ফুটবল

১১ বিলিয়ন ডলার রাজস্ব আহরণের লক্ষ্য ফিফার

বের্ন, ১৮ ডিসেম্বর – ২০২৬ সালে পরবর্তী ফিফা মেনস ফুটবল বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হবে উত্তর আমেরিকার দিন দেশে। যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকো যৌথভাবে আয়োজন করবে এ বিশ্বকাপ আসর। পরের বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো অংশ নেবে ৪৮ দল। তাতে ফিফার আয়ও বাড়বে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে। এ কারণেই ফিফা বর্ধিত রাজস্বের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। কাতার বিশ্বকাপ-পরবর্তী সময় থেকে ২০২৬ বিশ্বকাপ পর্যন্ত ১১ বিলিয়ন ডলার রাজস্ব আহরণ করতে চায় বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।

শুক্রবার দোহায় বিশ্বকাপ ইভেন্টের পাশাপাশি অনুষ্ঠিত হয় ফিফা কাউন্সিল বৈঠক। সেখানেই পরবর্তী চার বছরের বাজেট উত্থাপন করা হয়। টেলিভিশন সম্প্রচারস্বত্ব ও স্পন্সর থেকে এ সময় আয় বাড়বে বলে আশা করছে ফিফা। এছাড়া টিকিটিং ও হসপিটালিটি থেকে ভালো আয় হবে। এ বিশ্বকাপে এনএফএলের বেশ কয়েকটি স্টেডিয়াম ব্যবহার করা হবে। সব মিলিয়ে সর্বশেষ চার বছরের চেয়ে আগামী চার বছর চক্রে ফিফার আয় প্রায় দ্বিগুণ হয়ে যাবে। ২০১৮-২২ চক্রে ৭.৫ বিলিয়ন রাজস্ব আহরণ করেছে ফিফা, যা গত মাসে জানায় সংস্থাটি। এ সময় ফিফা প্রাক্কলিত বাজেটের চেয়ে ১ বিলিয়ন ডলার বেশি আয় করেছে।

২০২৬ সালের বিশ্বকাপে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে মোট ৪৮টি দল। ৩২টি থেকে বাড়িয়ে ৪৮টি দল করা হলেও এখনো নিশ্চিত নয়, ওই আসরে মোট কতটি ম্যাচ হবে। ম্যাচের ওপরই ফিফার আয় বাড়বে, কমবে। কেননা এখানে সম্প্রচার চুক্তির বিষয়টিও জড়িত।

২০১৭ সালে ফিফা কাউন্সিল ৮০ ম্যাচের টুর্নামেন্ট করার ব্যাপারে সম্মত হয়েছিল। তখনকার হিসাব অনুযায়ী, দলগুলোকে ১৬টি গ্রুপে বিভক্ত করা হবে এবং প্রতি গ্রুপ থেকে শীর্ষ দুটি দল উঠবে নকআউট পর্বে। অর্থাৎ ৩২ দলের নকআউট পর্ব হবে, এখন যেমন নকআউটের প্রথম ম্যাচই হয় শেষ ষোলো থেকে।

আজ শেষ হতে চলা কাতার বিশ্বকাপে অংশ নিয়েছে মোট ৩২টি দল, ফাইনালসহ এ টুর্নামেন্টে মোট ম্যাচ অনুষ্ঠিত হচ্ছে ৬৪টি। ৩২টি দলকে আট গ্রুপে বিভক্ত করা হয়। প্রতি গ্রুপের দুটি করে দল উঠেছে শেষ ষোলোয়। সেখান থেকে কোয়ার্টার ফাইনাল, সেমিফাইনাল শেষে এখন ফাইনালে টিকে আছে দুই দল। এখনকার ফরম্যাটে গ্রুপের শেষ ম্যাচগুলোতে নেমে আসে চরম উত্তেজনা এবং প্রতি গ্রুপের শেষ ম্যাচ দুটি একই সঙ্গে অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু তিন দলের গ্রুপ হলে এ উত্তেজনা আর থাকবে না।

ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফ্যান্তিনো শুক্রবারের মিটিং শেষে বলেছেন, বিষয়টি নিয়ে আমাদের আরেকটু আলোচনার প্রয়োজন আছে।

যেসব দেশ কখনো বিশ্বকাপে খেলেনি, বৈশ্বিক আসরে তাদের খেলার সুযোগ করে দিতেই মূলত ৪৮ দলের বিশ্বকাপ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ফিফা। যদিও ফিফার নিজস্ব গবেষক দলের পরামর্শ হলো, বর্তমান ৩২ দলের ফরম্যাটেই উচ্চ মানসম্পন্ন ম্যাচ উপহার দেয়া সম্ভব, যা কিনা ১৯৯৮ সাল থেকে চলে এসেছে।

যদিও সিদ্ধান্ত গ্রহণের পাঁচ বছর হয়ে গেল। ফিফা কর্মকর্তারা এখন ১০৪ ম্যাচের টুর্নামেন্টের কথাও ভাবছেন। সেক্ষেত্রে ১২টি গ্রুপে খেলবে ৪৮টি দল, এরপর ৩২ দল টিকে থাকবে নকআউট পর্বে।

সূত্র: বণিক বার্তা
আইএ/ ১৮ ডিসেম্বর ২০২২

Back to top button