নার্সদের পর যুক্তরাজ্যে ধর্মঘটে অ্যাম্বুলেন্স কর্মীরা
লন্ডন, ২১ ডিসেম্বর – ইউরোপের দেশ যুক্তরাজ্যে মাত্র দুইদিন আগে ধর্মঘটে যান জাতীয় স্বাস্থ্য সেবার (এনএইচএস) নার্সরা। বেতন বৃদ্ধির দাবিতে তারা ধর্মঘট শুরু করেন। এবার তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন অ্যাম্বুলেন্স সংশ্লিষ্ট কর্মী এবং চালকরা।
ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স বুধবার (২১ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে এ তথ্য। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে নার্স এবং অ্যাম্বুলেন্স চালকদের এ ধর্মঘট রোগীদের জীবন ঝুঁকিতে ফেলবে।
সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এটি ‘খুবই দুঃখজনক একটি ঘটনা’। এর প্রভাবে এখন রাস্তায় কম অ্যাম্বুলেন্স দেখা যাবে।
যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী স্টিভ বারক্লে বলেছেন, এমন পরিস্থিতিতে গুরুতর অসুস্থ রোগীদের প্রাধান্য দেবেন তারা।
ব্রিটিশ ট্রেড ইউনিয়ন জিএমবি জানিয়েছে, ২০১০ সালের তুলনায় স্বাস্থ্যসেবায় সংশ্লিষ্ট কর্মীদের বেতন ১৭ শতাংশ কমেছে। অথচ এই সময়ের মধ্যে অ্যাম্বুলেন্সের চাহিদা বেড়েছে ৭৭ শতাংশ।
জিএমবির ন্যাশনাল সেক্রেটারি রাখায়েল হ্যারিসন অ্যাম্বুলেন্স কর্মীদের ধর্মঘটের ব্যাপারে বলেছেন, সরকার যে কোনো মুহূর্তে এ সমস্যার সমাধান করতে পারে।
বুধবার দেওয়া বিবৃতিতে রাখায়েল হ্যারিসন আরও বলেছেন, ‘বেতন নিয়ে যে সমস্যা সেই বেতন বাড়াতে আমরা সব করেছি। কিন্তু সরকার আমাদের কথা শুনবে না এবং কথাও বলবে না। অ্যাম্বুলেন্স কর্মী— এবং জনগণ —ভালো কিছু প্রাপ্য। সরকারকে এখনই এ নিয়ে আলোচনা করতে হবে।’
জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় বেতন বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলনে নামেন যুক্তরাজ্যের নার্সরা। তারা কর্মবিরতির ঘোষণা দেন।
দ্য এনএইচএস কনফেডারেশন, যারা জাতীয় স্বাস্থ্য সেবা সংগঠনগুলোর প্রতিনিধিত্ব করে, তারা জানিয়েছে, এই ধর্মঘট রোগীদের জীবনকে ঝুঁকিতে ফেলবে।
এদিকে অ্যাম্বুলেন্স কর্মীরা ধর্মঘটে যাওয়ার পর দেশটির সেনাবাহিনীকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যেন জরুরি প্রয়োজনে রোগিদের হাসপাতালে আনা নেওয়ার কাজ করতে পারেন তারা। তবে সেনাসদস্যরা অ্যাম্বুলেন্স কর্মীদের মতো সেবা দিতে পারবেন কিনা এ নিয়ে সন্দেহ আছে।
এদিকে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক জানিয়েছেন, ধর্মঘটকারীদের সঙ্গে কোনো ধরনের আপোষ করবেন না তিনি। এর বদলে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করবেন যেন সবাই স্বাভাবিক জীবন-যাপন করতে পারেন।
সূত্র: ঢাকা পোস্ট
আইএ/ ২১ ডিসেম্বর ২০২২