়। কভিডজনিত কঠোর নিষেধাজ্ঞা, আবাসন খাতে দীর্ঘস্থায়ী মন্দা ও প্রযুক্তি খাতে নিয়ন্ত্রণ আরোপের মতো বিষয়গুলোর কারণে ২০২২ সালে তারা আরো ১৬ হাজার ৪০০ কোটি ডলার হারায়। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দ্বন্দ্বও বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির সংকটকে বাড়িয়ে দেয়।

এপ্রিল: এপ্রিলে বিশ্ব অর্থনীতিতে সবচেয়ে আলোচিত ঘটনা ছিল ইলোন মাস্কের টুইটার অধিগ্রহণের ঘোষণা। ১৪ এপ্রিল তিনি ৪ হাজার ৪০০ কোটি ডলারে মাইক্রোব্লগিং সাইটটি কিনে নেয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন। ওই মাসেই টুইটারে তার ৯ দশমিক ১ শতাংশ মালিকানা থাকার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। এ চুক্তির অর্থায়নের জন্য তিনি ঋণ ও টেসলার শেয়ার বিক্রির উদ্যোগ নেন। এতে গাড়ি নির্মাতাপ্রতিষ্ঠানটির বিনিয়োগকারীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। ফলে নিম্নমুখী হয় টেসলার শেয়ারদর। যদিও এরপর আবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটি কেনা নিয়ে আইনি লড়াইয়ে জড়িয়েছিলেন তিনি। স্প্যাম ও ভুয়া অ্যাকাউন্টের বিস্তারিত তথ্যসংক্রান্ত জটিলতার জেরে তিনি টুইটার অধিগ্রহণ স্থগিতের ঘোষণাও দিয়েছিলেন। এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে টুইটার মামলা করলে পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে মাস্কও প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে মামলা ঠুকে দেন। তবে সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে অক্টোবরের শেষ দিকে টুইটার অধিগ্রহণ করেন তিনি। সে সময় টুইটারের বাজারমূল্য নেমে আসে ৩ হাজার ৯০০ কোটি ডলারে।

মে: চেলসি ফুটবল ক্লাব কেনার ঘোষণা দেন মার্কিন ব্যবসায়ী টড বোয়েলি। তার নেতৃত্বে পরিচালিত একটি গ্রুপ ৪৩৫ কোটি পাউন্ডে ক্লাবটি কিনে নেন। এ অর্থ কোনো একটি ক্রীড়া দল কিনতে সর্বোচ্চ। ক্লাবটি কেনার ক্ষেত্রে শতাধিক প্রস্তাব পাওয়া গিয়েছিল।

জুন: বিশ্বের বৃহত্তম রিটেইল প্রতিষ্ঠান ওয়ালমার্টের সম্পদের মালিক রব ওয়ালটন। গত জুনে তিনি মার্কিন ফুটবল দল ডেনভার ব্রঙ্কোসকে ৪৬৫ কোটি ডলারে কিনতে সম্মত হয়েছিলেন। এ অর্থ মার্কিন ক্রীড়া দলের জন্য রেকর্ড।

জুলাই: চীনের বৃহত্তম ডেভেলপার প্রতিষ্ঠান কান্ট্রি গার্ডেনের সংখ্যাগরিষ্ঠ শেয়ারহোল্ডার ইয়াং হুইয়ান। চীনের আবাসন খাতের সংকটের জেরে গত জুলাইয়ে তিনি এশিয়ার শীর্ষ নারী ধনীর খেতাব হারান। সে সময় ইয়াং হুইয়ানের নিট সম্পদমূল্য ৫২ শতাংশেরও বেশি কমে ১ হাজার ১৩০ কোটি ডলারে দাঁড়ায়। ২০২১ সালের মাঝামাঝিতেও তার সম্পদের পরিমাণ ছিল ২ হাজার ৩৭০ কোটি ডলার। এ তথ্য চীনের রিয়েল এস্টেট খাতের দুরবস্থাও তুলে ধরে। একসময় বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দ্রুত প্রবৃদ্ধির চালক হলেও খাতটি পর্বতসম ঋণে জর্জরিত হয়ে পড়েছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এ সংকট আরো বেড়েছে।

আগস্ট: বছরের শুরুর দিক থেকেই এশিয়ার শীর্ষ ধনী হিসেবে আছেন গৌতম আদানি। গত আগস্টে তিনি বেহনা আহনোঁকে ছাড়িয়ে বিশ্বের তৃতীয় শীর্ষ ধনী হিসেবে জায়গা করে নিয়েছিলেন। সে সময় ফরাসি বিলাসবহুল পণ্য জায়ান্ট এলভিএমএইচের চেয়ারম্যান আহনোঁ নেমে গিয়েছিলেন চতুর্থ অবস্থানে। শীর্ষ ধনীদের তালিকায় সেবারই প্রথম কেউ এশিয়া থেকে তৃতীয় স্থান দখল করেছিল, যেখানে দীর্ঘদিন ধরে এ তালিকায় শীর্ষস্থানগুলো পশ্চিমা ধনীদের দখলে ছিল। সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে তিনি কিছুদিনের জন্য বিশ্বের দ্বিতীয় শীর্ষ ধনী হিসেবেও জায়গা করে নিয়েছিলেন। গত কয়েক বছরে গৌতম আদানি কয়লা থেকে বন্দর, ডাটা সেন্টার থেকে সিমেন্ট, মিডিয়া ও অ্যালুমিনিয়াম পর্যন্ত সবকিছুতে ব্যবসা বিস্তৃত করেছেন। তার প্রতিষ্ঠিত আদানি গ্রুপ এখন ভারতের বৃহত্তম বেসরকারি খাতের বন্দর ও বিমানবন্দর পরিচালনাকারী, গ্যাস সরবরাহ ও কয়লা খনির মালিক।

