জাতীয়

মুক্তিযোদ্ধারা কার্ড দেখিয়ে সচিবালয়ে প্রবেশ করতে পারবেন

ঢাকা, ২২ ডিসেম্বর – বীর মুক্তিযোদ্ধারা সপ্তাহে এক দিন তাদের কার্ড দেখিয়ে সচিবালয়ে প্রবেশ করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। আজ বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের (কেআইবি) অডিটোরিয়ামে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। এ সংবর্ধনার আয়োজন করে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, ‘আমরা সচিবালয়ে নোটিশ দিয়ে দেব। মুক্তিযোদ্ধারা এলে যেন সম্মানের সঙ্গে সচিবালয় প্রবেশ করতে পারেন। সপ্তাহে প্রতিদিন যাওয়ার দরকার নেই। এক দিন যাবেন মুক্তিযোদ্ধারা।’

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের যেভাবে সম্মান করেন, বঙ্গবন্ধুর পরে আর কেউ (এ রকম সম্মান) দেননি। মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য নানা সুবিধা দিয়েছেন, হাসপাতাল করা হয়েছে, সেখানে ফ্রি চিকিৎসার ব্যবস্থা করছেন।’

মীরজাফরের বংশধর এখনো বেঁচে রয়েছে, এবং তারা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সহ্য করতে পারেন না বলে উল্লেখ করেন আসাদুজ্জান খান। তিনি বলেন, ‘তারা মুক্তিযোদ্ধাদের সহ্য করতে পারে না। তারা মুক্তিযোদ্ধাদের কৃতিত্ব ও দেশ স্বাধীন করার অবদান স্বীকার করে না। সে জন্য তারা নানা ধরনের ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। মুক্তিযোদ্ধারা সম্মানিত হলে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন হবে।’

মুক্তিযুদ্ধের সময়ের নানা স্মৃতিচারণ করে এ বীর মুক্তিযোদ্ধা বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু জনগণকে সম্পৃক্ত করেই স্বাধীনতা আন্দোলনের ডাক দিয়েছিলেন, যার কারণে সবাই যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। আমরা ঢাকার কাছে চলে আসছিলাম। ঢাকা দখল করে ফেলার মতো অবস্থায় চলে আসছিলাম। বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে আমি গিয়েছি। কিছুদিন আগেই বর্ডার এলাকায় গিয়েছিলাম। অনেক মুক্তিযোদ্ধার কবর বর্ডার এলাকায় রয়েছে।’

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, ‘আমরা মুক্তিযোদ্ধারা যত দিন বেঁচে আছি, সবাই একসঙ্গে থাকব, একসঙ্গে চলব। আমরা সব সময় বাংলাদেশের বিজয়ের কথা বলব। আমরা যখন মুক্তিযুদ্ধ শুরু করেছি, তখন আমাদের কাছে হাতিয়ার ছিল না। একটি জিনিস ছিল, একটি স্লোগান ছিল—‘‘জয় বাংলা’’। আমাদের একটি দাবি ছিল, ‘‘জয় বাংলা’’কে জাতীয় স্লোগানে পরিণত করা হোক। আজকে সেটা জাতীয় স্লোগানের পরিণত হয়েছে। সে জন্য প্রধানমন্ত্রীকে মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আমরা তার (প্রধানমন্ত্রী) কাছে সবকিছুতেই ঋণী।’

ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, বীর বিক্রমসহ অন্যান্য বীর মুক্তিযোদ্ধারা।

সূত্র: আমাদের সময়
এম ইউ/২২ ডিসেম্বর ২০২২

Back to top button