ঢাকা

গুলশানে স্বামীর অফিসে স্ত্রীর অস্বাভাবিক মৃত্যু

ঢাকা, ৩১ ডিসেম্বর – রাজধানীর গুলশানের নিকেতনে সদ্য তালাক দেওয়া স্বামীর অফিসে কাঁচের বোতল ভেঙে পেটে আঘাত করে মাহিমা খানম মুলান (২০) নামে এক তরুণী আত্মহত্যা করেছেন বলে দাবি করা হয়েছে।

শুক্রবার (৩০ ডিসেম্বর) রাত ১১টার দিকে মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত মাহিমা মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার মো. মোজাফফল হোসেনের মেয়ে।
তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া জুবায়ের হোসেনে (সাবেক স্বামী) দাবি, গত মে মাসে প্রেম করে বিয়ে করেন তারা। মাহিমা গৃহিণী। উত্তর বাড্ডা পূর্বাচল রোডে থাকেন তারা। বিভিন্ন কারণে তাদের পারিবারিক কলহ চলছিল। এজন্য ২৬ তারিখ জুবায়ের তাকে ডিভোর্স লেটার পাঠান। এরপর থেকে মাহিমা তার সঙ্গে দেখা করার জন্য বারবার চেষ্টা করছিলেন। শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে মাহিমা গুলশান-১ নিকেতন এলাকার জুবায়েরের অফিসে যান। একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর জুবায়ের। সেখানে গিয়ে জুবায়েরকে না পেয়ে তিনি ফোন দেন এবং অফিসে আসতে বলেন। তিনি অফিসে যাবেন না বলে জানালে তখন মাহিমা ওই অফিসের ভেতরে ভাঙা বোতল দিয়ে নিজের পেটে আঘাত করেন। পরে তার সহকর্মীরা তাকে খবর দিলে তিনি দ্রুত অফিসে গিয়ে মাহিমাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যান।

তিনি আরও দাবি করেন, ২-৩ দিন আগে ২১টি ঘুমের ট্যাবলেট সেবন করেছিলেন মাহিমা। এছাড়াও হাত কেটে ফেলেছিলেন। ওইদিন তাকে ঢাকা মেডিকেল থেকে চিকিৎসা করিয়ে বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।

ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (ইন্সপেক্টর) মো. বাচ্চু মিয়া মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মরদেহটি মর্গে রাখা হয়েছে। তার স্বামী জুবায়ের দাবি করেছেন, মাহিমা আত্মহত্যা করেছেন। তবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গুলশান থানা পুলিশ জুবায়েরকে থানা হেফাজতে নিয়েছে।

সূত্র: বাংলানিউজ
আইএ/ ৩১ ডিসেম্বর ২০২২

Back to top button