জাতীয়

জাতীয় পর্যায়ে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ পুরস্কার ২০২২’ পেল ফুডপান্ডা

ঢাকা, ১৯ ডিসেম্বর – ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ পুরস্কার ২০২২’ পেয়েছে অনলাইন ফুড ও গ্রোসারি ডেলিভারি প্ল্যাটফর্ম ফুডপান্ডা বাংলাদেশ। ফুডপান্ডা বাংলাদেশের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ডিজিটাল রূপান্তর ও তরুণদের জন্য আয়ের পথ তৈরিতে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ জাতীয় পর্যায়ে বেসরকারি প্রাতিষ্ঠানিক শ্রেণিতে ফুডপান্ডা এই পুরস্কার পায়। ফুডপান্ডা দেশের প্রথম কোনো ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান, যারা সম্মানজনক এই পুরস্কার পেল।

‘ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস ২০২২’ উপলক্ষে সম্প্রতি রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলনকেন্দ্রে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এই অনুষ্ঠানে ফুডপান্ডা বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দা আম্বারীন রেজা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জুবায়ের বি এ সিদ্দিকীর হাতে পুরস্কার তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্‌মেদ।

বাংলাদেশে ২০১৩ সালে যাত্রা শুরুর পর থেকে অংশীদারদের সঙ্গে নিয়ে একটি শক্তিশালী ডিজিটাল ইকোসিস্টেম তৈরিতে সফলভাবে কাজ করছে ফুডপান্ডা।

প্রতিষ্ঠানটি শীর্ষস্থানীয় মার্কেটপ্লেস হিসেবে রেস্তোরাঁ-শপকে ক্রেতা ও ডেলিভারি পার্টনারদের সঙ্গে যুক্ত করেছে। বড় ধরনের বিনিয়োগের ঝুঁকি ছাড়াই ক্ষুদ্র-মাঝারি উদ্যোক্তা, বৃহৎ রেস্তোরাঁ পার্টনার, শপস ও হোম শেফদের ডিজিটালি রূপান্তর করেছে ফুডপান্ডা।

প্রতিষ্ঠানটির তৈরি মার্কেটপ্লেসের সহায়তায় গত সাত বছরে দেশের রেস্তোরাঁ খাত বিকশিত হয়েছে। এই মার্কেটপ্লেসের মাধ্যমে মাত্র ৩০ মিনিটে খাবার, গ্রোসারি, ওষুধসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী গ্রাহকের দোরগোড়ায় পৌঁছে যাচ্ছে।
মার্কেটপ্লেসটি নিজেদের প্রযুক্তি ও অ্যাপের মাধ্যমে ফ্রিল্যান্স রাইডারদের যুক্ত করেছে। তরুণদের জন্য বাড়তি আয়ের সুযোগ সৃষ্টি করেছে। পাশাপাশি তাঁদের জীবনমান উন্নয়ন-সুরক্ষায় মার্কেটপ্লেসটির মাধ্যমে বিমা, প্রশিক্ষণ, ঋণ ও অনলাইন শিক্ষার সুযোগ তৈরি হয়েছে।

দেশজুড়ে ৬৪ জেলায় সেবা বিস্তারসহ প্রযুক্তিভিত্তিক ইকোসিস্টেমের মাধ্যমে এখন পর্যন্ত প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে ১০ লাখের বেশি মানুষের আয়ের পথ তৈরি করেছে ফুডপান্ডা।

নারী উদ্যোক্তাদের সমৃদ্ধির জন্য ফুডপান্ডার বিভিন্ন উদ্যোগ রয়েছে। প্ল্যাটফর্মটির হোম শেফ কর্মসূচিতে ৩ হাজারের বেশি হোম কুক সক্রিয় রয়েছেন, যাঁদের ৭০ শতাংশই নারী।

টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার সাতটি সূচক নিয়ে কাজ করার পাশাপাশি খাবারের অপচয় রোধে বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনসহ কয়েকটি সংস্থার সঙ্গে যৌথ অংশীদারত্বে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে মার্কেটপ্লেসটি।

ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তি ও তরুণদের আয়ের সুযোগ তৈরির জন্য প্রতিষ্ঠানটির প্রচেষ্টাকে স্বীকৃতি দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী ও আয়োজকদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন ফুডপান্ডা বাংলাদেশের দুই সহপ্রতিষ্ঠাতা সৈয়দা আম্বারীন রেজা ও জুবায়ের বি এ সিদ্দিকী।

পুরস্কারপ্রাপ্তি প্রসঙ্গে জুবায়ের বি এ সিদ্দিকী বলেন, দেশে ডিজিটাল ইকোসিস্টেম তৈরির ক্ষেত্রে ফুডপান্ডার ভূমিকা অগ্রগণ্য। অন্তর্ভুক্তিমূলক ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে ফুডপান্ডা। রেস্তোরাঁ-শপ-এসএমই-হোম শেফদের ডিজিটালি রূপান্তরে সহায়তাসহ মার্কেটপ্লেসটির মাধ্যমে লাখো গ্রাহককে যুক্ত করার জন্য তারা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। তারা বিশ্বাস করে, ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ ও দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখার জন্য এই খাতের অপার সম্ভাবনা রয়েছে।

সূত্র: প্রথম আলো
এম ইউ/১৯ ডিসেম্বর ২০২২

Back to top button