মালয়েশিয়ার ভূমিধসে নিহত বেড়ে ১৯
কুয়ালালামপুর, ১৬ ডিসেম্বর – মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে একটি ক্যাম্পসাইটে ভূমিধসের ঘটনায় শিশুসহ ১৯ জন নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার গভীর রাতের এ ঘটনায় ৫৩ জনকে উদ্ধার করলেও এখনো ২০ জনের বেশি মানুষ নিখোঁজ রয়েছে বলে জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
স্থানীয় সরকার ও উন্নয়ন মন্ত্রণিালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, রাজধানীর সেলাঙ্গর রাজ্যে ক্যাম্পিং সুবিধাসহ একটি জৈব খামারের কাছে ভূমিধসের ঘটনাটি ঘটে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, শুক্রবার দুপুর ৩ টা পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ১৯ জনে দাঁড়িয়েছে এবং ১৯ জন এখনও নিখোঁজ রয়েছে। কাদা ও ধ্বংসাবশেষ থেকে কয়েক ডজন আহত মানুষকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
রাজ্যটির দমকল ও উদ্ধার বিভাগের বরাতে বার্তাসংস্থা রয়টার্স বলছে, মোট ৯২ জন এই ভূমিধসের কবলে পড়েন। তাদের মধ্যে ৫৩ জনকে নিরাপদে পাওয়া গেছে বলে বিভাগটি জানিয়েছে।
দমকল ও উদ্ধার বিভাগ আরও জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে তিন শিশু ও ১০ জন নারী রয়েছেন।
সেলাঙ্গর রাজ্য দমকল ও উদ্ধার বিভাগের পরিচালক নোরাজাম খামিস বলেছেন, বৃহস্পতিবার রাত ৩টার দিকে আনুমানিক ৩০ মিটার (১০০ ফুট) উচ্চতা থেকে ভূমিধসের এই ঘটনা ঘটে এবং এর ব্যাপ্তি ছিল প্রায় এক একর এলাকাজুড়ে।
শুক্রবার সকালে মালয়েশিয়ার প্রাকৃতিক সম্পদ, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী নিক নাজমি নিক আহমেদ টুইটারে দেওয়া এক বার্তায় বলেছেন, আমি প্রার্থনা করছি যে, নিখোঁজদের যেন শিগগিরই নিরাপদে খুঁজে পাওয়া যায়। উদ্ধার দল শুরু থেকেই কাজ করছে। আমি আজ সেখানে যাচ্ছি।
এদিকে, দেশটির নব-নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম বলেছেন, তিনি ভূমিধসের খবরে শোকাহত এবং উদ্ধার প্রচেষ্টার বিষয়ে খোঁজ রাখছেন। ইব্রাহিম আরও বলেন, তিনি কিছু মন্ত্রীকে ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছেন এবং তিনিও ঘটনাস্থলটি পরিদর্শন করবেন।
কুয়ালালামপুরের বাটাং কালি শহরের প্রায় ৫০ কিলোমিটার (৩০ মাইল) উত্তরে গেনটিং হাইল্যান্ডসের জনপ্রিয় পাহাড়ি এলাকার বাইরে বিপর্যয়কর এই ঘটনাটি ঘটে। এই এলাকাটি রিসোর্ট এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য পরিচিত।
উল্লেখ্য, সেলাঙ্গর হলো মালয়েশিয়ার সবচেয়ে ধনী রাজ্য এবং এর আগেও রাজ্যটি ভূমিধসের শিকার হয়েছে। তবে সাধারণত ভারী বৃষ্টিপাতের পরেই ভূমিধসের ঘটনা ঘটে, চলতি বছর সেলাঙ্গর সাতটি রাজ্যে প্রবল বৃষ্টিতে প্রায় ২১ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়। এই অঞ্চলে এখন বর্ষা মৌসুম চলছে তবে সেখানে গত রাতে কোনও ভারী বৃষ্টি বা ভূমিকম্প রেকর্ড করা হয়নি।
সূত্র: বাংলাদেশ জার্নাল
আইএ/ ১৬ ডিসেম্বর ২০২২