জাতীয়

বিশ্বকাপ ট্রফি দেশে আনতে আর্জেন্টিনাকে প্রস্তাব দেব

রাজশাহী, ২১ ডিসেম্বর – কাতারের লুসাইল স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপের ফাইনালে ফ্রান্সকে হারিয়ে ৩৬ বছরের শিরোপা আক্ষেপ ঘুচিয়েছে মেসির আর্জেন্টিনা। এখনো আনন্দে মেতে আছেন আর্জেন্টিনার ফুটবলভক্তরা। সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশে আর্জেন্টিনার ভক্তরাও নানা আয়োজনে বিজয় উদযাপন করছেন। আর্জেন্টিনা ফুটবল দলের প্রতি বাংলাদেশের সরকার ও সমর্থকদের ভালোবাসা প্রকাশের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন দেশটির রাষ্ট্রপতি আলবার্তো ফার্নান্দেজ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বাংলাদেশের মানুষকে ধন্যবাদ জানিয়ে টুইট করেছেন আর্জেন্টিনার রাষ্ট্রপ্রধান।

এদিকে, বাংলাদেশের সমর্থকদের জন্য ফুটবল বিশ্বকাপ ট্রফি দেশে নিয়ে আসার জন্য আর্জেন্টিনার সরকারকে প্রস্তাব দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম।

শাহরিয়ার আলম বলেন, সবাই এখনো খুব উচ্ছ্বাসের মধ্যে আছে। আমরা দাবি পেয়েছি, যেন আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ ট্রফিটা বাংলাদেশে আনা হয়। যদিও আর্জেন্টিনার খেলোয়াড়েরা এখন সুপার বিজি, তাই তারা না পারলেও কোনো প্রতিনিধি দিয়ে যেন বাংলাদেশে তাদের ট্রফিটা পাঠানো হয়, আমরা সেই প্রস্তাবও দেব শিগগিরই।

বুধবার সকালে রাজশাহীর বাঘায় আনসার-ভিডিপির মডেল ভবন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, আর্জেন্টিনার ফুটবলের প্রতি বাংলাদেশের সমর্থকদের উন্মাদনা দেখে আর্জেন্টিনা অভিভূত হয়েছে। দেশটি বাংলাদেশে তাদের দূতাবাস খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। হয়তো খুব শিগগিরই কাজ শুরু হবে।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, খেলা চলাকালীন বাংলাদেশের উচ্ছ্বাস তাদের (আর্জেন্টিনা সরকারের) নজরে এসেছে এবং তাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিন্তু আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে একটা টুইট করে বার্তা পাঠিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত পরশুদিন আর্জেন্টাইন রাষ্ট্রপতিকে অভিনন্দন জানিয়ে একটা চিঠি দিয়েছেন এবং তার প্রত্যুত্তরে বাংলাদেশ সময় আজ ভোরে আর্জেন্টিনার রাষ্ট্রপতি চিঠিটাকে ছবি দিয়ে ট্যাগ করে টুইট করেছেন। খুব শিগগিরই তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করতে চান, দুই দেশের সম্পর্ক গভীর করতে চান এবং তিনিও বলেছেন যে, তারা তাদের দূতাবাস খোলার কার্যক্রম এগিয়ে নিতে আগ্রহী।

শাহরিয়ার আলম বলেন, আমরা আশাবাদী। খুব বেশি সময় লাগার কথা নয়। এ ধরনের আলোচনা কিন্তু ক্লোজ ডোরে হয়। কিন্তু এবার আলোচনাটা ওপেন ফ্লোরে হয়েছে। ওপেন ফ্লোরে যখন আলোচনা হয়, তখন তারা কিন্তু অলরেডি কমিটেড হয়েই গেছেন। তা না হলে এ ধরনের সিদ্ধান্ত কিন্তু ফাইল চালাচালি হয়, নেগোসিয়েশন হয় তারপর ঘোষণার সময় জনগণ জানতে পারে।

সূত্র: বাংলাদেশ জার্নাল
আইএ/ ২১ ডিসেম্বর ২০২২

Back to top button