সেপ্টেম্বর: মার্কিন প্রযুক্তি টাইটানদের মধ্যে মার্ক জাকারবার্গ বিধ্বস্ত একটি বছর পার করতে চলেছেন। প্রযুক্তি খাতের মন্দার কারণে মেটার প্রধান নির্বাহীর সম্পদ নিম্নমুখী রয়েছে। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত তিনি ৭ হাজার ১০০ কোটি ডলারের সম্পদ হারিয়েছেন। এক বছরে তার সম্পদের পরিমাণ ৫৭ শতাংশ কমে ৪ হাজার ৫৬০ কোটি ডলারে নেমে এসেছে। গতকাল বিশ্বের শীর্ষ ধনীর তালিকায় তার অবস্থান ছিল ২৫তম।

অক্টোবর: কভিড প্রতিরোধী টিকা তৈরির সঙ্গে যুক্তদের সম্পদে উল্লম্ফন তৈরি হয়েছিল। এতে বিশ্ব নতুন নতুন বিলিয়নেয়ারের দেখা পেয়েছিল। পাশাপাশি মহামারীতে অনলাইন কেনাকাটা ও ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের সঙ্গে যুক্ত ধনীদের সম্পদও উল্লেখযোগ্য হারে বেড়ে গিয়েছিল। তবে মহামারীর প্রভাব এবং টিকার চাহিদা কমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাদের সম্পদের পরিমাণও নিম্নমুখী হয়েছে।

এ-সম্পর্কিত ৫৮ জন বিলিয়নেয়ারের সম্পদ গত অক্টোবরে ৫৮ শতাংশ কমে যায়।

নভেম্বর: গত মাসে বিশ্ব অর্থনীতিতে আলোচিত ঘটনাগুলোর একটি ছিল ক্রিপ্টোকারেন্সি বাজারে ধস। নভেম্বরে ক্রিপ্টোএক্সচেঞ্জ প্লাটফর্ম এফটিএক্স নিজেকে দেউলিয়া ঘোষণা করে। এরপর সংস্থাটির প্রতিষ্ঠাতা স্যাম ব্যাঙ্কম্যান-ফ্রয়েডের সম্পদে পতন দেখা দেয়। এক সপ্তাহেরও কম সময়ে ৩০ বছর বয়সী ব্যাঙ্কম্যান-ফ্রয়েডের সম্পদ থেকে ১ হাজার ৬০০ কোটি ডলার হারিয়ে যায়। অথচ এক বছর আগেও তার নাম উঠেছিল ফোর্বসের শীর্ষ ধনীদের তালিকায়। তার সম্পদের পরিমাণ ছিল ২ হাজার ৬০০ কোটি ডলার। পরবর্তী সময়ে তার নামে জালিয়াতিরও অভিযোগ ওঠে। এরপর ডিসেম্বরে তাকে আটক করা হয়। এ বিপর্যয় প্রায় ১০ লাখ গ্রাহককে অনিশ্চয়তায় ফেলে দিয়েছে এবং তারা তাদের অর্থ ফেরত পাওয়া নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন। এফটিএক্সের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিষ্ঠান বাইন্যান্সের প্রতিষ্ঠাতা ঝাও চেংপেংয়ের সম্পদও প্রায় ৮ হাজার ৪০০ কোটি ডলার কমেছে।

ডিসেম্বর: চলতি বছরের শেষ মাসে বিশ্বের শীর্ষ ধনীর তকমা হারান ইলোন মাস্ক। গত এপ্রিলে তিনি টুইটার অধিগ্রহণের নিলামে অংশ নেয়ার পর থেকেই পুঁজিবাজারে বিশ্বের শীর্ষ ইভি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারদর নিম্নমুখী রয়েছে। এতে সম্পদের পরিমাণ কমছে সংস্থাটির প্রধান নির্বাহীর। ইলোন মাস্ককে হটিয়ে বিশ্বের শীর্ষ ধনী হিসেবে জায়গা করে নেন এলভিএমএইচের প্রধান নির্বাহী বেহনা আহনোঁ। যদিও ২০২২ সালে তার সম্পদও প্রায় ১ হাজার ৬০০ কোটি ডলার কমেছে। তবে কঠিন এ বছরে ইলোন মাস্ক অর্ধেকের বেশি সম্পদ হারিয়েছেন। গতকাল বিকালে তার সম্পদ ১৩ হাজার ৮০০ কোটি ডলারে নেমেছে, যেখানে বেহনা আহনোঁর সম্পদের পরিমাণ ছিল ১৬ হাজার ৫০০ কোটি ডলার।

এম ইউ/৩১ ডিসেম্বর ২০২২

Back to top button