কক্সবাজার সৈকতে ‘থার্টি ফার্স্ট নাইটের’ আয়োজন নিষেধ
কক্সবাজার, ৩০ ডিসেম্বর – কক্সবাজারে থার্টি ফার্স্ট নাইটের সব ধরনের আয়োজনে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে প্রশাসন। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী কক্সবাজারে থার্টি ফার্স্ট নাইটের সব ধরনের আউটডোর আয়োজনের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। ওই দিন সন্ধ্যা ৬টা থেকে পর দিন ভোর ৬টা পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে।
অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবু সুফিয়ান।
তিনি জানান, নিষেধাজ্ঞার আওতায় থার্টি ফার্স্ট নাইটের অংশ হিসেবে সমুদ্র সৈকত বা কোনো উন্মুক্ত স্থানে কোনো ধরনের জমায়েত, অনুষ্ঠান, আতশবাজি, গান-বাজনা বা অন্য কোনো অনুষ্ঠান বা আয়োজন করা যাবে না।
একইভাবে ইনডোর বা হোটেলেও অনুষ্ঠান সীমিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইনডোরে কোনো আয়োজন করলে জেলা প্রশাসনের অনুমতি নিতে হবে।
আবু সুফিয়ান জানান, নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করতে জেলা প্রশাসনের চারটি ভ্রাম্যমাণ আদালত বিভিন্ন স্থানে কাজ করবে। এছাড়াও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা টহল জোরদার রাখবে। এই নিষেধাজ্ঞা কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান অমান্য করলে তাদের ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে আইনের আওতায় আনা হবে।
এদিকে থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে আগে থেকে নানা আয়োজন রেখেছিলো পর্যটন সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। কিন্তু শেষে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় তারা হতাশ হয়ে পড়েছেন।
তারা বলছেন, এই নিষেধাজ্ঞার ফলে থার্টি ফার্স্ট নাইটে যে পর্যটক সমাগম হতো তাতে বিরূপ প্রভাব পড়বে। তবে ইতোমধ্যে থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপন করতে অনেক পর্যটক কক্সবাজারে এসেছেন। আয়োজনের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় তারা সবাই হতাশ।
প্রতি বছরের শেষ দিনের সূর্যকে বিদায় জানাতে এবং নতুন বছরকে বরণ করতে কয়েক লাখ পর্যটক ছুটে আসেন কক্সবাজারে সমুদ্র সৈকতে। ৪ শতাধিক হোটেল, মোটেল ও রিসোর্টকে সাজানো হয় নতুন সাজে। কিন্তু নিষেধাজ্ঞা ছাড়াও নানা কারণে এবার পর্যটকের উপস্থিতি তেমন না হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।
সূত্র: ঢাকা পোস্ট
আইএ/ ৩০ ডিসেম্বর ২০২২