উত্তর আমেরিকা

সাইক্লোন বোমায় জমে গেছে নায়াগ্রা জলপ্রপাত

ওয়াশিংটন, ২৮ ডিসেম্বর – ‘বম্ব সাইক্লোন’ বা ভয়াবহ তুষারঝড়ে জমে গিয়েছে নায়াগ্রা জলপ্রপাতের একাংশ। বিপুল জলরাশি নিয়ে নীচে আছড়ে পড়ে নায়াগ্রা জলপ্রপাত। কিন্তু গত কয়েক দিনের তুষারঝড়ে সেই গতি কিছুটা হ্রাস পেয়েছে। জমে যাওয়া নায়াগ্রার সেই ছবিই এখন সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল।

টানা ৫ থেকে ৬ দিন প্রবল তুষারঝড়ে বিপর্যস্ত যুক্তরাষ্ট্র। তাপমাত্রা হিমাঙ্কের ৪৮ ডিগ্রি নীচে নেমে যাওয়ায় পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে উঠেছে। তুষারঝড়ের প্রকোপে বিদ্যুৎহীন লাখ লাখ পরিবার। ইতিমধ্যেই এই প্রাকৃতিক দুর্যোগে মারা গিয়েছেন ৬২ জন।

ভয়াবহ পরিস্থিতি নিউ ইয়র্কেও। দিন কয়েক আগেই জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন নিউ ইয়র্কের গভর্নর ক্যাথি হোচুল। তিনি জানান, প্রবল তুষারপাত, বন্যা, হাড়কাঁপানো ঠান্ডা সব মিলিয়ে পরিস্থিতি ভয়াবহ। যা অসহনীয় হয়ে উঠেছে। শুধু নিউ ইয়র্কেই মৃত্যু হয়েছে ২৭ জনের এবং এই সংখ্যা বাড়ছে।

নিউ ইয়র্কের পরিস্থিতি যে ভয়াবহ নায়াগ্রা জলপ্রপাতেই সেই দৃশ্য ধরা পড়েছে। নিউ ইয়র্কের ইরি, বাফেলো এবং নায়াগ্রা কাউন্টির অবস্থা সবচেয়ে শোচনীয়। ইরিতে ইতিমধ্যেই ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে এই তুষারঝড়ে। বাফেলো ডুবে গিয়েছে ৪-৫ ফুট বরফের নীচে। কোথাও কোথাও বরফের উচ্চতা হয়েছে ৮ থেকে ১০ ফুট।

নায়গ্রা ফলস নিউ ইয়র্ক স্টেট পার্কের ওয়েবসাইট অনুযায়ী, তাপমাত্রা হিমাঙ্কের অনেক নীচে নেমে যাওয়ায় নায়াগ্রা নদীর পানি জমতে শুরু করেছে। পানি উপর বরফের আস্তরণ পড়েছে। আর সেই বরফ নিয়েই নীচে আছড়ে পড়ছে নায়াগ্রা জলপ্রপাত। তবে নায়াগ্রা জলপ্রপাত কখনওই পুরোপুরি জমে যাওয়া সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন নায়াগ্রা পার্ক কর্তৃপক্ষ। কারণ এর বিশাল জলরাশি।

এই জলপ্রপাতে স্বাভাবিক অবস্থায় ৩২ ফুট প্রতি সেকেন্ড বেগে প্রতি সেকেন্ডে ৩ হাজার ১৬০ টন জল প্রবাহিত হয়। নদীতে বরফ জমে যাওয়ায় সেই গতি কিছুটা রুদ্ধ হচ্ছে।

এদিকে বম্ব সাইক্লোনে নিউ ইয়র্ক বিপর্যস্ত হলেও, এই পরিস্থিতিতে নায়াগ্রায় সৌন্দর্য দেখতে সেখানে ভিড় জমাচ্ছেন অনেক পর্যটক।

 

১৯৬৪ সালের আগে বরফের কারণে নায়াগ্রার জলের গতি বাধাপ্রাপ্ত হত। কারণ নদীর উৎসই ঠান্ডায় জমে যেত। নদীর জলের গতি সচল রাখতে স্টিল আইস-বুম লাগানো হয়। যা বরফের চাঁই জলের উপর জমতে দেয় না।

সূত্র: বাংলাদেশ জার্নাল
আইএ/ ২৮ ডিসেম্বর ২০২২

Back to top button